Connect with us

বাংলাদেশ

ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ দেশে আসবে বৃহস্পতিবার

Published

on

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউমের মরদেহ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভারত থেকে দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল-মোটেলের অনলাইন বুকিং সিস্টেম উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আমরা শোকাহত সবাই, একজন সম্মানিত পাইলট, যিনি এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে অনেক যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে যে ক্রেডিট উনি দেখিয়েছেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে অবতরণের ব্যাপারে উনি সমর্থ হয়েছেন; উনি আজকে আমাদের মধ্যে নেই।’

তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব তার মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্ভবত আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮টায় উনার মরদেহ দেশে আসবে। আমরা মর্মাহত এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

কোন প্রক্রিয়ায় তার মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তথ্য পেয়েছি আগামীকাল সকাল ৮টায় তার মরদেহ দেশে আনা হবে। পুরো বিষয়টি দেখছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মরদেহ দেশে আনার তিনটি পদ্ধতি ছিল। একটি হচ্ছে এখান থেকে ফ্লাইট আসার পথে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে আনা অথবা ওখান থেকে যে রেগুলার ফ্লাইট আছে, সেভাবে আনতে হবে অথবা আমাদের একটি বিমান ওখানে গিয়ে উনাকে আনবে। সবগুলো অপশনই আমরা ওপেন রেখেছি, যেটা সহজ হয়। সেটাই কাজে লাগানো হবে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু রেগুলার ফ্লাইট অপারেট হচ্ছে না। তাই এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। যে অপশনটি সহজ হয়, সে অপশন ব্যবহার করেই আমরা তার মরদেহ দেশে নিয়ে আসব।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইট নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির এই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। ওই দিন মধ্যরাতে বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

রোববার (২৬ আগস্ট) রাতে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দুই বোন। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ক্যাপ্টেন নওশাদের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালু রাখার পক্ষে মত দেন।

Advertisement

তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সোমবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।

মুক্তা মাহমুদ

দুর্ঘটনা

সেতু ভেঙ্গে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস খালে, নিহত ১০

Published

on

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ১০ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদেরর মধ্যে ৭ নারী ও দুই শিশুর লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দুপুর ২ টায় আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান (মিন্টু মল্লিক)।

স্থানীয়রা জানান, ঝুকিপূর্ণ ওই ব্রীজ একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পার হওয়ার সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এসময়ে অটোরিকশার যাত্রীরা বের হতে পারলেও। মাইক্রোবাসের ১২ যাত্রী ভিতরে আটকা পড়ে বলে জানান তাঁরা।

ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু মল্লিক জানান, মাইক্রোবাসের ড্রাইভার দুঘটনার পরে মাইক্রোবাস থেকে বের হতে পেরেছেন। তাঁর দাবি এখনো মাইক্রোবাসের ভিতরে তিনজন রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বর্তমানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে।

তিনি জানান, মাইক্রোবাসটি কনের বাড়ি থেকে ছেলের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।  ব্রীজটি আনুমানিক ১০-১২ বছর আগে নির্মান করা হয় বলে তিনি জানান। নিম্ন মানের কাজ হওয়া নির্মানের পরে এ অবস্থা হয়েছে বলে দাবি করেন মিন্টু মল্লিক।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

রাসেলস ভাইপার নিয়ে বন মন্ত্রণালয়ের আট পরামর্শ

Published

on

দেশের বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ায়, মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ প্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা এবং জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আট পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২২ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে সাপের কামড় এড়াতে ৮টি পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো-

১. যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

Advertisement

২. লম্বা ঘাস, ঝোঁপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন। গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢুকাবেন না।

৩. সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট এবং লম্বা প্যান্ট পরুন।

৪. রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

৫. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখুন।

৬. পতিত গাছ, জ্বালানি লাকড়ি, খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।

Advertisement

৭. সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না।

৮. প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন।

আই/এ

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হাসিনা-মোদির বৈঠক, ঢাকা-দিল্লির ১০ সমঝোতা স্মারক সই

Published

on

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক। ছবি: এএনআই

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি সই হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার(২২ জুন) সাড়ে ১২টার পর নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে-পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই।

নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো-

১. বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক;

২.  ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক;

Advertisement

৩. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক;

৪, যৌথ ছোট স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং

৫. কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।

নবায়ন করা তিন সমঝোতা স্মারক হলো-

১. মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক;

Advertisement

২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন এবং

৩.  স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা নবায়ন।

এছাড়া, ‘ডিজিটাল অংশীদারিত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।

এগুলো হলো--বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারিত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারিত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক নথি সই।

প্রসঙ্গত,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ভারত সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর প্রথম বারের মতো দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি গেলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে, গত ৯ জুন নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version