Connect with us

ধর্ম

৮ হাফেজের গর্বিত পিতা ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের ইন্তেকাল

Published

on

৮ হাফেজের গর্বিত পিতা ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নুরুল হক মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। 

আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে তাঁর শ্যালক মাওলানা মামুনুল হক। আজ রাত ৮টায় মোহাম্মাদপুর সাতমসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বিবৃতিতে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রসায়নের কিংবদন্তি শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল হক মিয়া ইন্তেকাল করেছেন।’

তিনি আরো জানান, ‘সম্পর্কে ভগ্নিপতি হলেও বন্ধনটা অনেক গভীর আমাদের। শাইখুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হকের মৃত্যুর পর পরিবারের একজন অভিভাবক ছিলেন তিনি। তাঁর রুহের মাগফিরাত ও জান্নাতে উঁচু মর্যাদার জন্য সবার দোয়া চাই।’

অধ্যাপক নুরুল হকের আট সন্তানের সবাই পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও আলেম। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (রহ.)-এর জামাতা ছিলেন তিনি। আর মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা মাহফুজুল হক তাঁর শ্যালক। 

Advertisement

১৮০ বছরের পুরনো ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক নুরুল হক অনেক সুনামের অধিকারী ছিলেন। একবার তিনি বলেন, ‘ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপালের চেয়ারে যেদিন বসি, তখন সবাই বলেছিল, ঢাকা কলেজের দেড়’শ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দাড়ি-টুপিওয়ালা কেউ প্রিন্সিপালের চেয়ারে বসল।’

ঢাকা কলেজের একজন অধ্যক্ষ ও আধুনিক শিক্ষিত পিতার আট সন্তানই হাফেজে কোরআন হওয়ায় অধ্যাপক নুরুল হককে নানাজনের নানা কথা শুনতে হয়। অধ্যাপক হক তাঁর সন্তানদের প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঢাকা কলেজের সহকর্মীরা বলতেন, স্যার সবাইকে মাদরাসায় পড়াচ্ছেন, ওরা খাবে কী? বলতাম আল্লাহ ভরসা।’ মহান আল্লাহ তাঁর সন্তানদের খারাপ রাখেননি।

অধ্যাপক নুরুল হক ছিলেন নির্লোভ, সহজ-সরল, ধার্মিক, প্রখর মেধাবী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক। সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আমেরিকা যাননি।

১৯৪৪ সালে গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক নুরুল হক মিয়া। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে স্নাতক পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়  আওয়ামী লীগের সাবেক শীর্ষনেতা আব্দুর রাজ্জাক, ইকবাল হলের (সার্জেন্ট জহুরুল হক) ভিপি তোফায়েল আহমেদ, রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খান, রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরী, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীসহ অনেকের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। 

১৯৬৯ সালে জনাব নুরুল হক অধ্যাপনা শুরু করেন। অধ্যাপনার জীবনে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতা করেন তিনি। চার বছর রসায়ন বিভাগের প্রধানসহ দীর্ঘ এক যুগ কাটিয়েছেন ঢাকা কলেজে। ২০০১ সালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

অধ্যাপক নুরুল হক রচিত রসায়ন বিষয়ক সাতটি বই উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরে পাঠ্যসূচিভুক্ত হওয়ার পর তিনি ‘কেমিস্ট্রির প্রফেসরে’র সুখ্যাতি পান। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত তাঁর বইগুলো ছিল অদ্বিতীয় ও অনন্য। বইগুলো এখন আর বাজারে নেই। তবে অভিজাত পুস্তকবিতানে ‘ঢাকা কলেজ কেমিস্ট্রি নুরুল হক’ নামে পুরনো বই অনেক সময় পাওয়া যায়। 

অধ্যাপনা, লেখালেখির পাশাপাশি জনাব হক তাবলিগি কাজে দেশ-বিদেশে সময় লাগিয়েছেন। তিনি একজন প্রবীণ দায়ি বা মুবাল্লিগ। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগে গেলে অসংখ্য ছাত্র তাঁর সাক্ষাৎ, ক্লাস ও অটোগ্রাফ পাওয়ার জন্য ছুটে আসত।

দীর্ঘ দিন ধরে অধ্যাপক নুরুল হক ডায়াবেটিস, প্রেসারসহ অন্যান্য বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অবশেষে ৭৬ বছর বয়সে বর্ণাঢ্য এ জীবনের সমাপ্তি ঘটে। পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে একজন সন্তান হিসেবে হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক মরহুমের জন্য দোয়া কামনা করেন।

শুভ মাহফুজ

Advertisement

ধর্ম

ওমরাহ করতে হেঁটে ৮ হাজার কি.মি. পথ পাড়ি দিলেন যুবক

Published

on

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে দীর্ঘ ৮০০০ কি.মি. পথ পায়ে হেঁটে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ফ্রান্সের যুবক মোহাম্মেদ বুলাবিয়ার। দীর্ঘ দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে অবশেষে এই অসাধ্য সাধন করলেন তিনি।

গেলো বুধবার (১৫ মে) সৌদি বার্তা সংস্থা প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্যা আরব নিউজ।

