চট্টগ্রাম পুলিশের উপকমিশনার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে অভিযোগকারী নারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন শরীফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন শরীফ বলেন, আদালত নড়াইল জেলার তৎকালীন এসপি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে পুলিশ প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই নারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নড়াইলের বর্তমান পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই নারীকে অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী বলেন, জসিম উদ্দিন নড়াইলের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এরপর তাকে নড়াইল থেকে বদলি করা হয়। নড়াইলের সাবেক পুলিশ সুপারসহ (এসপি) কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীর ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় গত ৬ জুলাই বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই নারীর অভিযোগ, তার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করেছিলেন। কিন্তু মামলাটি সাজানো বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। তবে ওই অ্যাসিড মামলার আসামিরা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছে, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি সাজানো নাটক। আর সাবেক এসপিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওই নারী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ভিকটিমের বাবা নড়াইল সদর থানার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।