বাংলাদেশ
রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে টুইটার
ভারতের কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার। সম্প্রতি দিল্লিতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার নয় বছরের এক শিশুর পরিবারের ছবি প্রকাশের অভিযোগে রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ।
ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, গেল রোববার দিল্লির একটি শ্মশানে নয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়। মেয়েটির পরিবার পুলিশে খবর দিতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। তাদের বসিয়ে রেখে চোখের সামনেই জোর করে শিশুটির দেহ দাহ করে দেওয়া হয়।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় শ্মশানের পুরোহিতসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের দাবি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে মেয়েটি।
ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা দিল্লি পুলিশের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও। ওই পরিস্থিতিতেই গেল বুধবার মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গান্ধী। সেই ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্টও করেন তিনি। যা নিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিল বিজেপি।
তবে শুধু বিজেপি নয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চার আগস্ট টুইটারকে চিঠি দিয়েছিল ভারতের জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। এরপরই রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়। একই অভিযোগে দেশটির ফেসবুক প্রধানকেও তলব করেছে কমিশন।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই শিশুর পরিবারের ছবি প্রকাশ করায় ব্যবস্থা নিতে ফেসবুককেও চিঠি দেয় তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতেই ফেসবুক প্রধানকে তলব করা হয়েছে।
এসএন
জাতীয়
আজ আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে ঘর
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে।মঙ্গলবার (১১ জুন) সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন।
এদিন, আরও ৭০টি উপজেলা এবং ২৬টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন সরকারপ্রধান। এর মধ্য দিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে দেশের ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার আগেই মঙ্গলবার (১১ জুন) ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারের ঈদগাঁও, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ ও ভোলার চর ফ্যাশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন সরকারপ্রধান। এর মধ্য দিয়ে দেশের ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মোট ছয় দফায় ৩২টি জেলার সব উপজেলাসহ ৩৯৪টি উপজেলাকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।
নতুন করে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলাগুলো হলো ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ।
আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘর দেওয়ায় এখন পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছে। এর মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের সংখ্যা ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৭৫টি, ঈদগাঁও উপজেলায় ১৪৬টি এবং মহেশখালী উপজেলায় ৪০টি, সর্বমোট ২৬১টি ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এগুলো নির্বাচিত ভূমিহীন ওগৃহহীণদের মাঝে মঙ্গলবার হস্তান্তর করা হবে। কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ও মহেশখালী উপজেলায় আর কোনও ভূমিহীন পরিবার না থাকায় ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে।
নির্মিত প্রতিটি ঘরের সঙ্গে পরিবারপ্রতি ২ শতাংশ খাসজমি বিনামূল্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। এই হিসেবে এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ৫০ একর খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি।
১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী (বর্তমান লক্ষ্মীপুর) জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমি-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমআর//
জাতীয়
শেখ হাসিনার মুক্তির মাধ্যমেই ফিরে আসে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
আজ ঐতিহাসিক ১১ জুন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের এই দিনে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপিতি শেখ হাসিনা।
এর আগে, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে তাঁর ‘সুধা সদন’ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। বন্দি থাকা অবস্থায় কারা অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই সময় বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক মহলের দাবি এবং আপসহীন মনোভাবের কারনে ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান শেখ হাসিনা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই বঙ্গবন্ধুকন্যার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় মহাজোট সরকার। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ এবং সবশেষ চলতি বছরের ৭ জানুযারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধ্স জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনাও টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৮ সালের ১১ জুন কারামুক্ত হওয়ার পরের বছর ওই দিনটিকে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মতোআপসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা শুরু হয়। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে।
জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন শেখ হাসিনা। সকল বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় উজ্জ্বল এদেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমআর//
জাতীয়
হাসপাতালে ২১৪ জন রোগীর জন্য এক টয়লেট : আইসিডিডিআর,বি
ঢাকার সরকারি হাসপাতালের টয়লেটগুলোর মধ্যে ৬৮ শতাংশ ব্যবহার উপযোগী, আবার এসব টয়লেটের মাত্র ৩৩ শতাংশ পরিচ্ছন্ন। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালের ৯২ শতাংশ টয়লেট ব্যবহার করা গেলেও পরিচ্ছন্ন টয়লেট এর ৫৬ শতাংশ। ২ হাজার ৪৫৯টি টয়লেট পর্যবেক্ষণ করে ঢাকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা, ব্যবহার উপযোগিতা এবং পরিচ্ছন্নতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। গবেষণায় জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)
সোমবার (১০ জুন) আইসিডিডিআর,ব’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার ১২টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের টয়লেট পরিস্থিতি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই গবেষণা পরিচালনা করে আইসিডিডিআর,বি। গবেষণাটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক প্রকাশনা প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আইসিডিডিআর,বি জানায়, ব্যবহার অনুপযোগী ও অস্বাস্থ্যকর টয়লেট কলেরা ও টাইফয়েডের মতো রোগের জীবাণু ছড়ায় ও জনস্বাস্থ্যে ঝুঁকি তৈরি করে। হাসপাতালে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, হাসপাতাল থেকে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বহির্বিভাগে রোগী অনুপাতে টয়লেটের সংখ্যা কম। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতি একটি টয়লেটের বিপরীতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২১৪ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে টয়লেট প্রতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৪ জন। এই অনুপাত ওয়াটার এইড প্রস্তাবিত আদর্শমানের তুলনায় অনেক কম।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে টয়লেট নির্মাণের ক্ষেত্রে ওয়াটার এইড এর নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ২০-২৫ জন রোগী বা পরিচর্যাকারীর জন্য একটি করে টয়লেট এবং এর অতিরিক্ত বা প্রতি ৫০ জন রোগী বা পরিচর্যাকারীর জন্য দুটি করে টয়লেট থাকতে হবে।
এমনকি রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয় ওয়াশ (ওয়াটার,অ্যা স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) স্ট্যান্ডার্ড ও বাস্তবায়ন নির্দেশিকা-২০২১ অনুযায়ী টয়লেট নেই বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে প্রতি ছয়টি বেডের জন্য একটি টয়লেট থাকতে হবে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে প্রতিটি টয়লেটের বিপরীতে ব্যবহারকারী ১৭ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে এই সংখ্যা ১৯ জন। অন্তর্বিভাগের টয়লেট অপরিচ্ছন্ন, রোগী অনুপাতে টয়লেটের সংখ্যা ও ব্যবহারে উপযোগীতা অনেক কম।
এ ছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা টয়লেট আছে রাজধানীর ১ শতাংশেরও কম হাসপাতালে। ৯৭ শতাংশ হাসপাতালেই পিরিয়ডের সময় ব্যবহৃত প্যাড এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ময়লা ফেলার ঝুড়ি নেই।
গবেষণায় টয়লেটের ব্যবহার উপযোগিতা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ ব্যবহৃত মানদণ্ড অনুযায়ী। দৃশ্যমান মলের উপস্থিতি, মলের তীব্র গন্ধ, মাছি, থুথু, পোকামাকড়, ইঁদুর এবং কঠিন বর্জ্যের উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইসিডিডিআর,বি-র সহযোগী বিজ্ঞানী ও এই গবেষণার প্রধান তদন্তকারী ডা. মো. নুহু আমিন বলেন, ঢাকার হাসপাতালগুলোর প্রকৃত স্যানিটেশন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কারণ গবেষণাটি করা হয়েছে কভিড-১৯ মহামারির ঠিক পরে। তখন রোগীর প্রবাহ এবং টয়লেট ব্যবহার কমে যেতে পারে।
এই গবেষক হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন ও কার্যক্ষম টয়লেট বজায় রাখার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো, লিঙ্গভিত্তিক প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদার উপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন।
গবেষণায় বলা হয়, এই গবেষণাটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এই বিষয়ে গবেষণার ঘাটতি পূরণের সহায়ক হবে। তাছাড়া ঢাকার হাসপাতালগুলোতে অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনের সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় নীতি পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকার ১২টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের টয়লেটের ওপর এই গবেষণা করা হয়। গবেষণায় এসব হাসপাতালের ২ হাজার ৪৫৯টি টয়লেট পর্যবেক্ষণ করে টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা, ব্যবহার উপযোগিতা এবং পরিচ্ছন্নতা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এএম/
-
বাংলাদেশ5 days ago
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যে তোলপাড় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে
-
চট্টগ্রাম3 days ago
কাঁঠাল-রুটি খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
-
অর্থনীতি5 days ago
বাজেটে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম
-
অন্যান্য3 days ago
স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী
-
অর্থনীতি5 days ago
বাজেটে কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম
-
অর্থনীতি5 days ago
ধূমপায়ীদের জন্য আসছে দুঃসংবাদ
-
চট্টগ্রাম3 days ago
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, নবজাতককে পেটে রেখে সেলাই
-
অপরাধ2 days ago
সহকর্মীকে হত্যার পর যা বললেন কনস্টেবল কাউসার