আফ্রিকা
নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৫৩
আবারও বড় ধরণের সহিংসতা হয়েছে নাইজেরিয়ায়। দেশটির উত্তরাঞ্চল জামফারা প্রদেশের একাধিক গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৫৩ জন। শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসা অস্ত্রধারীরা বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রবেশ করে কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর এ হামলা চালায়। স্থানীয়ভাবে এরা ডাকাত নামে পরিচিত। একের পর এক গ্রামে তাণ্ডব, হত্যা ও লুটপাট চালায় তারা। পুড়িয়ে দেয় বাড়িঘর। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাতভর এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলে।
স্থানীয় বাসিন্দা হারুনা আব্দুল করীম জানান, শুক্রবার গ্রামগুলো থেকে পুলিশ ১৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ৩৯টি মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
স্থানীয় আরো এক বাসিন্দা মুসা আরজিকা জানান, ডাকাতরা ফিরে এসে আবার হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় মরদেহগুলো সৎকার না করেই কবর দেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীর ধারণা, কাছাকাছি জঙ্গলেই লুকিয়ে আছে হামলাকারীরা। যেকোনো সময় আবারও হামলার আশঙ্কা করছে তারা।
জামফারা পুলিশের মুখপাত্র জানায়, হামলার পর জামফারা প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যটির জুরমি জঙ্গলের আশেপাশের গ্রামগুলোতে ডাকাতদের হামলা বেড়ে গেছে। এর আগে গেল সপ্তাহে হামলা বন্ধে কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়ে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।
নাইজেরিয়ায় দিনদিনই এ ধরনের হামলার ঘটনা বাড়ছে। একইসঙ্গে স্কুল শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অপহরণের শিকার হয়। গেল ছয় মাসে সাড়ে ৮শ’র বেশি শিক্ষার্থী অপহৃত হয়।
এসএন
আন্তর্জাতিক
নাইজেরিয়ায় অপহৃত শিশুরা মুক্তি পেয়েছে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাদুনা রাজ্যের একটি স্কুল থেকে অপহরণ হওয়া দুই শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী ও কর্মীকে মুক্তি দিয়েছে বন্দুকধারীরা।রোববার(২৪ মার্চ) রাজ্যের গভর্নরের কার্যালয় শিশুদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ মার্চ উত্তর-পশ্চিম কাদুনা রাজ্যের কুরিগা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৫০ এর বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও স্কুলের কর্মীকেও অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলঅ হয়, গত সপ্তাহে নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও কর্মীদের মুক্তির জন্য এক বিলিয়ন নাইরা দাবি করে তারা। এক ডলারের বিনিময়ে সেখানে এক হাজার ৪৪৭ নাইরা পাওয়া যায়। কিন্তু মুক্তিপণ দেওয়ার সময়সীমা পার হওয়ার কয়েকদিন আগেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানা যিায়নি।
২০২১ সালের পর, কাদুনার এই স্কুলের অপহরণটিই ছিল সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় অপহরণের ঘটনা। এর আগে, ২০১৪ সালে নাইজেরিয়ায় প্রথম অপহরণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্নো রাজ্যের চিবোকের একটি বালিকা বিদ্যালয় থেকে অন্তত ২৭৬ ছাত্রীকে অপহরণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠী বোকো হারাম। ওই ছাত্রীদের কয়েকজনকে এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি।
আন্তর্জাতিক
নৌকা ডুবে ২৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
আফ্রিকার দেশ সেনেগালের উপকূলে স্পেন অভিমুখী নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে প্রায় ৩০০ আরোহী ছিলেন এবং নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) সেনেগালের প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
সেনেগালের প্রধানমন্ত্রী আমাদু জানান, রাজধানী দাকার থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে উত্তর সেনেগালের উপকূলে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ওই নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অ্যালার্ম ফোন নামে অভিবাসীদের সহায়তাকারী একটি পরিষেবা সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক বার্তায় বলেছে, বুধবার সেন্ট-লুইস শহরের কাছে ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটি প্রায় ৩০০ মানুষ বহন করছিল এবং কেউ কেউ তীরে পৌঁছাতে পারলেও অন্যরা এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৯ হাজার ৯১০ অভিবাসনপ্রত্যাশী পশ্চিম আফ্রিকা থেকে নৌকায় করে অবৈধভাবে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৫৫ শতাংশ বেশি।
আফ্রিকা
মালিতে সেতু থেকে নদীতে পড়ল বাস, নিহত ৩১
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেতু থেকে একটি বাস নদীতে পড়ে তলিয়ে গেলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার মালিতে একটি বাস উল্টে সেতু থেকে নিচে নদীতে পড়ে তলিয়ে যাওয়ায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। বাসটি মালিয়ান শহর কেনিয়েবা থেকে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো যাওয়ার পথে বাগোই নদী পার হওয়ার সময় সেতু থেকে উল্টে যায়।
অন্তত দশজন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘চালকের গাড়ি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা’ এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মালির পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কেনিয়েবা থেকে বুরকিনা ফাসোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস সেতু থেকে ছিটকে পড়ে। সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে মালিয়ান এবং পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিকও রয়েছেন।
বিবিসি বলছে, মালিতে সড়ক দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ বিষয়। দেশটির অনেক রাস্তা এবং যানবাহনের অবস্থা বেশ খারাপ। এর পাশাপাশি ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ওঠানো এবং গণপরিবহনে নিয়মকানুন মানতে শিথিলতাও মালিতে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
বার্তাসংস্থা এএফপি’র তথ্য অনুসারে, এই মাসের শুরুতে রাজধানী বামাকো অভিমুখে যাওয়ার সময় একটি বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হয়েছিলেন।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়