Connect with us

বাংলাদেশ

করোনাকালীন চাকরি হারানো ব্যাংকারদের জন্য সুখবর

Published

on

করোনাকালীন সময়ে ব্যাংক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না। পাশাপাশি মহামারি করোনাকালীন সময়ে চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যাংক কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। 

নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি কিছু সংখ্যক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও কোভিড-১৯ করোনাকালীন শুধুমাত্র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না করা বা অদক্ষতার অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরিচ্যুত ও চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদত্যাগ করার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার পরিপন্থী। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি থেকে দেশের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে বিপুল অংকের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা তফসিলি ব্যাংকগুলো মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সব প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। এ সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। 

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হলে আতংক সৃষ্টি হবে এবং তাদের মনোবল ও কর্মস্পৃহা হ্রাস পাবে। ফলে ভবিষ্যতে মেধাবী ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা ব্যাংকে যোগদানে অনীহা প্রকাশ করবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকিং খাতের জন্য ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। তাই সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না। শুধুমাত্র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতা বা অদক্ষতার কারণ দেখিয়ে কাউকে চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না। 

Advertisement

২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও চাকরিচ্যুত হয়েছে কিংবা চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে তাদেরকে (আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে) বিধি মোতাবেক চাকরিতে বহাল করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

এছাড়া ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বা যারা চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন তাদের তথ্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিআরপিডিতে পাঠাতে হবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

এস

জাতীয়

ভোটের হার কম হওয়ার বিষয় যা বললেন ইসি আলমগীর

Published

on

ভোটের হার কম হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ভোটের হার বাড়ার নিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই এবারও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করি।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট বর্জনের আহ্বান করতে পারে। সেটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে তারা সহিংসতা করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ভোটের হার বাড়বে তাও বলা যায় না। ভোটের হার কম হওয়ার পেছেনে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে।

Advertisement

‘রাজনৈতিক দলগুলোর একের প্রতি অপরের অনাস্থা থাকতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনের ওপর কারও অনাস্থা নেই’, যোগ করেন এই নির্বাচন কমিশনার।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও ব্যবসায়ী প্রার্থী বেশি, কোটিপতি ১১৬ জন’

Published

on

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও প্রার্থীদের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী। এই পর্বে ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যবসায়ী। এছাড়া সব মিলিয়ে এই পর্বে ১১৬ জন কোটিপতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় এবার কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ।

রোববার (১৯ মে) ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় পর্বে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি রয়েছেন ১০৫ জন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় এবার কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। চেয়ারম্যান ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন। সব পদে মোট কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ১১৬ জন।

টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, এই পর্বে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। তবে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ কিংবা দায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৩১০ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা ঋণ আছে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর। প্রার্থীদের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।

টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচন দলীয় হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে দলীয়ভাবে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলটির স্থানীয় মন্ত্রী অথবা সংসদ সদস্যের সমর্থনপুষ্ট। এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া বিএনপি দ্বিতীয় ধাপেও তাদের ৬৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।

Advertisement

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। তাদের হলফনামায় দেয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যতটুকুই আছে, তাতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা গেছে। রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধির একটি যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী, অনেকেই ক্ষমতাশীলদের আত্মীয়। প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য ও পুরুষের আধিক্য রয়েছে। ক্ষমতা ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে গণতান্ত্রিক ও শুদ্ধাচার চর্চা দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক আদর্শ এখানে বড় বিষয় নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটতে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা

Published

on

যশোর-নড়াইল মহাসড়কে ছয় লেন প্রকল্পের কারণে সড়কের দুই পাশে থাকা গাছ না কাটার ওপরে আপাতত স্থিতি অবস্থা জারী করেছে হাইকোর্ট। সম্প্রতি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে—  সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে  জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

রোববার (১৯ মে) এইচআরপিবির রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিটের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, যশোর-নড়াইল ছয় লেন মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য কোনও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।  প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের সুরক্ষার প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখা উচিত। গাছ সংরক্ষণ করেও ছয় লেনের সড়কের কাজ করা সম্ভব। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসময়ে বলেন, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনও আইন দেশে নেই।গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে।

পাল্টা যুক্তিতে মনজিল মোরশেদ বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে  বলা হয়েছে ২০৩০ সালে দাবদাহের অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং, গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার তাও বিঘ্নিত হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গাছ কাটার ওপর স্থিতি অবস্থা দেয়ার পাশাপাশি ছয় লেন মহাসড়কের টেন্ডার আহ্বান করার পরে এই স্থিতি অবস্থার আদেশ বাতিল হবে জানায় আদালত।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version