Connect with us

রংপুর

শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বিধবার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় করায় স্বপ্না রানী (৩২) নামে এক বিধবা নারীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলা বড়ভিটা ইউনিয়নের পুর্ব বড়ভিটা সেনের খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের (৩৬) নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাতে লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। তারা বাড়ির দরজা, জানালা ও বেড়া ভাংচুর করে। বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হয়েছেন স্বপ্না রানীর শ্বাশুড়ি বিনোদিনী রানী (৫৮) ও দুই দেবর সুধাংশ চন্দ্র রায় (৩৬) ও বরুন চন্দ্র রায় (২৭)।

তাদের মধ্যে বিনোদিনী রানী ও সুধাংশুকে ভর্তি করা হয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে।

হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতেনাতে আটক করেন প্রধান অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের বাবা কিফিল উদ্দিনকে। অন্যরা ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, গত ২৫ আগষ্ট বুধবার সকালে বাড়ির পাশে প্রাতভ্রমন করছিলেন স্বপ্না রানী। তাকে একা পেয়ে নুর মোহাম্মদ কুপ্রস্তাব দিয়ে জোড়পুর্বক টানহেচড়া করতে থাকেন। স্বপ্নার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা চুটে আসলে নুর মোহাম্মদ পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খয়বর আলী মিয়া মীমাংসার দায়িত্ব নেন। নুর মোহাম্মদ এ ব্যাপারে কোন পাত্তা দেননি। তাই স্বপ্না রানী বাদী হয়ে নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেন ২৭ আগষ্ট শুক্রবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ ২৮ আগষ্ট শনিবার সকালে নুর মোহাম্মদ দলবল নিয়ে স্বপ্না রানীর বাড়িতে হামলা চালায়।

নিহত উদয় চন্দ্রের স্ত্রী স্বপ্না রানী বলেন, কয়েক মাস ধরে নুর মোহাম্মদ তাকে বিরক্ত করে আসছিলেন। দেখা হলে আজেবাজে কথা বলতেন। সকালে তাকে একা পেয়ে জোরপুর্বক শ্লীতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করেন। নুর মোহাম্মদ ও তার লোকজন বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করে তার শ্বাশুড়ি ও দেবরদের পিটিয়ে আহত করেছেন। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি জানান।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান,  স্বপ্না রানীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা ঘটনায় একটি বৈঠকের আয়োজনা করা হলেও অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ কোন পাত্তা দেযনি। স্বপ্না রানী ও তার পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি বলেন।

ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছেন। প্রধান অভিযুক্তসহ অন্যদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও আহত করার ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

মুনিয়া

Advertisement

রংপুর

বজ্রপাতে রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সৈয়দপুরে বিমান ওঠানামায় বিঘ্ন

Published

on

বিমান ওঠানামার জন্য সৈয়দপুর বিমান বন্দর প্রস্তুত না থাকায় উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। সোমবার (২০ মে) সকাল ৮ টা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে পারেনি।

তবে সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা ও নভো এয়ারের দু’টি বিমান সৈয়দপুরে অবতরণ করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ।

তিনি জানান, গতকাল রোববার রাতে বজ্রপাতে বিমান বন্দরের নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কর্তৃপক্ষ সেসব রাতের মধ্যে মেরামতও করেছে। কিন্তু মেরামত করা স্থানগুলো এখনো ভালভাবে না শুকানোয় বিমান ওঠানামা বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি জানান বেলা ২ নাগাদ সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

পাচারের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা বিষ্ণুমূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১  

Published

on

নিলফামারীর সৈয়দপুরে বিষ্ণু মূর্তিসহ শফিকুল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‍্যাব। বিষ্ণুমূর্তিটি ভারতের পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

রোববার (১৯ মে) সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত শফিকুলকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক শফিকুল সৈয়দপুর উপজেলার কাশীরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পুকুরপাড়ার খলিল উদ্দিনের ছেলে।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৩-এর একটি দল গেলো শনিবার (১৮ মে) বেলা ৩টায়  শফিকুলের বাড়ীতে অভিযান চালালে তাকে তার বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।  পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ঘরে রাখা কালো পাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করে।র‍্যাব ১৩।

মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ১১ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৬ ইঞ্চি। বাজারে এর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ছয় লাখ টাকা।  এ ঘটনায় আজ সৈয়দপুর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে বলে জানান পুলিশ ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

১ টাকায় ১০ টি পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রি

Published

on

কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক টাকার বিনিময়ে ১০টি পরিবেশ বান্ধব পাখা উপহার দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)। তীব্র গরমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ভোগান্তি দূর ও পাঠদানের সুবিধার্থে এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের আরাজী কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এসব পাখা তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বানু এবং ফুলের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের।

ফুল শিক্ষা স্বাস্থ্য ও অসহায় বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে প্রায় দুই যুগ ধরে কাজ করে আসছে।চরাঞ্চলের শতাধিক বিদ্যালয়ে এক টাকায় খাতা কলম বিক্রি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় তীব্র তাপদাহে শিক্ষার্থীর ভোগান্তি ও কষ্টের কথা চিন্তা করে চরাঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক টাকার বিনিময় ১০টি করে পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রি করা হয়।

হাত পাখা পেয়ে শিক্ষার্থী আকলিমা খাতুন বলেন, আমাদের স্কুলে বিদ্যুৎ সব সময় থাকে না। গরমে ক্লাসের বই খাতা নিয়ে শরীরে বাতাস করতে হয়।এতে বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। আজ ফুল সংগঠনের পরিবেশ বান্ধব হাত পাখা পাইলাম।আমাদের আর কষ্ট হবে না।

আরেক শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন,গত কয়েক দিন ধরে প্রচুর গরম। কারেন্ট ঠিক মত থাকে না।খুব কষ্ট হয়।আজ ফুলের পরিবেশ বান্ধব পাখা পেয়ে খুব ভালো লাগলো।

Advertisement

আরাজী কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বানু বলেন, এ অঞ্চলে পল্লি বিদ্যুৎ সব সময় থাকে না। ফলে তীব্র গরমে স্কুলের বাচ্চাদের কষ্ট হতো। হাতে যা পাই তা দিয়ে গরম নিবারণের চেষ্টা করি। ফুল সংগঠন চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক টাকায় ১০টি পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রি করছে। আমি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ২ টাকায় ২০ টি হাত পাখা কিনলাম। যা বাইরে দোকান থেকে প্রায় ৬ শত টাকায় কিনতে হতো। এখন বাচ্চাদের তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। এমন উদ্যোগ নেয়ার জন্য ফুলকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের এ কাজ গুলো অব্যাহত থাকুক।

ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, ফুল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করার চেষ্টা করছে। আমরা চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সপ্তাহ ব্যাপী পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version