Connect with us

রংপুর

গোবিন্দগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম, ভাঙনের আশঙ্কা

Published

on

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বড়দহ সেতু হতে সাঘাটা ত্রিমোহনী সেতু পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের অনিয়ম অভিযোগ উঠেছে পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন স্থানীয় কয়েকজন কৃষক।

 জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বড়দহ সেতু হতে সাঘাটা ত্রিমোহনী সেতু পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে এলজিইডি ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এক কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি বাস্তবায়ন করছে বড়দহ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি। করতোয়া (কাটাখালী) নদীর তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বাঁধ নির্মাণে কৃষকের ধান নষ্ট করে বাঁধের কাছ থেকেই মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন বাঁধ ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে অন্যদিকে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এছাড়াও বসতবাড়ীসহ কৃষকের ফসলি জমি দখল করে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দাখিল করা হয়েছে।

তালুক সোনাইডাঙ্গা গ্রামের মনি বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমাদের ক্ষমতা নেই, তাই আমাদের জমি জবরদখল করে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে তারা চাঁদাবাজি মামলাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

বড়দহ-ত্রিমোহনী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নওসা মিয়া বলেন, এই বাঁধ নির্মাণের কৃষকদের কোন ক্ষতি হয়নি। আমরা এই সমিতির মাধ্যমে এলজিইডি ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কাজ করছি।

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব জানান, কাজ এখনো শেষ করা হয়নি। বাঁধে নিচ থেকে যে মাটি কাটা হয়েছে তা আবারো ভরাট করে দেওয়া হবে। কৃষকের জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষকের জায়গা দিয়ে বাঁধ যাওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

মুনিয়া

রংপুর

সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না পঞ্চগড়ের কৃষকেরা

Published

on

পঞ্চগড়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা।  সরকারি ভাবে দেরিতে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হওয়ায় বাজারে আশানুরুপ ধানের দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। সরকারি ভাবে প্রতিমণ ধান ১২ শত ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও পঞ্চগড়ের হাট বাজার গুলোতে প্রতিমণ ধান ৮৫০ থেকে ৯ শত টাকা দর ধান বিক্রি হচ্ছে।

রোববার (২ জুন) জেলায় বোরো ধান ক্রয়ের চাহিদা কম বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন বোদা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাকারিয়া আহমেদ।

জেলার বালাভীড় গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান,তিনি ৮৫০ টাকা মন দরে ধান বিক্রি করেছেন। বাজারে ব্যবসায়ীদের অনেক অনুরোধ করে বাকিতে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে ধানের দাম অনেক কম এতে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে।

নগরকুমী হাটের ধান ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম জানান, এবারে ধানের বেপারী ও অটো মিল মালিকদের ধান ক্রয়ে আগ্রহ কম। তাই বাজারে ধানের দাম কম।

বোদা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকরতা  জানান,হাওড় অঞ্চলে এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং ওই অঞ্চলের কৃষকরা সঠিক সময়ে ধান কাটা মাড়াই করায় অনেক মিল মালিক হাওর অঞ্চল থেকে আগে ভাগের ধান সংগ্রহ করেছে তাই এই এলাকার ধানের চাহিদা কিছুটা কম।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গেলো ৭ মে জাতীয় ভাবে সরকারি গুদামে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও পঞ্চগড়ে ২২ মে থেকে সরকারি গুদামগুলোতে সংগ্রহ শুরু করা হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেলো যুবলীগ কর্মীর

Published

on

কুড়িগ্রাম পৌর শহরে বালুবাহী একটি ড্রাম ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মোঃ ইসলাম ভুটটু (৪৬) নামের এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়। নিহত যুবলীগ কর্মী কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পোষ্ট অফিস পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

রোববার (২ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পৌর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়রা জানান, চিলমারী থেকে ছেড়ে আসা বালুবাহী একটি ড্রাম ট্রাক পৌর বাজার এলাকায় পৌঁছালে কলেজ মোড়গামী একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা ভুটটু নামের এক আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে খবর পেয়ে ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সদর থানা পুলিশ।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

পাওনা টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

Published

on

কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা না পেয়ে দিনের পর দিন গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় প্রধান দুই অভিযুক্ত জয়নাল মিয়া ও আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ জুন) বিকেলে রাজিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী ও অভিযুক্তরা একসঙ্গে কসাইয়ের কাজ করতেন। পাওনা টাকা দিতে না পারায় ওই গৃহবধূকে জিম্মি করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছিল অভিযুক্তরা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লোকলজ্জার ভয়ে বিষপানে আত্মাহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী-স্ত্রী। এতে স্ত্রীর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান স্বামী।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এনিয়ে গেলো ২৯ মে থানায় নিহতের মামার তথ্যের ভিত্তিতে একটি ইউডি মামলা হয়।  পরে গেলো ৩১ মে  রাতে পুলিশের অনুরোধে নিহতের মামা বাদী হয়ে রাজীবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

এরই প্রেক্ষিতে রাতেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement

রাজিবপুর থানার ওসি জানান, বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে পৃথকভাবে জয়নাল ও আলমকে গ্রেপ্তার করেন তাঁরা। আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version