দুর্ঘটনা
মগবাজারে বিস্ফোরণ: আরো এক বাসযাত্রীর মৃত্যু
মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় সুভাষ চন্দ্র সাহা (৬২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। তিনি সোমবার দিবাগত রাতে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসায়ধীন অবস্থায় মারা যান।
তার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন সিটিটিসি পুলিশ পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার। তিনি বলেন, সুভাষ মগবাজারের ঘটনার শিকার হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত রাতে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
সিটিটিসি এ কর্মকর্তা বলেন, মৃতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে তার ছেলের কাছে বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সুভাষ (৬২) কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মৃত মনমহন সাহার ছেলে। তিনি ইসলামপুরে থাকতেন। ঘটনার সময় তিনি বাসযাত্রী ছিলেন। বিস্ফোরণে সুভাষ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন।
ঢাকা
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৪
ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর এলাকায় গ্যাস সিলেন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামটোলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন নুরুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএসের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২১) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ঢাকার ধামরাই থেকে দগ্ধ অবস্থায় চারজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে নুরুল ইসলামের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, সোহাগ হোসেনের ৩৮ শতাংশ ও নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। এরমধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে, দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লিকেজ থেকে তিন কক্ষের ফ্ল্যাটটিতে গ্যাস জমে ছিল। ভোরের দিকে রান্না করতে উঠে আগুন জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকে তিনটি কক্ষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ধামরাই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবীর ঢাকা গণমাধ্যমে বলেন, আগুনে দগ্ধ চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে হাতমুখ ধুতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রামেশ্বপুর গ্রামের সরআলী মাঝি বাড়ির পুকুর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো- উপজেলার রামেশ্বপুর গ্রামের সরআলী মাঝি বাড়ির আবদুল হাইয়ের ছেলে আবিদ হোসেন (৪) ও মেয়ে বিবি ফাতেমা (৭) ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে পরিবারের লোকজনের অজান্তে দাঁতের ব্রাশ নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় আবদুল হাইয়ের মেজ মেয়ে ফাতেমা ও ছোট ছেলে আবিদ। ব্রাশের পর হাত মুখ ধুতে বাড়ির পুকুর ঘাটে যায় তারা দুজন। এর কোনো একসময় বাড়ির লোকজনের অজান্তে পুকুরে পড়ে যায় দুজন। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। এর একপর্যায়ে বাড়ির পুকুরে তাদের দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হাতমুখ ধোয়ার সময় পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হবে।
এএম/
দুর্ঘটনা
স্কয়ারের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
পাবনায় স্কয়ারের একটি কসমেটিকসের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কাজ করছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের লস্করপুরের খাঁ পাড়ার স্কয়ারের কসমেটিকসের গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটে।
পাবনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শরিফুল আহসান ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। শহরের ৫টি ইউনিট, আটঘরিয়ার একটি ও সাঁথিয়ার একটি সহ মোট ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে ধারণা করছি।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে দাউ দাউ আগুন দেখা যায়। তখন কসমেটিকস গোডাউনের কর্মরত শ্রমিকরা আতঙ্কে বাইরে বের হয়ে আসে। তখন আমরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আমরাও আগুন নেভাতে কাজ করছি।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এটা মূলত স্কায়ারের পুরনো কসমেটিকস গোডাউন। আগুন কীভাবে লেগেছে তা তদন্ত করে বের করা হবে।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে