Connect with us

এশিয়া

সিরিয়ায় টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী প্রেসিডেন্ট বাশার

Published

on

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হয়েছেন বাশার আল-আসাদ। বৃহস্পতিবার কমিশন জানায়, ৯৫ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। তবে এই নির্বাচনকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাশারবিরোধীরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ায় পার্লামেন্ট স্পিকার হাম্মুদা সাব্বাগ লাইভ কনফারেন্সে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছেন। এতে দেখা যায়, বুধবারের নির্বাচনে ৯৫ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাশার। তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ আহমেদ মারি ও আব্দুল্লাহ সালৌম আবদুল্লাহ পেয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও ১.৫ শতাংশ ভোট। নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

সিরিয়ায় এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মূলত সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশে কয়েকটি সিরীয় দূতাবাসে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে।

এই নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছে সিরিয়ার নির্বাসিত বিরোধী নেতারা। নির্বাচনকে সিরীয় জনগণের অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সিরিয়ান নেগোসিয়েশন কমিশনের মুখপাত্র ইয়াহইয়া আল আরিদি। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় এটি সরকারি একটি সিদ্ধান্ত। এর মধ্য দিয়ে স্বৈরতন্ত্রকেই চালু রাখা হয়েছে।

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না বলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোও। এক বিবৃতিতে সিরিয়ার নির্বাচনকে অবৈধ উল্লেখ করেছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। নির্বাচনের আগে দেওয়া বিবৃতিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান ছাড়া এটি অবাধও নয়, সুষ্ঠুও নয় বলে জানান তারা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সুশীল সমাজ, সংগঠন, বিরোধী দলসহ সিরীয় জনগণ যারা এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলছেন তাদের সমর্থন করি।

Advertisement

সিরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাত বছরের জন্য দেশ পরিচালনা করতে পারেন। ২০০০ সালে বাবার মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পঞ্চান্ন বছর বয়সী বাশার আল আসাদ। এর আগে প্রায় পঁচিশ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন বাবা হাফেজ আল-আসাদ।

গেল বুধবার ভোট দেওয়ার পর পশ্চিমাদের সমালোচনা করেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের মতামত শূন্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে বাশারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় সিরিয়ায়। গণতন্ত্রপন্থিদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে রক্তক্ষয়ী নিপীড়ন চালায় সরকারি বাহিনী। দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এক দশকের গৃহযুদ্ধে এখন বিপর্যস্ত সিরিয়া। এতে নিহত হয়েছে অন্তত তিন লাখ ৮৮ হাজার জন। দেশটির প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত। এর মধ্যে প্রায় ৬০ লাখ বিদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।

২০১৪ সালে সিরিয়াজুড়ে গৃহযুদ্ধের মধ্যে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল বিরোধীরা। এরপর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি বাশারের অনুকূলে যেতে থাকে। রুশ বিমান হামলা আর ইরানের সামরিক সহযোগিতায় বড় শহরগুলোতে আবারও কর্তৃত্ব স্থাপন করে সরকারি বাহিনী।

তবে সিরিয়ার বড় একটি অংশ এখনও বিদ্রোহী, জিহাদি ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশটিতে এখনও দেখা যাচ্ছে না সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানসূত্র।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে বিক্রিত শিশু খাদ্য সেরেলাক নিয়ে ভয়ংকর তথ্য

Avatar of author

Published

on

সুইস কোম্পানি নেসলের বাংলাদেশে শিশুখাদ্য হিসেবে সর্বাধিক বিক্রিত দুটি পণ্য— সেরেলাক এবং নিডোতে উচ্চ-মাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য উন্নত দেশে নেসলের বিক্রি করা একই শিশুখাদ্যে কোনও ধরনের বাড়তি চিনি যুক্ত করা হয় না।

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডো নিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।

যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়,  বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিক্রি করা নেসলের এই দুই শিশুখাদ্যে উচ্চ-মাত্রায় চিনি যুক্ত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিশুদের খাবারে চিনি যুক্ত না করার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে। কারণ শিশুখাদ্যে চিনি যুক্ত করা হলে তা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী কয়েকটি রোগের কারণ হতে পারে।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে একজন শিশুকে একবারে যে পরিমাণ সেরেলাক খাওয়ান হয় তাতে তিন দশমিক তিন গ্রাম বাড়তি চিনি থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কিছু উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে এ বাড়তি চিনির উপস্থিতি দেখা গেছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

Advertisement

মধ্য-আমেরিকার বেশিরভাগ দেশে ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে নিডোর আক্রমণাত্মক প্রচার চালায় নেসলে। ওই অঞ্চলে এক বছর বা তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য বাজারজাত করা ফর্মুলায় একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেসলে ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানায়,  তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণার বিষয়ে বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক জানান, সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। এটা নিয়ে বিএসটিআইয়ের কিছু করার নেই। তবে যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে তাই বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

মারাত্মক ঝড়ের কবলে দুবাই, বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা

Avatar of author

Published

on

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোতে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রাণঘাতী আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি দুবাই বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফ্লাইট বাতিল-বিলম্ব ও যাত্রীদের নানা বিড়ম্বনার মধ্যে দুবাই বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং অবস্থার’ সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়া দুবাইয়ের অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কিছু যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে না যাওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

আরও উত্তরে, বন্যার পানিতে গাড়ি পড়ে যাওয়ার পর একজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ওমানে উদ্ধারকারীরা সাহামে একটি মেয়ের মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন। এতে করে গত রোববার থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৯ জনে পৌঁছেছে।

বিবিসি বলছে, বুধবার গ্রিনিচ মান সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর তিনটায়) ফ্লাইট অ্যাওয়্যার-এর ডেটা অনুসারে, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২৯০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সারাবিশ্বের যাত্রীদের জন্য ব্যস্ততম এয়ার হাব হিসেবে পরিচিত।

Advertisement

ডেটা অনুসারে, ওই একই সময়ে আরও ৪৪০টি ফ্লাইট বিলম্বিত ছিল। বিমানবন্দরটি গত বছর ৮০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীদের পরিষেবা দিয়েছে এবং যাত্রী পরিষেবার দিক থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন হচ্ছে এমিরেটস। এই সংস্থাটির সদর দপ্তরও দুবাইয়ে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জনপ্রিয় এই পর্যটন শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীদের জন্য চেক-ইন স্থগিত করেছে তারা।

৭৫ বছর আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে ওমানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত গত মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত প্রত্যক্ষ করেছে। ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি ঘোষণা করেছে, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আল-আইন অঞ্চলের খাতম আল-শাকলায় ২৫৪.৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে বছরে গড়ে ১৪০-২০০ মিমি বৃষ্টিপাত হলেও দুবাইয়ে বছরে সাধারণত মাত্র ৯৭ মিমি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। আর এপ্রিল মাসের মাসিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৮ মিমি। গত মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা বিপজ্জনক হওয়ার কারণে অসংখ্য আগত ফ্লাইট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

মূলত ঝোড়ো বাতাসের কারণে বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটে। এই অবস্থায় একের পর এক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হয় বাতিল, নয়তো তার শিডিউল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৮

Avatar of author

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ভূখণ্ডটির একটি শরণার্থী শিবির ও আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যগাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাফাহতে আবাসিক বাড়িতে হামলায় নিহত হয়েছেন সাতজন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন বলছে, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই শিশু। এছাড়া এই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, মাগাজি শরণার্থী শিবিরটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করার পরে ভূখণ্ডটির উত্তরে হাজার হাজার পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পরে এই শিবির আরও ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এছাড়া গাজার রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজন নিহত হয়েছেন।

Advertisement

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। হামাসের যোদ্ধাদের আক্রমণে ১২০০ জন নিহত হয় ও তারা ২৫৩ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের।

