Connect with us

বাংলাদেশ

কাশিমপুর কারাগারে এক কয়েদির মৃত্যু

Published

on

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আবুল বাশার শামীম (৪৯) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান,  তিনি আগেই মারা গেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কাশিমপুর কারাগার থেকে এক কয়েদিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ওই কয়েদি কী মামলায় কারাগারে ছিলেন তা জানা যায়নি।

তিনি আরও জানান, আবুল বাশারের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার আবদুল্লাপুর গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

জাতীয়

‘ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি’

Published

on

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দেশে কোন দল ক্ষমতায় আছে তার ওপর নির্ভর করে না। বরং ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি। বললেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (এআইআইএমসি) বাংলাদেশের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির উন্নয়নে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব স্থায়ী হবে। ইন্দোপ্যাসিফিক নিয়ে কথা বললে আগামী দিনে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কোন দল ক্ষমতায় থাকবে তার ওপর নির্ভর করবে না

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের এখন এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে, এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাংবাদিকরা এখানে এসে ট্রেইনিং নেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির একজন সদস্য হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যাতে প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশি সাংবাদিকরাও এদেশে আসেন।

Advertisement

তিনি বলেন, দেশে মিডিয়ার অনেক বিস্তার হয়েছে। সাংবাদিকতা এখন গ্রহণ-বর্জনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেন, অনলাইনগুলো তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল তথ্য দেয়, অসঙ্গতি থাকে কিংবা তদারকি নেই। একটা সময় এটা ঠিক হবে। তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সাথে সাংবাদিকদের মধ্যেও দায়ীত্বশীলতা থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সাংবাদিকতায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের এক করার পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে এআইআইএমসি।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘কিছু রাজনীতিকের গলার আওয়াজ ব্যাঙের ডাকের মতো বড়’

Published

on

সংগৃহীত ছবি

‘রাজনীতিতে কিছু পরিত্যক্ত মানুষ আছে, যারা ঘুরে ঘুরে সব দল করে। তাদের কথার মূল্য না থাকলেও ব্যাঙের ডাকের মতো গলার আওয়াজ বড়।’

শনিবার (১১ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় রেড ক্রিসেন্ট মাঠে এক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা  বলেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা শাখা ইউনিটের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক, বিডিআরসিএস ব্যবস্থাপনা পরিষদের সংবর্ধনা উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সেমিনারে  ‘সরকারের ভিত নাই’ বলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না যে মন্তব্য করেছেন তার সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মান্না ভাইয়ের একটা বক্তব্য পত্রিকায় পড়লাম, টেলিভিশনে শুনলাম- ‘সরকারের নাকি একদম ভিত নাই’। সরকারের ভিত আছে বিধায়ই পরপর চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তারা তো টেনে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু টান দিতে গিয়ে তারাই ধপাস করে পড়ে গেছে।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘এখন কোমর যে ভেঙে গেছে সে অবস্থা থেকে তারা আস্তে আস্তে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে আর গতবছর ২৮ অক্টোবর তাদের কার আগে কে দৌড় দেয় সেই প্রতিযোগিতা আমরা দেখেছি নয়াপল্টনের সামনে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইসহ আরও কিছু ব্যক্তি বিশেষ আছেন, যাদের নিজের দলের ভিত্তি নেই, ঘুরে ঘুরে দল করে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মান্না ভাই মাশাআল্লাহ এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি দল বদল করেছেন। কিছুদিন জাসদ, তারপর বাসদ, বাসদ ভেঙে এখন গণতন্ত্র মঞ্চ। সেটি ভেঙে কখন আবার পালিয়ে যান, বলা যায় না। রাজনীতিতে তারা পরিত্যক্ত ব্যক্তি বিশেষ। এদের কথার কোনো মূল্য নেই।

Advertisement

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কথা তুধে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের পর ৮০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে বলেছেন, আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। এতে ব্যক্তি বিশেষ রাজনীতির ব্যাঙদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এজন্য তারা ব্যাঙের মতো বেশি বেশি লাফাচ্ছে।’

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী ও   আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

১৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত দুই কনস্টেবল

Published

on

মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে এক নারী পুলিশ সদস্য। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। এই ঘুষ নেয়ার সঙ্গে জড়িত আরও এক পুলিশ সদস্য।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ মনিরুজ্জামান ফকির। অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বরখাস্তকৃত দুই কনস্টেবল হলেন- শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার। এরমধ্যে রাজৈর থানায় কর্মরত ছিলেন শহিদুল ইসলাম, অপরদিকে তানজিলা আক্তার মাদারীপুর জেলা আদালতের পুলিশের শাখায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির জানান, ২০২২ সালের পহেলা মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরের রবি দাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে নগদ ১৪ লাখ টাকা ঘুষ দেন। এ সময় বিশ্বাস অর্জন করতে, রতনকে দেয়া হয় তানজিলা আক্তারের পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক। চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে। পরে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হলে রতনের নাম প্রকাশ হয়নি। একাধিকবার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত দুইজনই টালবাহানা শুরু করে। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত দুইজনের বিচার ও টাকা ফেরত চেয়ে সম্প্রতি পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে চাকরি প্রত্যাশী রতন দাস বলেন, আমাকে পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ সদস্য। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহান করছে। আমার কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এই ঘুষ নেয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশ সদস্যও জড়িত।

Advertisement

এ বিষয় অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার জানান, যা বলার এসপি স্যারকেই বলেছি। অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন তিনি টাকা গ্রহণ করেনি।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির আরও জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার মাসুদ আলম তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ এবং পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version