বাংলাদেশ
পরিবেশ দূষণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে তাজমহল
ভারতে পরিবেশ দূষণে জৌলুস হারাচ্ছে সম্রাট শাহজাহানের প্রেমের নিদর্শন তাজমহল। সাদা ধবধবে তাজমহলের গায়ে ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিচ্ছে। মূলত পরিবেশ দূষণের কারণেই এমন হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পরিবেশবিদরা। যমুনা নদী আর পরিবেশ দূষণের প্রভাবে তাজমহলের সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে। এভাবে চলতে থাকলে তাজমহল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলছে বিশেষজ্ঞরা।
প্রেম আর সপ্তাশ্চর্যের স্বীকৃতি পাওয়া এক অনন্য নিদশর্ন তাজমহল। সম্রাট শাহজাহান স্ত্রীর প্রতি নিজের ভালোবাসা জানান দিতে এটি নির্মাণ করেছিলেন। আজ সারা বিশ্বেই তা ভালোবাসার স্বীকৃত এক প্রতীক।
প্রতিবছর পুরো বিশ্ব থেকে অমর প্রেমের এই নিদর্শনের সৌন্দর্য দেখতে যায় কয়েক লাখ দর্শনার্থী। ভারতের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থাপনাটি দেখতে গড়ে প্রতিদিন আগ্রায় যায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ।
তবে পরিবেশ আর যমুনা নদীর অতিমাত্রার দূষণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া এই স্থাপনা। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, দিল্লির কলকারখানার রাসায়নিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য যমুনা নদীতে ফেলায় অস্বাভাবিক দূষণ ঘটছে।
যমুনা নদীর অন্তত ৮০ শতাংশ দূষণের জন্য দায়ী রাজধানী দিল্লি। আগ্রার কাছে নদীর স্রোত কমে যাওয়ায় দূষণ ঘনীভূত হয়ে তাজমহলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তবে আগ্রার মেয়র বলছেন, দূষণ থাকলেও বৃষ্টির কারণে ময়লা আবর্জনা ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির সম্ভাবনা কম। বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি দূষিত পদার্থগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাই নদীর পানি এখন অনেক পরিস্কার। নদীর খুব কাছে হওয়ায় তাজমহলে দূষণের মাত্রাও বেশি। তবে পানি বাড়লে তা কমে যাবে।
যমুনার দূষণ ছাড়াও পরিবেশে বাড়তে থাকা কালো কার্বনের কারণেও ঝুঁকিতে স্থাপনাটি। এসব দূষণের প্রভাবে নতুন এই সপ্তাশ্চর্য স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পরিবেশবাদীরা বলছে, পাশেই বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে ক্রমাগত আবর্জনার স্তূপ জমার কারণেই তাজমহলের গায়ে ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও ছোট ছোট এক ধরনের পোকা লেপ্টে যাচ্ছে স্থাপনাটির দেয়ালে। এতে সাদা সাদা পাথরে কালো দাগ লেগে যাচ্ছে।
এসএন
জাতীয়
এমপি আজিমের শরীর থেকে মাংস আলাদা করে জিহাদ : ভারতীয় পুলিশ
এমপি আনোয়ারুল আজিমকে আনারকে কলকাতার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, পুরো শরীর থেকে সমস্ত মাংস আলাদা করে এবং মাংসের কিমা করে তারপর তারা সমস্ত কিছু পলিথিনের প্যাকেট রেখে দেয়। পাশাপাশি হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশের হাতে আটক বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।
বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ২ মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন। এই শাহিনই এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ ৪ জন ওই এমপিকে তার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত সাংসদের শরীর থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করে ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করা হয়। এরপরে সেই প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে এবং কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফেলে দেয় জিহাদ।
সিআইডি জানায়, তাঁদের বিভ্রান্ত করতে অভিযুক্ত তাঁর নাম জিহাদের বদলে সিয়াম বলে জানিয়েছিলো। পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সঠিক নাম এবং বাংলাদেশের ঠিকানা জানান এই জিহাদ ওরফে সিয়াম। দুই বছর আগে সে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে মুম্বাইতে বসবাস করে আসছিলো। জিহাদ হাওলাদারের (২৪) বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার।
প্রসঙ্গত, আজ ২৪ মে জিহাদকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত জেলা ও দায়রা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
আই/এ
বাংলাদেশ
ডিএমপির আয়োজনে “ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট” এর পোস্টার প্রতিযোগিতা শুরু
রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্ট এর আওতায় “সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার প্রতিযোগিতা ২০২৪” ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ অডিটোরিয়ামে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল মোমেন, পিপিএম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ মসিউর রহমান এবং ডিআরএসপি প্রজেক্টের জাইকা এক্সপার্ট ইরিয়ে টেটসুশি।
ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আয়োজনটিতে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক সেফটি গেম, ট্রাফিক সাইন, রাস্তা পারাপারে করণীয়-বর্জনীয় সহ ট্রাফিক সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করা হয়। এতে ছাত্ররা বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা। এছাড়াও ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ “সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার প্রতিযোগিতা ২০২৪” এর নিয়মাবলি উপস্থাপন করেন ডিআরএসপি এর কমিউনিকেশন ম্যানেজার সামনুম সুলতানা।
এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এডিসি (ট্রাফিক গুলশান-দক্ষিণ) এ.এস.এম হাফিজুর রহমান, এসি ট্রাফিক গুলশান আবু সায়েম নয়ন, প্রজেক্ট, কো-অর্ডিনেটর (ডিআরএসপি) এ এইচ এম শহীদুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগরীর মোট ১৬ টি স্কুলে ডিআরএসপি প্রজেক্ট এর আয়োজনে “সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার প্রতিযোগিতা ২০২৪” অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এম/এইচ
জাতীয়
আজিমের খুনের ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: শাহীন
ভারতের কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।এ হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আক্তারুজ্জামান শাহীনের উঠে এসেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানিয়ছেন, আজিমের হত্যাকাণ্ডে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে শাহীন জানান, আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার সময় তিনি ভঅরতে ছিলেন না, বাংলাদেশে ছিলেন।এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো ৫ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির খবরও অস্বীকার করেন তিনি।
বেসরকারি ওই টেলিভিশনকে আক্তারুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়ে। এই ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছে এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক।’
ফ্লাটের ভাড়ার বিষয়ে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে শাহীন বলেন, ‘আমি যদি ফ্লাট ভাড়া নেই। আমি কি আমার ফ্লাটে এই ধরণের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কিভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কোথার থেকে পেলাম আমি এত টাকা। এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কি করার আছে। ঘটনা কবে ঘটেছে সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।’
আক্তারুজ্জামান শাহীন আরও বলেন, ‘এছাড়া আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরণের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এই দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কি করব?’
প্রসঙ্গত, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখানে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।
মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হলেও আর ফিরে আসেননি।ওইদিনই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে।
এমআর//
-
বলিউড7 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
বলিউড6 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
ঢাকা6 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
অপরাধ1 day ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়4 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
অপরাধ5 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
-
আইন-বিচার5 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