এশিয়া
মিয়ানমারে যে কারণে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিল ছায়া সরকার
Published
3 years agoon
By
জাকির হোসাইনএতোদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক চাপ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের অধিকারের বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি মিয়ানমারের রাজনীতিকেরা। হঠাৎ ইউটার্ন নিয়ে রোহিঙ্গাদের অবস্থানে নাটকীয় পরিবর্তন আনলো দেশটির ছায়া সরকার। এ ঘটনায় বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গেল বৃহস্পতিবার সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসিসহ বিরোধী দলগুলোর একটি জাতীয় মোর্চা থেকে রোহিঙ্গাদের অধিকারের ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে রোহিঙ্গাদের অধিকারের স্বীকৃতি শুধু নয়, ১৯৮২ সালের যে নাগরিকত্ব আইনের বলে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তা বিলোপের অঙ্গীকারও রয়েছে।
গণতন্ত্রের দাবিতে রক্তাক্ত সংগ্রামে জড়িয়ে পড়া মিয়ানমারের বিরোধী দলগুলো গড়ে তুলেছে সমান্তরাল বা ছায়া সরকার। এটি ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভের জন্য এখন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে এই এনইউজি। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এনইউজির পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দেওয়া হয়েছে। একে ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। স্বাগত জানিয়েছে রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠনও। তবে, তাদের অবস্থান কতটা আন্তরিক বা রোহিঙ্গাদের অধিকারের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি এই ঘোষণায় আছে কি না- তা নিয়ে রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন।
এনইউজি রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যে নীতি ঘোষণা করেছে তাতে বেশ কয়েকটি অঙ্গীকার করেছে তারা।
প্রথমত, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হাতে হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতির পাশাপাশি এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের বিচারের এখতিয়ার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বা বিলোপের অঙ্গীকার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই আইনকে ব্যবহার করে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয়ত, ঘোষণায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি মেনে চলার অঙ্গীকারও আছে।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট শুরু হওয়ার পর মিয়ানমারের রাজনীতিকদের এভাবে এতটা খোলাখুলি রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে দেখা যায়নি।
মিয়ানমার বিষয়ক বিশ্লেষক ল্যারি জ্যাগান বলেন, এটি আসলে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকারের তরফ হতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোহিঙ্গা পরিচয়ের স্বীকৃতি। এই ঘোষণার মাধ্যমে এনইউজি স্পষ্টতই মিয়ানমারের সামরিক সরকারের চেয়ে একটা পরিষ্কার ভিন্ন অবস্থান নিতে চেয়েছে। কারণ সামরিক বাহিনী এখনও বলে যাচ্ছে রোহিঙ্গা বলে কিছু নেই। এটা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর অবস্থানে যে একটা পরিবর্তন ঘটেছে তারই ইঙ্গিত। কারণ আমরা দেখেছি সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এর আগে রোহিঙ্গা কথাটির উল্লেখ পর্যন্ত এড়িয়ে গেছে। এদেরকে আরাকানি মুসলিম বলে বর্ণনা করতো তারা।
ল্যারি জ্যাগান আরো জানান, এই ঘোষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক দুইটি। প্রথমত, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বিলোপের অঙ্গীকার। এই আইনটাই অনেক সমস্যার মূলে। দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের স্বীকৃতি এবং তাদের ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার।
গেল ১৬ এপ্রিল মিয়ানমারের প্রায় সব প্রধান বিরোধী দলগুলোর রাজনীতিবিদদের নিয়ে এনইউজি গঠিত হয়। এই সরকারে আছে গেল ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানো এনএলডির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। আছে আরও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং দলের রাজনীতিবিদরা।
ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর নির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়। বন্দি করা হয় অং সান সুচি এবং এনএলডির শীর্ষ নেতাদের। পরে অন্যান্য দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে এনএলডির নির্বাচিত এমপিরা সিআরপি নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। সেই সংগঠন থেকেই পরে এনইউজির জন্ম হয়।
এসএন
অন্যরা যা পড়ছেন
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
মালিবাগে নির্মাণাধীন ভবনের গর্তে ক্রেন, শ্রমিক নিহত
‘পারিব না’ শিরোনামে শিক্ষামূলক কাবতাটির কথা মনে অছে? কালীপ্রসন্ন ঘোষ ছিলেছিলেন-পারিব না’ এ কথাটি বলিও না আর/কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার।/পাঁচজনে পারে যাহা/তুমিও পারিবে তাহা/পার কি না পার কর পরখ তাহার/একবারে না পারিলে দেখ শতবার।
এই মূলমন্ত্রে হয়তো তিনি ২৩৮ বার বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে লড়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তারপরও হাল ছাড়েননি। হারলেও নির্বাচন বিমুখ হননি কথনও। হয়তোবা ‘ব্যর্থতাই সাফল্যের চাবিকাঠি’ মেনে তিনি আবারও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মেতুর জেলার বাসিন্দা কে. পদ্মরাজন এর ক্ষেত্রে এমনই ঘটনা ঘটেছে।
এনডিটিভি, ফার্স্টপোস্টসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেশায় টায়ার মেরামতকারী পদ্মরাজনের বর্তমান বয়স ৬৫ বছর। ১৯৮৮ সাল থেকে নির্বাচনে লড়তে শুরু করেন। প্রথমবার যখন তিনি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন, তখন সবাই হেসেছিল। কিন্তু তিনি তার জায়গায় অটল ছিলেন। ওইসময় পদ্মরাজন বলেছিলেন, তিনি দেখিয়ে দিতে চান নির্বাচনে সাধারণ মানুষও লড়তে পারে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবাই জয় নিয়ে ভাবলেও পদ্মরাজনের এই ভাবনা নেই। তিনি বলেন, সবাই জয় চাইলেও আমি চাই না।
