বিএনপি
খালেদা জিয়ার দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ১৬ মার্চ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানির পৃথক দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলা দুটি হলো ‘ভুয়া’ জন্মদিন উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মামলা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভুইয়া।
মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার ও আলবদর নেতাদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত মর্মে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
‘ভুয়া’ জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী- এসএসসি পরীক্ষার মার্কসিটে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
বিএনপি
সরকার জনগণের স্বার্থে পদক্ষেপ নেয় না : ফখরুল
তিস্তা নদীর পানি চুক্তি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে সরকার গড়িমসি করছে। আসলে এই সরকার পুরোপুরি নতজানু সরকার। তারা কখনও জনগণের স্বার্থে পদক্ষেপ নেয় না। কারণ তারা ভারতের কাছে খুব দুর্বল। বললেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষকে তার নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে। তার মূল কারণ হচ্ছে এই সরকার তাদের স্বার্থ এবং প্রভুদের স্বার্থের বাইরে যেতে পারে না। এই জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার ভূমিকার জন্য অবশ্যই ভারতের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারপরও তাঁরা লক্ষ্য করছেন ভারত সবসময় বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তাঁরা শুধু ফারাক্কা নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীর পানির বণ্টন নিয়ে গড়িমসি করেছে, সমস্যার সমাধান করেনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে ভারতে এখানে বাঁধ নির্মাণ করতে চেয়েছিল, তখন পাকিস্তান সরকার বাধা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এর পানি বণ্টন নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল আগের সরকার তার সমাধান করেনি। কারণ তারা ভারতের কাছে ঋণী ছিল, তাদের অনুগ্রহে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু মাওলানা ভাসানী পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, এ আয়োজনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
আই/এ
বিএনপি
সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর আর লুকানো যাচ্ছে না: রিজভী
বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনরা। সেই সংবাদ আজকে প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর আর লুকানো যাচ্ছে না। সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে। বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় উপজেলা নির্বাচন বর্জনের দাবিতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দুবাইয়ে অত্যন্ত দামি তিনশ তিরানব্বইটি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। ৬৪৩টি সম্পদের খবর ছাপা হয়েছে। এ সম্পদের মালিক কারা এই যে ব্যাংক লুটপাট করেছে, এই যে দেশের সম্পদ লুট করেছে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতুর নামে টাকা লুট করেছে, এই টাকা দিয়েই তারা আজকে দুবাইয়ে বাড়ি বানাচ্ছে।
তিনি বলেন, “চারদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে গিয়ে এখন গোটা জাতিকে ফতুর করার জন্য একের পর এক আর্থিক খাত, সামাজিক খাত সব লুট করছে। প্রত্যেকটি খাতে এখন প্রচণ্ড নৈরাজ্য বিরাজ করছে। একের পর এক লুট হয়ে ব্যাংকগুলো ধসে গেছে। মন্ত্রীদের নামে এমপিদের নামে ব্যাংক দিলেন। তারাই তো সব লুট করে ফেলছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে সেগুলোকে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে। এভাবে তারা জনগণের টাকা, জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছেন, পাচার করেছেন। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরে কী হচ্ছে সেটি বাংলাদেশের মানুষকে জানতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যাতে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে না পারে।”
বিএনপির এ নেত বলেন, “গত পরশু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিশাল অঙ্কের টাকা কোড হ্যাক করে লুট করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এর কোনো উত্তর নেই। এর কোনো উত্তর দিতে পারে না সরকার। কারণ নিজেদের লোকদের, নিজেদের মানুষদেরকে অর্থ লুটের সুযোগ করে দিতে এ ব্যবস্থা করেছে সরকার।”
রিজভী বলেন, “আজকে বাংলাদেশের টাকা নেই। আজকে যে রিজার্ভ, যেটি দিয়ে আমদানি করা যায়, ব্যবসা করা যায়, যেটি দিয়ে উন্নয়ন হবে সে টাকা আজ শূন্যের দিকে। এর কী জবাব দেবেন শেখ হাসিনা। এর জবাব তিনি দিতে পারবেন না। কারণ তার লোকেরাই এটি করেছে। আজকে অভাবী মানুষ ঠোঙায় করে কোনো রকমে কয়েকটি শাকসবজি নিয়ে বাড়িতে যায়, মাছ কিনতে পারে না, মাংস কিনতে পারে না। এক মণ ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস কেনা যায়। এ হলো দেশের অবস্থা।”
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “বর্তমানে ডামি ভোটে নির্বাচিত সরকার হলো দখলদার সরকার। তাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণের ভোটের কোনো দরকার হয় না তাদের। শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবে সেই হবে উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন বা আনুষ্ঠানিকতা চলছে মাত্র। সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন আপনাদের আত্মীয়স্বজনদের এ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
বিএনপি
‘বিএনপির আন্দোলন ডোনাল্ড লুর সফরের ওপর নির্ভর করে না’
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফরের ওপর বিএনপির আন্দোলন নির্ভর নয়। কারো ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবে বলে আমরা মনে করি না। বললেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে গণঅধিকার পরিষদ ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ সব নিজের শক্তির ওপর ভর করেই ৭১ সালের পূর্বেও আন্দোলন করেছে, ৭০ আন্দোলন করেছে, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। পরবর্তীতে আমরা যে আন্দোলন করছি, সেটা সম্পূর্ণ জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করেই করছি। সুতরাং এই বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না।
বৈঠক সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত জোরাল ছিল। আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অক্ষুণ্ন রাখবেন বলে আমি আশাবাদী। জনগণকে সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রেও তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশর গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে বর্তমান অবৈধ সরকার। যারা জনগণের ভোট ছাড়া জোর করে ক্ষমতায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করছে। যুগপৎভাবে ৬৩টি দল আন্দোলন করছে।
আই/এ
-
আইন-বিচার3 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
এশিয়া6 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি6 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
বলিউড6 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
-
অপরাধ3 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
খুলনা4 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
ক্রিকেট2 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
শিক্ষা5 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন