Connect with us

লাইফস্টাইল

বাড়িতে কীভাবে আই-লাইনার তৈরি করবেন…

Published

on

তৈরি

মেয়েদের চোখের ঘন কালো কাজল পুরুষদের কাছে আকর্ষণের বিষয়। দোকান থেকে এই ধরনের রাসায়নিক দেয়া প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না বলে অনেকেই বাড়িতে সেই ছোটবেলার মতো কাজল তৈরি করেন। চোখের নীচে না হয় বাড়ির তৈরি কাজল পরলেন, কিন্তু চোখের উপরে যে আইলাইনার পরেন, তা বাড়িতে তৈরি করা যায় কি?

ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়েই প্রাকৃতিক আইলাইনার তৈরি করার উপায় বাতলে দিলেন রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ শাহনাজ হুসেন।

কী কী দিয়ে বানাতে পারেন প্রাকৃতিক আইলাইনার?

১) কোকো পাউডার

ঘন কালো রঙের বদলে ইদানীং পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে অনেকেই খয়েরি রঙের লাইনার দেন চোখে। শুধু মাত্র দু’টি উপাদান দিয়ে খুব সহজে এই লাইনার বানিয়ে ফেলা যায়। বানাতে লাগবে কোকো পাউডার আর গোলাপ জল। এক চামচ কোকো পাউডারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়ে চোখের উপরের পাতায় লাগিয়ে নিলেই হল।

Advertisement

২) কাঠবাদাম

মোমবাতি বা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে, আগুনের শিখার উপর চিমটে দিয়ে একটি কাঠবাদাম ধরে রাখুন কিছু ক্ষণ। কাঠবাদামটি পুরো পুড়ে গেলে, একটি পাত্রে ওই পুড়ে যাওয়া বাদামের গা থেকে ছুরি দিয়ে কালো অংশগুলি চেঁছে নিন। তার মধ্যে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা কাঠবাদামের তেল। ব্যস, আইলাইনার তৈরি।

৩) বিটের রস

চোখে যদি খয়েরি বা লাল রঙের লাইনার পরতে চান, তা হলে বিট কুরিয়ে বা ছেঁচে নিয়ে রস বের করে নিন। এর মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে অ্যালো ভেরা জেল। এই দু’টি উপাদান ভাল করে মিশিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রেখে দিন। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে চোখের উপরে এবং নীচে লাগিয়ে নিন।

৪) কাঠকয়লা

Advertisement

সক্রিয় কাঠকয়লার গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন নারকেল বা কাঠবাদামের তেল। এর চেয়ে ভাল ঘন, কালো আইলাইনার কোনও নামীদামি ব্র্যান্ডেও পাওয়া যাবে না।

৫) কুমকুম

ঘন লাল রঙের আইলাইনার পরবেন? বাজার থেকে কেনা বেশির ভাগ লাইনারে এমন গাঢ় রং আনতে মেশানো হয় রাসায়নিক অক্সাইড। যা চোখের তো বটেই, ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। তার বদলে ব্যবহার করতে পারেন কুমকুম পাউডার। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল। ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চোখের উপর লাগিয়ে নিন।

লাইফস্টাইল

মাখন খেয়েও কমবে ভুঁড়ি

Published

on

দিন দিন বেড়েই চলেছে ভুঁড়ির সাইজ। কিন্তু জিমে যাওয়ার সময় নেই? ডায়েট ঠিকঠাক ভাবে মেনে চললে কিন্তু ওজন ঝরানো সম্ভব। পুষ্টবিদদের মতে, নিয়ম করে পিনাট বাটার খেয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব।

ভাবছেন, মাখন খেয়ে কী করে কমতে পারে ওজন? শুনতে অবাক লাগলেও কথাটি সত্যি। জেনে নিন, কী করে তা সম্ভব। পিনাট বাটারে রয়েছে ট্রিপটোফান নামের উপাদান, যা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। তবে এতে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই ওজন ঝরানোর ডায়েটে এই মাখন রাখতে হলে পরিমাণের বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।

রোজের খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার-

কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। তা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়। পিনাট বাটার ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ৷ ফাইবার-সমৃদ্ধ এই মাখনটি পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভাল। এই মাখন খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকে। টুকটাক অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক কমে।

প্রাতরাশে ওট‌্‌সের সঙ্গেও পিনাট বাটার খেতে পারেন। যারা ওজন ঝরাতে চাইছেন, তাদের জন্য ওটস-দুধ আর পিনাট বাটারের স্মুদি খুব ভাল নাস্তা। চাইলে স্মুদিতে কলাও দিতে পারেন।

অফিসে বসে কাজের মাঝে প্রায়ই খিদে পায়। তখন ভাজাভুজি, রোল, চাউমিন না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন পিনাট বাটারেই। আপেলের সঙ্গে খান পিনাট বাটার। বিকেলের হালকা খিদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর এই খাবার, সুস্বাদুও বটে।

Advertisement

হোল গ্রেন পাউরুটি টোস্টের সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন।

পিনাট বাটার খাওয়ার সময়ে যা মাথায় রাখতে হবে-

ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে যে পিনাট বাটারে লবন থাকে, তা এড়িয়ে চলাই ভাল। বেশি মাত্রায় লবন শরীরে গেলে শরীরে বেশি মাত্রায় পানি জমতে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যায়। এ ছাড়া চিনি মেশানো আছে এমন পিনাট বাটারও না খাওয়াই ভাল।

