Connect with us

শিল্প

র‍্যাব-পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তৈরি হচ্ছে আবাসিক ভবন

Published

on

৪২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকা ব্যয়ে র‍্যাব, পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের তিনটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠকে মোট এক হাজার ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ৩টি এবং ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ২টি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫১২ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।

এরপর অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। তিনি জানান, বৈঠকে র‍্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর নির্মাণ প্রকল্পের ডব্লিউডি-১ লটের আওতায় র‍্যাব সদর দপ্তরে ১২তলা ব্যাচেলার অফিসার্স কোয়ার্টার্স, ১০তলা ফোর্স ব্যারাক এবং ৮তলা ডিএডি মেস কাম এমটি শেড নির্মাণ কাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে ১টি রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লিমিটেডের কাছ থেকে ১৯২ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২৬ টাকায় বর্ণিত নির্মাণ কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্যাকেজের আওতায় ১২তলা ব্যাচেলার অফিসার্স কোয়ার্টার্স, ১০তলা ফোর্স ব্যারাক এবং ৮তলা ডিএডি মেস কাম এমটি শেড, অভ্যন্তরীণ স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিকরণ, গ্যাস সংযোগ, লিফট, পাম্প, মটর, পিএবিএক্স ইন্টারকম, অগ্নি নির্বাপন স্থাপন ইত্যাদি কাজ করা হবে।

বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।

Advertisement

রাইদুল শুভ

জাতীয়

জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় মুণিপুরী শাড়ি ও ঢাকার কাতানসহ ৭ পণ্য

Published

on

সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইল শাড়ির পর এবার বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়ি। জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য আরও অপেক্ষায় রয়েছে সিরাজগঞ্জের গামছা, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, ঢাকার মিরপুরের কাতান, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, টাংগাইলের মধুপুরের আনারস ও মাগুরার হাজরাপুরী লিচু।

বাংলোদেশের জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের অংশ হিসেবে জিআই জার্নালে অনুমোদিত হয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়িসহ ৭ পণ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুব শিঘ্রই এই জার্নাল প্রকাশ করা হবে।

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কোনো পণ্যের নাম জিআ্ই জার্নালে প্রকাশ করা হয়। এরপর ওই জার্নালে প্রকাশের পর ওই পণ্যের বিষয়ে কারও আপত্তি, মতামত বা চ্যালেঞ্জ আছে কিনা সেটি দেখা হয়। ওই সময়ের মধ্যে কোনো আপত্তি বা চ্যালেঞ্জ না আসলে পরবর্তীতে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর একাজটি করে থাকে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ।

জিআই এমন একটি ভৌগোলিক নির্দেশক যা কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপত্তি বা উৎপাদনের খ্যাতিকে নির্দেশ করে। অর্থাৎ পণ্যটি ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়। একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং সেই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি মিলিয়ে জিআই পণ্য তৈরি হয়।

ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নির্দেশনা অনুযায়ী জিআই সনদ প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।

Advertisement

ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ পাশ হওয়ার পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জিআই পণ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসাবে প্রথম ২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় আমরা এগিয়ে গেছি।’

ডিপিডিটির এই মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘মহাপরিচালক হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব নিয়ে আসি সেপ্টেম্বরে। আমরা নবোদ্যমে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং এখন পর্যন্ত দেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা ৩১। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদানের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  এরই মধ্যে বাংলাদেশেল বিভিন্ন জেলার আরও ৩০টি পণ্য জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এসব পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা, নোয়াখালীর মহিষের দই, দিনাজপুরের বেদানা লিছু, ঝিনাইদহের ল্যাংচা মিষ্টি, খালিশপুরের সাদা চমচম, হরিনাকুণ্ডুর পান, জয়পুরহাটের লতিরাজের কচু, নওগাঁর নাক ফজলী আম, সিরাজগঞ্জের তরল দুধ এবং লুঙ্গি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, ফুটি কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ, সুন্দরবনের মধু, পটুয়াখালীর মৃৎশিল্প, গফরগাঁওয়ের লাফা বেগুন, বান্দরবানের থামি ও মুরুংবাশি, শেরপুরের ছানার পায়েস, বরগুনার সোনামুগ ডাল, ঝালকাঠির পেয়ারা, কুমিল্লার খাদি, মানিকগঞ্জের হাজারী গুড়, বরিশালের আমড়া, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, পিরোজপুরের মাল্টা, গাজীপুরের কাঁঠাল, মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি ও মৌলভীবাজারের বর্ণির ধুছনির দই।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

‘বেঙ্গল গ্রুপ মানসম্পন্ন মোবাইল উৎপাদনে বদ্ধপরিকর’

Published

on

বগুড়ায় হয়ে গেলো বাংলাদেশের বহুল বিক্রিত মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড বেঙ্গল, লিনেক্স এবং মারলেক্সের রিজিওনাল ডিলার মিট অনুষ্ঠান। ছবি: বায়ান্ন্ টিভি

‘বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত লিনেক্স, বেঙ্গল এবং মারলেক্স মোবাইল বরাবরের মতো তার মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে বদ্ধপরিকর।অভিজ্ঞ কোয়ালিটি কন্ট্রোল টিমের সহযোগিতায় প্রতিটি মোবাইল উৎপাদনের সময়ের মান শতভাগ নিশ্চিত করা হয়।’ বললেন লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী নাহিদুল ইসলাম।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার পাঁচ তারকা হোটেল মমো ইন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে আয়োজিত বাংলাদেশের বহুল বিক্রিত মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড বেঙ্গল, লিনেক্স এবং মারলেক্সের রিজিওনাল ডিলার মিট অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রকৌশলী নাহিদুল ইসলাম আরও বলেন,‘সমগ্র বাংলাদেশে পণ্যের শতভাগ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বেঙ্গল, লিনেক্স এবং মারলেক্স মোবাইলের ১৮টি সার্ভিস সেন্টার এবং ৪০টি কালেকশন পয়েন্ট কাজ করে যাচ্ছে। ডিলারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আজকের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে।’

লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মেহেরিন জাহান মিতুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিনেক্সের ডেপুটি ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার রাসেল মাহমুদ।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিল্প

নতুন মজুরি বাস্তবায়নে ক্রেতাদের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএ’র

Published

on

দেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক পোশাক ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের সমর্থন ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। প্রধান প্রধান পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিদের সংগঠন, বায়ার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে এইচএন্ডএম, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, ডেকাথলন, নেক্সট সোর্সিং, জিইএমও, সেলিও, কনতুর, স্ট্যানলি/স্টেলা, ওইউএস, কেমার্ট, ওটো ইন্টারন্যাশনাল, জেনিফার, আলডি, সলস, আউচান এবং কিবাই সহ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং করা বৈশ্বিক পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর কান্ট্রি হেড ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ব্র্যান্ডদের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক শিল্প বিষয়ে বিবরণ দেন। তিনি নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরবরাহকারী এবং ক্রেতা উভয়কেই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে, তার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন।

ফারুক হাসান বলেন, শিল্পের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে যে পণ্যগুলোর জাহাজীকরণ হবে, নতুন মজুরি কভার করে পণ্যগুলোর মূল্য যথাযথভাবে সমন্বয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

দায়িত্বশীল ক্রয় চর্চার মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের ভবিষ্যতের সমস্ত ব্যবসায়িক আলোচনা এবং চুক্তিতে নতুন ন্যূনতম মজুরি নীতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version