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ধর্মপুরি লোকসভা আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। নিজ এলাকার লোকজনের কাছে ‘ইলেকশন কিং’ বলে পরিচিত পদ্মরাজন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ও মনমোহন সিংয়ের বিরুদ্ধেও লড়েছেন। কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও নির্বাচন করেছেন তিনি। পদ্মরাজনের মতে, এটি আসলে জনসম্পৃক্ততার বিষয়। বিজয় এখানো গৌণ। তাই আমার বিপরীতে কে দাঁড়িয়েছেন তা আমি আমলে নিতে চাই না।
তবে নির্বাচনে লড়াই বিষয়টি পদ্মরাজনের জন্য বেশ ক্ষতির কারণই হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন করতে গিয়ে জামানতসহ অন্যান্য ফি দিতে গিয়ে তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়েছে। পদ্মরাজনের অনুমান তিনি নির্বাচনে অন্তত কয়েক হাজার ডলার ব্যয় করেছেন স্রেফ মনোনয়নপত্র কেনার জন্য।
এখন পর্যন্ত পদ্মরাজন একবারও কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি। তিনি কোনো নির্বাচনে জিতলে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বার ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিটি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়বেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে পদ্মরাজনের সবচেয়ে ভালো ফলাফল হলো ২০১১ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচন। সে নির্বাচনে তিনি ৬ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছিলেন যা বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে অন্তত ৭৫ হাজার ভোট কম।
কিন্তু তাতে কী আসে যায় পদ্মরাজনের। ভোট কম পাওয়ার ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি তো প্রত্যাশাই করি না যে, আমি কোনো ভোট পাব। কিন্তু ফলাফল দেখাচ্ছে যে, লোকজন আমাকে মেনে নিচ্ছে। এটি আসলেই জনসম্পৃক্ততার বিষয়। সাধারণ মানুষ নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে ইতস্তত করে। তাই আমি রোল মডেল হতে চাই, সচেতনতা তৈরি করতে চাই।
ভারতে আসছে লোকসভা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে অভিমান করে কীটনাশক পান করেন তামিলনাড়ু প্রদেশের মারুমালারচি দ্রাবিড় মুনেত্র কাজহাগাম(এমডিএমকে) পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য গণেশমূর্তি। কীটনাশক খাওয়ার ফলে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ইরোডের এই সংসদ সদস্য। এদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
আনন্দবাজার, হিন্দুস্থান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, এবারের লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। তারপর থেকেই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। সেই হতাশা থেকে গত ২৪ মার্চ তিনি বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাংসদকে পরে নিকটবর্তী কোয়েম্বাটুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সময় নগর উন্নয়ন ও আবাসন প্রতিমন্ত্রী এস মুথুসামি, বিজেপি বিধায়ক ডাঃ সি সরস্বতী এবং এআইএডিএমকে নেতা কেভি রামালিঙ্গম সহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ গণেশমূর্তিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গণেশমূর্তি ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন গণেশমূর্তি। এমডিএমকে-র বিশেষ পদে ছিলেন ছিলেন তিনি। তবে আসছে লোকসভা নির্বাচনে ইরোড আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দল তাঁকে টিকিট দিতে অস্বীকার করায় তিনি তা মেনে নিতে পারেননি।
তিনবারের সংসদ সদস্য গণেশমূর্তি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইরোড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দলীয় টিকিট না পেয়ে বিরক্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এমডিএমকে ডিএমকে জোটের অংশ। জোটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিএমকে ইরোডে তার প্রার্থী দেয় এবং তিরুচি আসনটি এমডিএমকেকে বরাদ্দ করে। এমডিএমকে সাধারণ সম্পাদক ভাইকোর ছেলে দুরাই ভাইকোকে তিরুচিতে দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়।
সোমবার ডিএমকে প্রার্থী কে.ই. প্রকাশ ইরোড সংসদীয় আসনের জন্য তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং এআইএডিএমকে একই আসনের জন্য অত্রাল অশোক কুমারকে মনোনয়ন দিয়েছে। এটি মেনে নিতে পারেননি গণেশমূর্তি। তাই গত রোববার নিজ বাড়িতে নারকেল গাছে ব্যবহৃত কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়।
এশিয়া
গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০
Published
23 hours agoon
মার্চ ২৮, ২০২৪By
GM Mahmudফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জনে। এছাড়া গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনি।
বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে। একই সময়ে অন্তত ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৭৬ জন নিহত এবং আরও ১০২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে গেলো সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পবিত্র রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। হামাস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জিএমএম/
জাতীয়
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
জালিয়াতি যেনো পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের । প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯...
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫...
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
নির্বাচনে হেরেছেন ২৩৮ বার, ফের লড়াইয়ের প্রস্তুতি
লোকসভায় দলের টিকিট না পেয়ে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা
দেড় মাস বয়সের সেই শিশুটি ৫০ বছর পর মায়ের কোলে
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
আবারও এক টেবিলে বিএনপি-জামায়াত
‘নির্বাচনে যা খরচ করেছি, এটা আমি তুলবো’
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ6 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ5 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- জাতীয়4 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- এশিয়া3 days ago
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী