আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনি পাঁচদিনেরও বেশি সময় ধরে একই কাপড় পরিধান করে আছেন। শুধু তাই নয়; করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেও তাকে ব্যবহার করতে হচ্ছে একই মাস্ক।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আদালতে এমন অভিযোগ তোলেন পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। এ বিষয়ে সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনজীবীরা অনেক কিছুই বলতে পারেন। তবে তাদের অভিযোগ সত্য নয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ অন্যদের ৬টি গাড়ি জব্দ করেছে সিআইডি। একইসাথে তাদের সম্পদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সিআইডির প্রধান।
আসামিদের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে শুধুমাত্র তাদেরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান ব্যরিস্টার মাহবুবুর রহমান।
এ সময় তিনি আরও জানান, পরীমনির বিরুদ্ধে প্রতারণার মৌখিক অভিযোগ এসেছে। লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরীমনিকে আবারও রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। যা আদালত মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
এ সময় সিআইডি প্রধান বলেন, আসামিদের বাসা থেকে বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। যার ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে। সব তথ্য হাতে এলে দ্রুতই মামলার তদন্ত কাজ শেষ করা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
মাদক মামলায় মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পরীমনির চারদিনের রিমান্ড শেষে আবারও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত।
এদিন শুনানি শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে লিফটে ওঠার আগে ভিড় করে থাকা উৎসুক জনতাকে উদ্দেশ্য করে পরীমনি বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে, আর আপনারা হাসছেন!’
এ মামলায় পরীমনির সঙ্গে গ্রেপ্তার তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
বনানী থানার এই মাদক আইনের মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আদালতে হাজির করে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল সিআইডি। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানির সময় পরীমনি চশমার নিচে হাত দিয়ে চোখ মুছছিলেন। আশরাফুল ইসলাম দীপুও কাঁদছিলেন। আর পরীমনির এক সিনেমার প্রযোজক রাজ ছিলেন বিমর্ষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন পরীমনির।