Connect with us

চাকরির খবর

বসনিয়ার জঙ্গলে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে চায় আইওএম

Published

on

সম্প্রতি জার্মান মিডিয়া ডয়চে ভেলেসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ বসনিয়ার জঙ্গলে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের করুণ অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্রের বরাতে ডয়চে ভেলে জানায়, গত কয়েক দিনে ডয়চে ভেলের সংবাদ প্রকাশের পর জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা—আইওএমের বাংলাদেশ অফিস থেকে গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকার চাইলেই তো তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে না। এ ছাড়া যারা আটকে রয়েছেন, তারা কি ফিরে আসতে চান? সেটাও তো আমরা নিশ্চিত নই। ফলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিবাসন ও উদ্বাস্তু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, প্রথম কথা হলো, তারা (জঙ্গলে আটকেপড়া ব্যক্তিরা) বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ (বাংলাদেশ) সরকারকে নিতে হবে। কিন্তু সেখানেও নানা জটিলতা আছে। সেই প্রক্রিয়াটি কী হবে? এই ফিরিয়ে আনার খরচ কে দেবে?

তার মতে, এমন হতে পারে যারা অবৈধভাবে সেখানে গেছেন, তাদের ফিরিয়ে আনবে সরকার, কিন্তু দেশে ফেরার পর খরচের টাকা তাদেরই দিতে হবে। আবার যারা অবৈধভাবে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের যদি এভাবে সরকার ফিরিয়ে আনতে শুরু করে, তাহলে অবৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, এমনটিও কেউ মনে করতে পারে।

তিনি বলেছিলেন, ফলে সরকারকেই একটা পথ বের করতে হবে। কারণ যারা সেখানে আছেন, তারা তো বাংলাদেশের নাগরিক, এটা তো আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।

Advertisement

জানা গেছে, অবৈধপথে ইতালিতে ঢুকতে অনেকেই নতুন রুট—বসনিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়াকে বেছে নিয়েছে। মূলত ক্রোয়েশিয়া থেকে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর পাড়ি দিয়ে লোকজনকে ইতালি পাঠাচ্ছে চক্রটি। নতুন এই পথে ইতালি যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা গত তিন বছরে বেড়ে গেছে পাঁচ গুণ।

গত ৯ মাসে দুই হাজার ৫৫৩ জন বাংলাদেশি বসনিয়া পৌঁছেছেন। সেখানে তারা নাম নিবন্ধন করেছেন। এদের শেষ গন্তব্য ইতালি। আইওএম কর্মকর্তারা জানান, বৈধ-অবৈধ যাই হোক, বসনিয়ায় এসে অভিবাসীদের নাম নিবন্ধন করতে হয়। গত তিন বছরে নিবন্ধনকারী বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার।

ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান ডয়চে ভেলে জানিয়েছেন, ফিরিয়ে আনার একটা প্রক্রিয়া আছে। বহু অবৈধ অভিবাসীকে সরকার ফিরিয়ে আনছে। কত মানুষকে এভাবে আনবে? তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করবেন, বসনিয়ার জঙ্গলে আটকে থাকা বাংলাদেশিদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করা হোক।

তার মতে, সরকার ফিরিয়ে আনতে চাইলেও তারা তো আসতে চান না। যখন ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে, তখন দেখা যাচ্ছে তারা সেখান থেকে পালিয়ে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছেন। ফলে যারা সেখানে গেছেন, তারা জেনে বুঝেই গেছেন।

তিনি বলেছিলেন, পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত তারা খরচ করেছেন। এখন দেশে ফিরে তারা কী করবেন? এ কারণে অবৈধ অভিবাসন নিরুৎসাহিত করতে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারেও সচেতনতা দরকার। আপনি দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও দেখবেন অনেকে অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন। ফলে পরিবার থেকেই সচেতনতা দরকার।

Advertisement

বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর মহাপরিচালক শামসুল আলম বলেছেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এখনো বসনিয়ার জঙ্গলে আটকে থাকাদের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলেনি। আইওএম অনুরোধ করলে নিশ্চয়ই মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তখন আমরা এ বিষয়ে বলতে পারব।

এ দিকে ডয়চে ভেলের দাবি, বসনিয়ার জঙ্গলে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা সরাসরি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ব্যাংক

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। অফশোর ব্যাংকিং হিসাবের আওতায় প্রবাসীরা যাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ হন, সে জন্য আয়োজিত নানা প্রচারণায় অংশ নেবেন তারা। পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধ–সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানেও তাদের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে আরও যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৪ মে নিউইয়র্কে একটি হোটেলে প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট–সংক্রান্ত প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন। জানা গেছে, এ অনুষ্ঠানের খরচও বহন করবে উল্লিখিত ব্যাংকগুলো।

পাশাপাশি একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ব্যাংক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন আরও ২৫ জন এমডি। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়া–সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে। তবে ডলার–সংকটের মধ্যে একসঙ্গে প্রায় অর্ধেক ব্যাংক এমডির বিদেশে যাওয়া নিয়ে ব্যাংক খাতে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য, দেশের ডলার–সংকটের এ সময়ে ব্যাংক খাতে ডলারের জোগান বাড়াতে বিভিন্ন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এ জন্য নানা ধরনের প্রচার–প্রচারণাও চালাচ্ছে ব্যাংকগুলো। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় ডলার জমায় উদ্বুব্ধ করতে দেশটিতে প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ব্যাংক

চাহিদা ও জোগান সাপেক্ষে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে, প্রজ্ঞাপন জারি

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‌‘স্মার্ট সুদহার’ চালুর পরে এক বছরও টিকল না। গেল অর্থবছরের ‍শুরুতে চালু হওয়া ‘এসএমএআরটি’ পদ্ধতি ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে ১০ মাসের মাথায় বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ঋণের সুদের হার সম্পূর্ণভাবে বাজার ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া নীতি সুদহার দশমিক ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একাধিক সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগান সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। তবে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি নির্দেশনা পরিপালন করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন দেয় আইএমএফ। যার অন্যতম শর্ত ছিল বেঁধে দেওয়া সুদহার থেকে বেরিয়ে আসা। ঋণের শর্ত পরিপালনের জন্য গত বছরের জুলাই থেকে সুদের হারের নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ পদ্ধতি চালুর পর থেকে স্মার্ট রেটের সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে।

এদিকে বাজারভিত্তিক সুদহার চালু করায় ব্যাংকের সুদহার বাড়বে। আর সুদহার বাড়লে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কমে যাবে কর্মসংস্থান। সার্বিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

Advertisement

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন সুদহারের সীমা ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার পর গত অর্থবছর থেকে চালু হয়েছিল এই ‘স্মার্ট রেট’ পদ্ধতি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তসহ নানামুখী চাপে পরে ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি  (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্যাংকঋণের সুদহার সম্পূর্ণ বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় ব্যাংকের সব আয়োজন ও আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ছাড় বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন ব্যাংক রিপোর্টাররা।

বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ওয়াকআউট করেন সাংবাদিকরা। সম্মেলন শুরুর নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এর আগে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাংক রিপোর্টাররা। তাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

ইতোমধ্যে টিআইবি, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ, ইআরএফ, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফআইউজে, নিন্দা জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এমন অলিখিত এ নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী বলে মনে করছে সংগঠনগুলো।

উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য সংগ্রহে প্রবেশ ইস্যুর বিষয়ে সুরাহা হয়েছে কি না। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনটি বর্জনের ঘোষণা দেন অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা।

Advertisement

 

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version