পিনাট বাটার খেতে দারুণ সুস্বাদু। তাই অনেকেই প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময়ে এই মাখন খেয়ে থাকেন। ভাবেন, শরীরের মেদ দ্রুত ঝরবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়। দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখন না খাওয়াই ভাল।

স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম বা চকোলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে পিনাট বাটার খাবেন না। খেতে সুস্বাদু হলেও আখেরে শরীরের ক্ষতি করবে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে যা যা করবেন

Published

on

লিভার ক্যানসার বেড়েই চলেছে ভারতীয়দের মধ্যে। ভারতে প্রতি বছর লিভার ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা কম করেও ৩৫ হাজার। বছর প্রতি ক্যানসারে মৃত্যুও হয় ৩০ থেকে ৩৪ হাজার মানুষের।  ‘ক্লিনিকাল অ্যান্ড হেপাটোলজি’ বিজ্ঞানপত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের চার রাজ্য– মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল ও গোয়ায় লিভার ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রিপোর্ট অনুসারে, ৪০-৭০ বছর বয়স অবধি মহিলা ও পুরুষরা লিভার ক্যানসারে ভুগছেন।

চিকিৎসকদের মতে, মানুষজনের জীবনযাপনের অভ্যাসে পরিবর্তন হচ্ছে। শারীরিক পরিশ্রম কমছে। ডায়াবিটিস বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হার্টের রোগ। এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে শরীরের যে অঙ্গটি সবথেকে বেশি ধাক্কা খাচ্ছে, তা হল লিভার। সময়ে ধরা পড়লে এই রোগটির জটিলতা থেকে অনেকখানিই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগটি ধরতেই এত দেরি হয়ে যায়, তখন আর কিছু করা সম্ভব হয় না। ভারতে লিভার ক্যানসারের যে ধরন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে তার নাম ‘হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা’। এই রোগ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়লে, বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।

কী কী লক্ষণ দেখে আগাম সতর্ক হবেন?

১) সারা শরীরে ঘন ঘন কালশিটে পড়তে পারে।

২) লিভার থেকে বের হওয়া হলুদ-কমলা রঙের পিত্ত বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়।

Advertisement

৩) আচমকা কমতে পারে ওজন।

৪) লিভারে ক্ষত তৈরি হলে পা ও গোড়ালিতে জ্বালা করবে। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করবে।

৫) পেটের তলদেশে তরল জমা হয়ে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। খিদে কম হবে। বমিবমি ভাব থাকবে।

জীবন বাঁধুন নিয়মে

১) দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি থাকলে অ্যান্টিভাইরাল থেরাপির কোনো বিকল্প উপায় নেই। এতে লিভার ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে। তাই হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা ভাল। লিভারে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানতে ‘লিভার ফাংশন টেস্ট’ (এলএফটি) করানো অতি জরুরি।

Advertisement

২) অতিরিক্ত মদ্যপান লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ও মদ্যপানের নেশা এড়িয়ে চলাই ভাল।

৩) বংশগতভাবেও লিভারের রোগ হতে পারে। পরিবারে রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেয়া ভাল।

৪) ওজন কমাতে হবে। স্থূলত্ব শুধু ক্যানসার নয়, আরও বিভিন্ন রকম জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। লিভার ক্যানসারের লক্ষণ সকলের ক্ষেত্রে এক না-ও হতে পারে। আপনার লিভারে সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডায়েট কেমন হবে তা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেয়াই ভাল।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

খাওয়ার আগে-পরে যে ভুলের কারণে পেটে গ্যাস হয়

Published

on

খাওয়ার পর পরই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন? হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন, তেমন তেল-মশলা দেয়া খাবার খান না। তাও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই! গরমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার সময়ে, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যে অভ্যাসগুলিকে আমরা ভুল বলে মনেই করিনি কখনও। কোন কোন অভ্যাস হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে চলুন জেনে নেয়া যাক।

১) খাবার ভাল করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে তা টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু ভাল করে চিবিয়ে না খেলে খাবারের বড় বড় টুকরোগুলি ভাঙতে সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। তাই খাবার সময় তাড়াহুড়ো নয়, ধীরেসুস্থে সময় নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাওয়ার আগে পানি ‌খান। খাওয়ার সময়ও অল্প অল্প পানি খেতে পারেন। তবে খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই পানি খাবেন না ভুলেও।

২) অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। খাওয়ার পর কমপক্ষে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ক্যাফিন জাতীয় কোনও পানীয় খাওয়াই অনুচিত। এতে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কেবল দুধ চা কিংবা কফি নয়, ভেষজ চায়ের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন।

৩) খালি পেটে পানি আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ফল খেলে কিন্তু পেটের গোলমাল হতেই পারে। প্রাতরাশ ও দুপুরের খাবারের মাঝের সময়টা ফল খাওয়ারর জন্য আদর্শ। ইচ্ছে করলে বিকেলের দিকেও ফল খেতে পারেন।

৪) খুব বেশি পেট ভরে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই আপনার হজমের সমস্যার মূলে। খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছু ক্ষণ বসে থাকলে বা হাঁটাহাটি করলে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি। খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিছানার দিকে ভুলেও যাবেন না।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version