Connect with us

বাংলাদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে

Published

on

১২ সেপ্টেম্বর থেকে একযোগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এখন আলোচনায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কবে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়, তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সভার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কবে খুলবে, তার ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেবে একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট সভা।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়াসহ কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে নিজ নিজ সিদ্ধান্তে খুলতে পারবে। তখন আরও আলোচনা হয়েছিল, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজটি শেষ করে ১৫ দিন অপেক্ষা করা হবে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অক্টোবরের আগে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা কম। পুরোপুরি প্রস্তুতি এখনো শেষ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো; বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজটি এখনো অনেক বাকি। এমনকি কত শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হলো, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে এখনো দিতে পারেনি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়।
এরআগে ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, স্কুল-কলেজ খোলার দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেছে, এখন দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কবে খুলবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহেই উপাচার্যদের সঙ্গে বসা হবে।

কবে খুলতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে অন্ততপক্ষে সব শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। সেই আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে উপাচার্যদের সঙ্গে হয়ত বৈঠক করব। সেখানে (বৈঠক) অবস্থা আবারও পর্যবেক্ষণ করে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেন যে তারা অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন…।’
দীপু মনি বলেন, ‘যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিকভাবে হয়ে থাকে, তাই এ সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করব।’
আরও পড়ুন: স্কুল ড্রেস ও বেতন নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

Advertisement

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

মুক্তা মাহমুদ

অপরাধ

রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাপাতি ধরে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে গলায় চাপাতি ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে ) সকালে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলী, মো. ইমন, আকাশ ও মো. তারেক।

মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে সাতমসজিদ রোড দিয়ে ধানমন্ডির অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন উত্তর পাশের ফুটপাতে পৌঁছালে, ৪ জন যুবক এসে তাকে অতর্কিত কিলঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার গলায় চাপাতি ধরে একটি মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেয় পুলিশ।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সিইসি, ইসিদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ, আইনের খসড়ার অনুমোদন

Published

on

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে প্রতিমাসে এক লাখ ৫ হাজার টাকা এবং  নির্বাচন কমিশনারদের  ৯৫ হাজার টাকা বেতন ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে ‌‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

রোববার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে যে আইনটি ছিল সেখানে বলা ছিলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন। বর্তমান আইনে, ওই রকম না লিখে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

মাহবুব হোসেন জানান, বিশেষ ভাতা হিসেবে সিইসি ও ইসি উভয়ে তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হিসেবে পাবেন। এছাড়া উৎসব ভাতা পাবেন, বাংলা নববর্ষের ভাতা পাবেন, আবাসন সুবিধা পাবেন, যানবাহন সুবিধা পাবেন, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা, সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। নিয়ামক ভাতা পাবেন ৮ হাজার টাকা করে। চিকিৎসা সুবিধা আগে যেভাবে আছে সেটাই থাকবে।

সিইসি ও ইসিদের পদমর্যাদার বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটি মূল আইনে রয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। বেতন আগের মতোই রয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এতদিন ১৯৮৩ সালের আইনে বেতন ভাতাসহ অন্য সুবিধা পেয়ে আসছিলেন সিইসি ও ইসিরা। কিন্তু  উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলের যেসব আইন ছিলো সেগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে তার আলোকে এই আইনটি করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুখবর

Published

on

অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে কাগজপত্র সত্যায়িত করতে ভোগান্তি কমবে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে, বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করা লাগবে না। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৬১ সালে স্বাক্ষরিত হেগ অ্যাপোস্টাইল কনভেনশন চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলোর একটিতে জারি করা নথি, অন্য দেশগুলোতে আইনি উদ্দেশ্যে প্রত্যয়িত হয়।

বাংলাদেশ এই চুক্তির অধীনে না থাকায় এতদিন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হতো।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version