বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল। তার নাম আজও টিকে আছে আবাহনী ক্লাবকে কেন্দ্র করে। কিন্তু এক দশকেও তার নামে হতে চলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স পূর্ণতা পায়নি। প্রতিবছরই ৫ আগষ্ট জন্মদিন আর ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বার্ষিকীতে সামনে আসে কমপ্লেক্সটির অগ্রগতি। ক্লাবটির সাফল্যও কিছুটা ম্লান হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। ক্রিকেট, হকিতে ধারাবাহিকতা থাকলেও, ফুটবলে নেই ট্রফি।
ইকবাল স্পোর্টিং ক্লাব থেকে আবাহনী ক্রীড়া চক্র। কালের পরিক্রমায় আজকের আবাহনী লিমিটেড। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সফল ক্লাবের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।
যার কারিগর বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামাল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যার ছোঁয়ায় আমূল বদলে যায় দেশের ক্রীড়াঙ্গন। ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম বিদেশী কোচ হয়ে আসেন বিলহার্ট। তবে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট শেখ কামালের প্রাণের সাথে কেড়ে নেয় আবাহনীকে নিয়ে তার শত স্বপ্ন আর পরিকল্পনা।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আধুনিকতার রূপকার শেখ কামালের নামে ২০১১ সালে পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মানের উদ্যোগ নেয় আবাহনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে যার ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উদ্বোধন করেন শেখ রেহানা। তবে, দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পূর্ণতা পায়নি সেই কমপ্লেক্স। অগ্রগতি বলতে শুধু একটি ভবন।
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদসহ ক্লাবটির সাথে জড়িয়ে আছেন হেভিওয়েট কর্তা-ব্যক্তিরা। তবুও কেন অগ্রগতি নেই স্বপ্নের ক্রীড়া কমপ্লেক্সের? উত্তর জানা নেই ক্লাব সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমানদের। আর এ নিয়ে কথা বলতে চাননি ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ।
ক্রীড়া কমপ্লেক্স ইস্যুতে আবাহনীকে টপকে গেছে তাদের নব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বসুন্ধরা কিংস। নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে মেগা প্রজেক্ট। আর বারবার ফিরে আসছে সেই প্রশ্ন, এক দশকেও কেন আলোর মুখ দেখেনি শেখ কামালের নামে ক্রীড়া কমপ্লেক্স?
এএ