Connect with us

জাতীয়

নতুন বছরে সঙ্গীকে কী উপহার দেবেন

Published

on

নতুন বছর শুরু হতে আর মাত্র একদিন বাকী। অনেকেই ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে নানা ধরনের পরিকল্পনা করেছেন। কেউ কেউ প্রিয়জনকে কী উপহার দেবেন তা নিয়েও ভাবছেন। সেক্ষেত্রে দেখে নিতে পারেন এ উপহারগুলো। যেমন-

ডায়েরি : আপনার সঙ্গী যদি গোছানো ধরনের হয় এবং সব কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে পছন্দ করেন তাহলে তাকে সুন্দর একটি ডায়েরি উপহার দিতে পারেন। দৈনন্দিন কাজ কিংবা আগামী দিনের পরিকল্পনা তিনি ওই ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। তাছাড়া, এটা থেকে বোঝা যাবেন আপনি আপনার সঙ্গীর কতটা খেয়াল রাখেন। তবে ডায়েরিটা যেন খুব সাধারণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

ফটো ফ্রেম : নিজেদের সুন্দর মুহূর্ত ফ্রেমবন্দী করে রাখার মতো আনন্দের কিছু নেই। আপনাদের প্রিয় মুহূর্তের কিছু ছবি প্রিন্ট করে ফ্রেমবন্দী করে সঙ্গীকে উপহার দিতে পারেন। সঙ্গে ভালোবাসার কিছু পংক্তিমালাও যোগ করে দিতে পারেন। এটা থেকে নিশ্চয়ই আপনার প্রিয় মানুষটির মুখে হাসি ফুটে উঠবে।

ইনডোর প্ল্যান্ট : আপনার সঙ্গী যদি প্রকৃতি ভালোবাসেন তাহলে তার জন্য ঘরে রাখা যায় এমন কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট উপহার দিতে পারেন। এ উপহারে সঙ্গীর প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ পাবে।

গরম পোশাক : নতুন বছর শুরু হয় ঠান্ডার মধ্যে। সেক্ষেত্রে প্রিয়জনকে গরম কাপড়ও উপহার দিতে পারেন। এজন্য জ্যাকেট, মাফলার, গ্লালভ, মোজা কিনতে পারেন।

Advertisement

শুকনো ফল : একজন আরেকজনের খেয়াল রাখা, সুস্বাস্থ্য নিয়ে ভাবার মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ পায়। সেজন্য সঙ্গীকে চাইলে এক প্যাকেট শুকনো ফল যেমন- বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কিশমিশ উপহার দিতে পারেন। এটি আপনার সঙ্গীকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে উৎসাহী করবে।

ডার্ক চকোলেট : যদি আপনার সঙ্গী চকোলেট পছন্দ করেন তাহলে তাকে এক বাক্স ডার্ক চকোলেট উপহার দিতে পারেন। আজকাল নানা ধরনের ডিজাইন করা বাক্সে ডার্ক চকোলেট পাওয়া যায়। এর মধ্য থেকে বেছে সুন্দর দেখতে কোনো বাক্সভর্তি ডার্ক চকোলেট উপহার দিতে পারেন সঙ্গীকে।

হেডফোন : আপনার সঙ্গী যদি গান শুনতে পছন্দ করেন তাহলে তাকে ভালো মানের হেডফোন উপহার দিতে পারেন।

মগ : আপনার সঙ্গী যদি কফি পছন্দ করেন তাহলে তাকে আকর্ষণীয় একটি কফি মগ উপহার দিতে পারেন।

আরামদায়ক কেডস : শীতের সকালে আরামদায়ক কেডস পড়ে হাঁটার আনন্দই অন্যরকম। আপনার সঙ্গী যদি হাঁটতে পছন্দ করেন তাহলে তাকে হাল ফ্যাশনের কোনো আরামদায়ক কেডস উপহার দিতে পারেন। সূত্র : বোল্ড স্কাই

Advertisement

জাতীয়

র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে যা জানালো যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। বললেন, আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংএ এ তথ্য জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র।

ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়া এক সাংবাদিক জানতে চান , বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। এ বিষয়ে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে এবং প্রসেসের মধ্যে আছে। এমন দাবি কী সত্য?

জবাবে প্যাটেল বলেন, এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র‍‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না।

এর আগে ডোনাল লু এর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা জানিয়েছেন র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে লু জানিয়েছেন, “তারা বলেছে এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন- হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে”

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আগে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ভোটচুরি ও ভোগে ব্যস্ত ছিলো : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

যে দেশ বিজয় অর্জন করেছে তা ব্যর্থ হতে পারে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ভোটচুরি ও ভোগ করায় ব্যস্ত ছিলো। গ্রামের মানুষ নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে সে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে সংকটকাল চলছে, বাংলাদেশও প্রভাবমুক্ত নয়। নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-আইইবি-তে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি কল্যাণধর্মী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বাস করতেন। জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, চেয়েছিলেন এ দেশে মানুষ অন্তত দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে বাঁচবে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। উন্নত জীবন পাবে, এটাই ছিল তার স্বপ্ন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ, নিপীড়ন এবং পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে অব্যাহত সম্পদ পাচারের প্রেক্ষিতে তিনি ১৯৬৬ সালে পেশ করেন বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা। এটি প্রণয়নে সে সময়কার বেশ কয়েকজন বাঙালি অর্থনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে শুরু হয় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। সামরিক জান্তার বুটের তলায় পিষ্ট হয় গণতন্ত্র। দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি জেঁকে বসে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প বিস্তারলাভ করে।

Advertisement

তিনি বলেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণের কাজ করাই আমার জীবনের ব্রত। দীর্ঘদিন রাজনীতি এবং সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি, প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অর্থনীতি গভীরভাবে সম্পৃক্ত। আমার রাজনীতি, রাষ্ট্রপরিচালনা ও অর্থনীতিবিষয়ক চিন্তাভাবনা অনুসৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন ও অর্থনীতি দর্শন থেকে।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯১ সালে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের সরকারের তত্ত্বাবধানে যে নির্বাচন হয়, সেখানে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি। কারণ, সুবিধাভোগী দেশি-বিদেশি চক্র সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় বসায়। ক্ষমতায় বসেই বিএনপি নব্য স্বৈরাচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সীমাহীন দুর্নীতি, দলীয়করণ, সন্ত্রাসের করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত হয় দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও শিক্ষাসহ সব খাত।

তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমার দেড় দশকের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরন্তর গবেষণা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের রহমানের আদর্শকে ধারণ করে আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথনকশা তৈরি করি।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই: স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেই বলেন শেখ হাসিনা

Published

on

আজ ১৭ মে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের এদিন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।

এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এ সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। একারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।

Advertisement

১৯৮১ সালের এদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখো মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

সে দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেওয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এ সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন এখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

কর্মসূচি:

Advertisement

বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আধুনিক-উন্নত  সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৭ মে সকাল ৯ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়।
বিকাল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা; সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ বক্তব্য রাখবেন। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা সভা: মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুম্মা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০) খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

কর্মসূচি সফল করার আহবান ওবায়দুল কাদেরের

Advertisement

১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা  ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

তিনি গত চার দশকের বেশি সময় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version