ফুটবল
প্রিমিয়ার লিগে মোহাম্মদ সালাহর কিংবদন্তি হয়ে উঠা
লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে রোববার গোল করে প্রিমিয়ার লিগে একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। জায়গা করে নিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের অভিজাত একটি ক্লাবে। লিডস ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের দিনে লিগে শততম গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মিশরীয় এই উইঙ্গার।
প্রিমিয়ার লিগে এই সেঞ্চুরিয়ান ক্লাবের ৩০তম সদস্য সালাহ। তার চেয়েও দ্রুততম সময়ে শত গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছেন মাত্র চারজন ফুটবলার। তবে একটি জায়গায় তিনি অনন্য। দ্রুততম সময়ে শত গোলের মাইলফলক ছোঁয়ার তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে সালাহই একমাত্র উইঙ্গার। আর বাকি নয়জনই স্ট্রাইকার। সালাহ’র আগে শুধু একজন আফ্রিকান এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন। তিনি হলেন কিংবদন্তি দিদিয়ের দ্রগবা।
মাত্র ১৬২ ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন সালাহ। এর ফলে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সেরা গোলদাতাদের পাশে নিজের জায়গা পাকাপাকি করে নিয়েছেন তিনি। লিডসের বিপক্ষে ম্যাচের পর লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেন, মো’র (সালাহ) রেকর্ড অবিশ্বাস্য। আমি জানি না আর কি কি রেকর্ড ভাঙতে পারে সে। কিন্তু সে সম্ভবত সেগুলো ভাঙার জন্যও মরিয়া হয়ে থাকবে।
ক্লপ আরও বলেন, কী দুর্দান্ত এক ফুটবলার। সে এখনও ক্ষুধার্ত। আমি তাকে ড্রেসিংরুমে দেখেছি। আমরা সবাই হার্ভি এলিয়টের ব্যাপারে চিন্তিত। কিন্তু এর মাঝেও আরও দুই-একটি গোল করতে না পারায় সে অখুশি। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের মানসিকতা এমনই হতে হয়। তাই ২৯ বছর বয়সী সালাহ নতুন নতুন রেকর্ড ভাঙার জন্য যে মুখিয়ে আছেন তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
এস
ফুটবল
পিএসজিকে হারিয়ে ১১ বছর পর ফাইনালে ডর্টমুন্ড
পিএসজিকে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে পিএসজিকে ডর্টমুন্ড হারিয়েছিলো ১-০ গোলে। দ্বিতীয় লেগে পিএসজির মাঠেও প্যারিসের ক্লাবটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান ক্লাবটি।
সব শেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে ফাইনাল খেলেছিলো ডর্টমুন্ড। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্বদেশি ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা হাত ছাড়া হয়েছিলো ডর্টমুন্ডের।
এবারও ফাইনাল ওয়েম্বলিতেই এবং মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা আছে সেই বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষেই। অন্য সেমিফাইনালে আজ বুধবার রাতে মাঠে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ-রিয়াল মাদ্রিদ! মিউনিখে ২-২ সমতার পর বুধবার বার্নাব্যুতে রিয়ালকে যদি হারিয়ে দেয় বায়ার্ন, তাহলে ২০১২-১৩ মৌসুমের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
ফুটবল
ব্রাজিলিয়ান ‘বাঘ’কে নিয়ে জাভির অবহেলা
গেল বছর অনেক হাঁকডাক দিয়ে ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে ব্রাজিলিয়ান বাঘ হিসেবে পরিচিত ফরোয়ার্ড, ভিটর রককে দলে ভেড়ায় বার্সেলোনা। পরিকল্পনা ছিলো অ্যাথলেটিকো প্যারানেইন্স থেকে ২০২৪ এর জুলাইয়ে বার্সায় যোগ দেবেন তিনি। কিন্তু গাভি চোটে থাকায় ছয় মাস আগেই বার্সা তাঁদের ডেরায় নিয়ে আসে ১৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে।
কিন্তু স্প্যানিশ ক্লাবটিতে যোগ দিয়েই যেন মুদ্রার উলটো পিঠ দেখতে হচ্ছে এই তরুণ ব্রাজিলিয়ানকে। এই ছয় মাসে মাত্র ১৩ ম্যাচে রককে মাঠে নামিয়েছেন বার্সা কোচ জাভি হারনান্দেজ। এই ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুই ম্যাচে শুরু থেকে ছিলেন। সব মিলিয়ে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩১০ মিনিট। এই টুকু সময়ের মধ্যে দুই গোলও করেছেন রক। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে খেলাননি জাভি।
এর মধ্যেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রকের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না জাভি। তাকে অন্য ক্লাবে লোনে পাঠাতে চাইছে বার্সেলোনা।
এদিকে ভিটর রককে খেলাতে না দেওয়া এবং অন্য ক্লাবে লোনে পাঠানো নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন রকের এজেন্ট আন্দ্রে কিউরি। কাতালান রেডিও RAC1 এর সাথে কথা বলার সময়, কিউরি জানিয়েছেন রকের সাথে বার্সা কোচ জাভি ঠিক মতো কথাও বলেন না। বার্সেলোনার কিছু সংবাদপত্র রকের পারফর্ম নিয়ে সমালোচনা করেছে। এ প্রসঙ্গে কিউরি ভিনিসিয়াসের উদাহরণ টেনেছেন। রিয়াল মাদ্রিদে ভিনিসিয়াস প্রথম দুই মৌসুম ঠিক মতো পারফর্ম করতে না পারলেও ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন রিয়ালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।
কিউরি আরও জানিয়েছেন বার্সার থেকেও বেশি অর্থে রকের জায়গায় যাওয়ার সুযোগ ছিলো। তবে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের স্বপ্ন ছিলো বার্সেলোনায় খেলা। কিন্তু জাভি তার মন ভেঙ্গে দিয়েছে। এমন অবস্থায় রককে যদি বার্সেলোনা লোনে পাঠায় তাহলে সেটি তার ভবিষ্যতের জন্য আরও বিপজ্জনক হবে। কারণ অন্য দল তাকে নিজেদের মনে করবে না এবং তার ঠিক মতো যত্নও হবে না।
এমন অবস্থায় রকের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিউরি বলেছেন সবচেয়ে ভালো হয় রক বার্সায় থাকুক এবং তাকে নিয়মিত খেলার সময় দেওয়া হোক। আর বার্সা তা না করে যদি রককে লোনে অন্য ক্লাবে পাঠাতে চায় তাহলে স্থায়ী ভাবে রককে বার্সা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
ফুটবল
চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো প্রথম কোচ
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন করা কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।
আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেনোত্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!’
রোজারিওতে ১৯৩৮ সালে মেনোত্তির জন্ম। খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলা মেনোত্তি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ১১ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেন।
খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে।
এস
-
ঢালিউড7 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
-
তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
ঢালিউড7 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
-
পরামর্শ7 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা