জাতীয় পার্টি
নতুন ইসি গঠনের আগে আইন চায় জাপা
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলটি মনে করে, এখনও যে সময় রয়েছে, এর মধ্যেই ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন জাপা নেতারা। বিকেল চারটা থেকে শুরু হয়ে দুই ঘণ্টা ধরে চলে সংলাপ।
সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক করেছি। আমরা তাকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছি। সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছি। আমরা মনে করি, যে সময় আছে, এর মধ্যে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব। প্রয়োজনে আইন তৈরিতে আমরা প্রস্তুত আছি। সরকার চাইলে আমরা আইনের খসড়া তৈরি করে দিতে পারি।
তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে, এ সময়ের মধ্যে আইন করা সম্ভব নয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে সেটি করতে পারেন। পরে সেটি আইনে পরিণত করা যাবে। আর যদি অধ্যাদেশ জারি সম্ভব না হয়, তাহলে আগের মতো সার্চ কমিটি গঠন করে কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সার্চ কমিটির জন্য আমরা চারটি নাম প্রস্তাব করেছি। এর বাইরেও কমিশনের সদস্যের জন্য একটি নাম প্রস্তাব করেছি। এ মুহূর্তে নামগুলো জানাচ্ছি না।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমীন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সংলাপে অংশ নেন।
নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সংলাপের পর রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।
বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
জাতীয় পার্টি
‘স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ব্যবসা চলছে’
আজ ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। কিছু মানুষকে ওপরে ওঠানো হচ্ছে, আবার কিছু মানুষকে মুছে ফেলা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। এমনও দেখা যাচ্ছে বয়স ৫০ হয়নি, অথচ সেও মুক্তিযোদ্ধা। এগুলো কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ব্যবসা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ‘স্বাধীনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, দেশকে ডুবিয়ে দিয়ে আপনারা বাঁচতে পারবেন না, মানুষের অভিশাপ লাগবে। দ্রব্যমূল্যে, আগুন কোনো কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। কারণ তাদের ক্ষমতা থেকে সরানো যাচ্ছে না, তাই কোনোকিছুর জবাবদিহিতা নেই।
তিনি বলেন, সারাদেশে লুটপাটের রাজনীতি হচ্ছে। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন এরশাদ।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা বৈষম্যমুক্ত দেশ ও সমাজ চাই। বৈষম্য করে দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসবের কারণে একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।
জিএম কাদের অভিযোগ করে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মামলা হয়। আইন করে বৈধভাবে দাবিয়ে রাখা হয়েছে। যেভাবে আইনকানুন করে বাধা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল টিকবে না। সরকার ঠিক থাকলেও, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না।
এএম/
জাতীয় পার্টি
জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানির অভিযোগ
জাতীয় পার্টি থেকে এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহিকে (সাদ এরশাদ) অব্যাহতি দেয়া জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দল থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেয়ার মাধ্যমে শতকোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে চাচাকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন তার ভাতিজা।
শনিবার (২৩ মার্চ) ডাকযোগে খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এসএম মাসুদুর রহমান এ নোটিশ পাঠান। তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সাদ এরশাদ ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেখানে আপনি রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে কথিত অব্যাহতি নাটকপত্র সাজিয়ে মাহমুদ আলমকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার প্রকাশনা করে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। যার ধারাবাহিকতা অদ্যাবধি পর্যন্ত বিদ্যমান রেখেছেন সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে। ওই কর্মকাণ্ড করে, আপনি এরশাদ পুত্র সাদ এরশাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তি সম্মান নষ্ট করে চলেছেন। এই রকম মানহানিকর সংবাদ প্রচার করে আপনি ১০০ কোটি টাকার মান সম্মানের ক্ষতি সাধন করেছেন। সাথে সাথে পেনাল কোড এর ৪৯৯ ধারা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার এর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে-২০১৮ এর ২৯ (১) (২) ধারার অপরাধ করেছেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে জানাবেন। আরও জানাবেন আপনি কিভাবে জনবন্ধু হলেন। অন্যথায় যথা আদালতে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গেলো ২১ মার্চ সাদ এরশাদসহ ১০ সিনিয়র নেতাকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দেন জিএম কাদের। এই অব্যাহতিপত্র অবৈধ আখ্যা দিয়ে জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান জাতীয় পার্টি (রওশন) কো-চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টেপা।
এএম/
জাতীয় পার্টি
‘সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি’
বর্তমানে দেশের মানুষ ভালো নাই। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস। সরকার চাইলেই এখন পণ্যের দাম কমাতে, বাড়াতে পারবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। কেননা ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার, সেই প্রতিযোগিতা নেই। এই প্রতিযোগিতা না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে রংপুরে চার দিনের সফরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশের বেশিরভাগ দ্রব্য আমদানি নির্ভর। আমদানির যে সক্ষমতা তা দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যেই নেই। যাদের বৈধ-অবৈধ টাকা আছে, তারাই আমদানির সুযোগটা নিচ্ছে। আর এই সুযোগটা নিচ্ছে কয়েকজন ব্যবসায়ী। সেই সাথে বাইরে থেকে যারা আমদানির সাথে জড়িত তারা সবাই প্রায় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে, এভাবেই সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে।
সম্প্রতি রওশন এরশাদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এসব করছে, তারা বেশিরভাগই জাতীয় পার্টির কেউ না, তাছাড়া এসব আইনি কোনো কাঠামোর মধ্যে থেকে হচ্ছে না। এসব বেআইনি।
তিনি আরও বলেন, যারা জাতীয় পার্টির নামে বেআইনি কিছু করছে, তাদের হলভাড়া ও অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে সরকার তাদের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বেআইনি কাজে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না হলে দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্থ হবে। আর এতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউরিপীয়ান ইউনিয়নের বিবৃতি প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদের সমাপনী ভাষণে আমি বলেছি, নির্বাচন আইনগতভাবে হয়েছে, তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সেই সাথে নির্বাচনে জনগণের চাওয়া পাওয়া প্রতিফলিত হয়নি। নির্বাচনটা ফ্রি স্টাইলে হয়েছে। তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিলো, আবার কোথাও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলনে হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গেও জিএম কাদের বলেন, রংপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থা ভালো। দেশের অন্যান্য স্থানে সেই তুলনায় কম। তবে জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে। জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সমস্যাগুলো জানতে পারছে এবং জাতির সামনে তুলে ধরতে পারছে।
এএম/
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়