এক সাক্ষাৎকারে বুলাবিয়ার জানান, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট মোহাম্মেদ বুলাবিয়ার পায়ে হেঁটে পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য প্যারিস থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর সুইজারল্যান্ড, ইতালিসহ মোট ১৩ টি দেশ অতিক্রম করে তিনি মদিনায় পৌঁছেছেন।

এ দীর্ঘ পথ অতিক্রমের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে এ যুবক জানান, তিনি  গ্রীষ্মকালে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর বসন্ত থেকে শুরু করে শরৎ, শীত, এবং ঝড় ও বজ্রপাতের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। এছাড়া গ্রিসে পৌঁছানোর পর ব্যাপক তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়ে যান, এজন্য সৌদি আরব পৌঁছাতে এক সপ্তাহ দেরি হয়েছে।

তিনি জানান,ভ্রমণকালে তার সঙ্গে একটি ম্যাপ এবং ২৫ কেজি ওজনের একটি ব্যাগ ছিল। অধিকাংশ রাত তিনি মসজিদে কাটিয়েছেন। অনেকেই তাকে নিজ গৃহে থাকতেও দিয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ছোট বেলা থেকেই পায়ে হেঁটে ওমরাহ করার ইচ্ছা ছিল বলে জানান এ ফরাসি যুবক।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

৯ হজ এজেন্সিকে আজকের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ

Published

on

আজকের মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মো. মতিউল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ যাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। আবার আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের বুকিং কম হওয়ায়, বুকিং হার দ্রুত বাড়াতে তাদেরকে তাগিদ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে বুকিং হার কম হলেও হজ যাত্রীদের সিডিউল ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

Advertisement

উল্লেখ্য, হজ যাত্রার ৮ম দিনে মোট ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন হজ যাত্রীরা৷ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইনসে মোট ৩৬৭১ জন পবিত্র হজ পালন করতে কাবা ঘরের দিকে রওনা দেয়ার কথা আছে৷ এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ভিসা হয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি জনের৷ বাকি আছে এখনও ৪ হাজার ৮০০ জনের ৷ এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি হজ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে হজ অফিস৷

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ধর্ম

৯৪ দিনে কোরআন শরীফ মুখস্থ করল ৯ বছরের নুসাইব

Published

on

মাত্র ৯৪ দিনে পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে মিরপুরের ‘ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা’র ৯ বছরের শিক্ষার্থী নুসাইব কুদরতী।

মেধাবী নুসাইব খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার নিয়ামত আলী কুদরতীর ছেলে।

নুসাইব কুদরতীর শিক্ষক আন্তর্জাতিক হাফেজ কারি ফরহাদ বিন নাসেরী বলেন, ‘মহাগ্রন্থ আল কোরআনের অলৌকিক মুজিজায় এমন ঘটনা বিশ্বে প্রায় ঘটছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিক্ষার্থী নুসাইব কুদরতী মাত্র ৯৪ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছে। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।

তিনি বলেন, ‘কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বরং এর পেছনে শিক্ষক থেকে শুরু করে বাবা-মায়ের অনেক চেষ্টা শ্রম ও আত্মত্যাগের প্রয়োজন। একজন কোরআনের হাফেজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহ এ শিশুকে দীনের জন্য কবুল করুন।’

তিনি আরও জানান, নুসাইব শুরুতে দুই পৃষ্ঠা করে সবক দিলেও শেষের দিকে দিনে ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

Advertisement

প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহমুদ হাসান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ক্লাস প্রি-প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে মূল্যায়ন পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে প্রতিটি বাচ্চাকে কাউন্সিলিং করা হয়। এবং তাকে পরবর্তী সেশন এ উত্তীর্ণ করা হয়। এভাবে প্রত্যেকটি বাচ্চাকে আমরা টার্গেট ফিক্সড করে পড়াশোনা করাই। সেই টার্গেট ভিত্তিক নুসাইব আন্তরিকতার সাথে মেহনত করেছে এবং শিক্ষক তার পিছনে সর্বস্ব ব্যায় করে তাকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছে। আমাদের প্রতিটি ছাত্রকে এভাবে আন্তরিকতার সাথে পাঠদান দিয়ে থাকি।

নুসাইবের বাবা নিয়ামত আলী কুদরতী ও তার মা আশা করেন, তাদের ছোট্ট সন্তান একসময় বড় আলেম হবে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের খেদমত করবে।

ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মামুনুর রশীদ বলেন, এই ছেলেটি পাঁচ বছর বয়স থেকে আমাদের এখানে পড়াশোনা করছে। তার বাবা একজন চাকুরীজীবী। এমন অনেক বাচ্চা আমাদের এখানে আছে। দীন ও ইসলাম শিক্ষা অর্জন করছে। কোরআনে হাফেজ হচ্ছে, পাশাপাশি স্কুলের পড়াও চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ মাদরাসার শিক্ষা এখন আধুনিকই নয়, অত্যাধুনিক। আমি চাই আমাদের সন্তানদের আমরা দীনের শিক্ষা দেব। পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত করব। আমরা অনেক বছর ধরে শত শত বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।

 

Advertisement

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version