অক্টোবরের ওই দিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার প্রত্যয় জানায়। সবদিক থেকে গাজা অবরোধ করে ভূখণ্ডটির বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

তারপর থেকে গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলির বাহিনীর স্থল, আকাশ ও নৌ হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর গত বছরের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই আবারও গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পাশাপাশি স্থল অভিযানও চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। গাজায় ইসরায়েলি হামলার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৩ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা উভয়ের যেকোনও একজন ছাড়াই বসবাস করছে।

Advertisement

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়24 mins ago

ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, হচ্ছে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আসছে সোমবার( ২২ এপ্রিল) তিনি ঢাকায় পৌঁছবেন...

জাতীয়1 hour ago

আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান

‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা করা প্রয়োজন, তা অবশ্যই করা হবে। তবে দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য ঝুঁকিপূর্ণ।...

বাংলাদেশ3 hours ago

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের

বাংলাদেশে আবারও আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল।  গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দ্বিতীয় বারের মতো বাইডেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের...

জাতীয়4 hours ago

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে...

জাতীয়6 hours ago

আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, যেকারণে স্থগিত হলো ঢাকা সফর

আসছে শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা সফরে আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।  এক দিনের সফরে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী...

জাতীয়6 hours ago

‘চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন পাস করা হবে’

আমি যেমন চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবো তেমনি রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, রোগীদেরও মন্ত্রী। দুজনের সুরক্ষা...

অর্থনীতি8 hours ago

৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: রেহমান সোবহান

‘স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো।এই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আর্থ-সামাজিক উত্তরণ ঘটেছে।’ বললেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা...

বাংলাদেশ9 hours ago

নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন

নিজ বাহিনী বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এখনো মঈনের স্থলাভিষিক্ত...

আইন-বিচার9 hours ago

কুকি চিনের ৫৩ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার করা মামলায় আটক কেএনএফের ৫৭ জনকে বান্দরবান চিফ...

অপরাধ12 hours ago

ধানের খলা দখল নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী, পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক...

Advertisement
জাতীয়24 mins ago

ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, হচ্ছে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা

জাতীয়1 hour ago

আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশ3 hours ago

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের

প্রবাস4 hours ago

বাংলাদেশ-আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী

আন্তর্জাতিক4 hours ago

ভারতে ৫৪৩ আসনে ৭ দফায় ভোট, বিজেপির টার্গেট ৩৭০ আসন

ঢালিউড4 hours ago

পদপ্রার্থী নিপুণের অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস

জাতীয়4 hours ago

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র

ঢাকা5 hours ago

গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স ছাড়া ঢোকা যাবে না ফরিদপুরে

ক্যাম্পাস6 hours ago

ফের পরীক্ষা বর্জনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

জাতীয়6 hours ago

আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, যেকারণে স্থগিত হলো ঢাকা সফর

সৌদি-পতাকা
আন্তর্জাতিক2 days ago

ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি

ডাকসুর-সাবেক-ভিপি-নুরুল-হক
আইন-বিচার3 days ago

নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আন্তর্জাতিক2 days ago

ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসলাম2 days ago

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

টুকিটাকি3 days ago

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা

বাংলাদেশ5 days ago

ইসরাইল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমানের অবতরণ- যা জানা গেলো

ফায়ার-সার্ভিস
জাতীয়7 days ago

নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাড্ডার আগুন

বাংলাদেশ3 days ago

সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি

আন্তর্জাতিক4 days ago

ইসরাইলে ইরানের হামলা: ভূমধ্যসাগরে ঢুকলো রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

দেশজুড়ে5 days ago

যুবকের পায়ুপথ থেকে বের করা হলো ৬ ইঞ্চি ডাব

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়3 weeks ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল4 weeks ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি4 weeks ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ1 month ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড1 month ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল1 month ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি2 months ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ2 months ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত