Connect with us

জাতীয়

বরিশালে ব্যানার খোলা নিয়ে সংঘর্ষ, মেয়রের উদ্দেশ্যে গুলি

Published

on

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ কমপক্ষে ৩০ জন।

বুধবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সি এন্ড বি রোডে এলাকার থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে এ সংঘর্ষ,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণ  সহ গুলিবিদ্ধের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ প্রশাসন, মাঠ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, মেয়র তাঁর নিজ বাসায়  সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, নগরীর পরিস্কার করার স্বার্থে পুরোনো ব্যানার বা ভূইফোর সংগঠনের ব্যানারগুলো সরিয়ে ফেলতে স্টেটমেন্ট নিয়েছি৷

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে গিয়ে বানার খোলার সময় বাঁধার মুখে পড়ে সিটি করপোরেশন স্টাফরা।

এরপর উপজেলা নিবার্হী অফিসার ( ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সাথে সিটি করপোরেশন স্টাফ ও নেতাকর্মীদের গালাগাল- বাকবিতন্ডা হয়।

Advertisement

একপর্যায় সিটি করপোরেশন স্টাফ ও নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হলে ইউএনও তাঁর সরকারি বাসভবনে চলে যান। এসময় তার করোনার আক্রান্ত বাবা মাকে গালিগালাজ করে বাসভবনে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে নেতাকর্মীরা এগিয়ে গেলে ইউএনও'র নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র আনসার বাহিনীর সদস্যরা তাদের কে গুলি করতে বাধ্য হয়  বলে জানান ইউএনও মুনিবুর রহমান। 

আর নেতাকর্মী ও সিটি করপোরেশন স্টাফরা বলছেন, তার বাসভবনে হামলার উদ্দেশ্যে নয়, রাতে ব্যানার খোলার জন্য গেলেই ইউএনও'র নির্দেশে আমাদের উপর গুলি ছোঁড়ে আনসার বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে ইউএনও নিজেই আমাদের উদ্দেশ্য গুলি ছোঁড়েন। 

খবর শুনে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে তার পরিচয় দিলেও মেয়রের উপরে গুলি ছোঁড়েন আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এতে কমপক্ষে ৩৫/৪০ গুলিবিদ্ধ ও আহত হন বলে জানান নেতাকর্মীরা। সবাই কে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন  পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক জানান, বুধবার রাতে ঘটনার পরপরই বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার যতটুকু আমাদেরকে জানিয়েছেন, তার বাসভবন এলাকায় কিছু লোক ব্যানার খুলতে আসে। কিন্তু সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় রাতের বেলা এভাবে ব্যানার খুলতে নিষেধ করেন তিনি। সেসময় আগত লোকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় এবং তারা নির্বাহী কর্মকর্তার নিষেধ অমান্য করে বাসভবনে প্রবেশ করতে উদ্যত হন। এসময় নিরাপত্তার খাতিরে দায়িত্বরত আনসার বাহিনী গুলি ছোঁড়ে। 

Advertisement

পরে খবর পেয়ে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সেসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের দিকে কিছু লোক এগিয়ে গেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এসময় একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়া ইউএনও দাবি করেছেন তার বাসভবনে দায়িত্বরত কয়েকজন আনসার সদস্যও আহত হয়েছেন।

মুনিয়া

জাতীয়

মঙ্গলবার জনসংযোগ, বুধবার কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

Published

on

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ ও পরশু (বুধবার) পূর্ণদিবস সর্বাত্মক ব্লকেডের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতারা। চলমান চার দফা দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে এক দফা দাবিতে নামিয়ে দ্বিতীয় দিনের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবরোধের পর রাত সাড়ে ৮টায় শাহবাগে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কাঁটাবন, শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, মৎস্য ভবন, কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, চাঁনখারপুল ও ফার্মগেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান করেন।

অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, আমরা রাজপথে থেকে ক্লান্ত নই। হলগুলোতে যদি শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া হয় তাহলে আমরা দাঁত ভাঙা জবাব দেবো। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি শিক্ষার্থীদেরকে যেন কোনো ধরনের বাধা না দেয়া হয়। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনা করছি। আগামীকাল অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ চলবে। সারেদেশে আন্দোলন পরিচালনার জন্য ৬৫ সদস্যের সমন্বয় টিম গঠন করেছি। তাদের সাথে আলোচনা করে আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বুধবারের জন্য কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৮টার দিকে সড়ক থেকে সরে যেতে শুরু করেন কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। এর আগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ করে অবস্থান নেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আর কোনও পরিবহন চলতে না দেয়ায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটাবিরোধীদের যে পরামর্শ দিলেন আইনমন্ত্রী

Published

on

আন্দোলনকারীরা একজন আইনজীবী রেখে আদালতে তাদের বক্তব্যে উপস্থাপন করলে নিশ্চই আদালত তাদের ন্যায্য রায় দেবেন। তবে আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলন করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (8 জুলাই) বিকেলে সমকালকে তিনি এ কথা বলেন। আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ পাঁচজন মন্ত্রী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বাকিরা হলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আরাফাত ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা।

এ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বৈঠকে কোটাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। কোটা একটা বার্নিং ইস্যু। পার্টির সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে বলেছেন। আমার বক্তব্যে হচ্ছে, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় তখন কিন্তু কোটার বিপক্ষে যারা তাদের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তারা আদালতে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেননি। এখন মামলাটা আপিল বিভাগে গেছে, আমার বিশ্বাস আপিল বিভাগে তারা একজন আইনজীবী রেখে তাদের বক্তব্যে যদি উপস্থাপন করেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আপিল বিভাগ একটা ন্যায্য রায় দেবেন।

তিনি বলেন, যারা এই আন্দোলন করছেন এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, বিষয়টা আদালতের। অবরোধ করে বক্তব্য দিয়ে বা চিৎকার করে কোনো লাভ নেই। বক্তব্য দিতে হবে আদালতে গিয়ে। আমার মনে হয়, আদালতে যদি এটা উপস্থাপন করা হয়, তাহলে নিশ্চয়ই একটা যৌক্তিক রায় পাবেন।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব মোড় ও গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

Advertisement

এএম/

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ড. ইউনূস ইস্যুতে পিটার হাসকে বাংলাদেশি-আমেরিকান প্লাটফর্ম’র চিঠি

Published

on

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনি জটিলতা নিয়ে ঢাকায়  নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম-দ্য কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেআইনিভাবে বকেয়া অর্থ আটকে রাখার অভিযোগে ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়, নিম্নআদালত দেখেছে ড. ইউনূস নিজের করও পরিশোধ করছেন না। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ড. ইউনূস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ড. ইউনূস এখনও তার পরিণতির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করছেন।

ড. ইউনূস সম্পর্কে প্ল্যাটফর্মটির মতামত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে উপস্থাপনের জন্য পিটার হাসকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই চিঠি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল ডেস্ককেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের সুবিধাভোগী বলে দাবি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে। এর প্রাথমিক মূলধনের জন্য ৫০০ কোটি টাকাও দিয়েছে।

কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মটির পক্ষে চিঠিতে আহ্বায়ক খালিদ হাসান লিখেছেন,  ড. ইউনূসের  শক্তিশালী আমেরিকান লবি দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছিলেন বলে আমি মনে করি। আমার মতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন সব উদ্যোগের জাতিসংঘের নিরীক্ষা চাওয়া উচিত। শেখ হাসিনাকে হত্যার ৪৩টি প্রচেষ্টার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সিআইএকে অবশ্যই জানতে হবে।

Advertisement

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি নেতা তারেক রহমান বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংগঠকদের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন।

ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ৩১ জন নিহত হন। বেঁচে যাওয়া বেশিরভাগই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল বলেও  চিঠিতে দাবি করা হয়।

এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরও সমালোচনা করা হয়েছে চিঠিতে।  ওই সময় ড. ইউনূসের নিরবতারও সমালোচনা করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওইসময় তারা বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়নি। বিস্ময়কর ছিল শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতাও। তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার নিন্দা করেননি। এমনকি নিহতের পরিবার বা আওয়ামী লীগের নেতাদেরও সান্ত্বনা দেননি।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version