আইন-বিচার
প্রতিষ্ঠান আমার, এই পরিস্থিতির দায় আমাকেই নিতে হবে: ইভ্যালি রাসেল
প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী (চেয়ারম্যান) শামীমা নাসরিন।
আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিন দিন রিমান্ডের শেষ দিন রাসেল ও তার স্ত্রীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে গুলশান থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তারা। তবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেন দুজনই।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রিমান্ডের বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রিমান্ডে রাসেল ও তার স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক ও সেলারদের কাছে পাওনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। পাশাপাশি তথ্যগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আমরা কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
রিমান্ডের তৃতীয় দিন ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতিবাচক প্রতিবেদন, গ্রাহক ও সেলারদের অসন্তোষ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাসেল বলেন, তার ব্যবসায়িক কৌশলে কিছু ভুল ছিল। পাশাপাশি করোনাকালীন লকডাউনের কারণে তিনি কিছুটা পিছিয়ে গেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ও গ্রাহকদের ক্ষোভের পেছনে ইভ্যালির চেয়ারম্যানের (তার স্ত্রী শামীমা) কোনো দায় নেই বলে দাবি করেন রাসেল।
তিনি বলেন, রিমান্ডে রাসেল দেনা-পাওনা ও ব্যবসার ধরনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি। অনেক বিষয়ে তার উত্তর অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর ছিল।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রিমান্ডের তৃতীয় দিন ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতিবাচক প্রতিবেদন, গ্রাহক ও সেলারদের অসন্তোষ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাসেল বলেন, তার ব্যবসায়িক কৌশলে কিছু ভুল ছিল। পাশাপাশি করোনাকালীন লকডাউনের কারণে তিনি কিছুটা পিছিয়ে গেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ও গ্রাহকদের ক্ষোভের পেছনে ইভ্যালির চেয়ারম্যানের (তার স্ত্রী শামীমা) কোনো দায় নেই বলে দাবি করেন রাসেল।
রাসেল পুলিশকে জানান, তার পরামর্শ অনুযায়ী চেয়ারম্যান কাজ করতেন। চেয়ারম্যানের কোনো দায় নেই।
গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রাসেল প্রতিষ্ঠানের মালিক। মালিক হিসেবে তার দায় না নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা চেষ্টা করছি তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, কত টাকা খরচ করেছেন এবং কত টাকা দেনা আছে, ব্যাংকে কত টাকা আছে ইত্যাদি বের করার। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে তার কোনো প্রতারণা আছে কি না সেটিও জানার চেষ্টা চলছে। রিমান্ড শেষে রাসেলকে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নিম্ন আদালতে পাঠাবে পুলিশ।’
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাসেল ও তার স্ত্রীকে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। ৩৬ লাখ টাকার পণ্য নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করার অভিযোগে গত শনিবার ধানমণ্ডি থানায় রাসেলসহ ইভ্যালির ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন একজন পণ্য সরবরাহকারী।
এদিকে ইভ্যালির বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের কাছে ইভ্যালির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আমরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনগুলো নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে।
রাসেল প্রতিষ্ঠানের মালিক। মালিক হিসেবে তার দায় না নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা চেষ্টা করছি তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, কত টাকা খরচ করেছেন এবং কত টাকা দেনা আছে, ব্যাংকে কত টাকা আছে ইত্যাদি বের করার। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে তার কোনো প্রতারণা আছে কি না সেটিও জানার চেষ্টা চলছে। রিমান্ড শেষে রাসেলকে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নিম্ন আদালতে পাঠাবে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে র্যাব। রাতে র্যাব সদরদপ্তরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের। পরদিন হস্তান্তর করা হয় গুলশান থানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার এসআই ওহিদুল ইসলাম তাদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চান। আদালত তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের প্রথম দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল ও তার স্ত্রী ব্যবসায় কোনো ধরনের প্রতারণা করেননি বলে দাবি করেন।
রিমান্ডে রাসেল বলেন, আমরা কোনো টাকা আত্মসাৎ বা কারো সঙ্গে প্রতারণা করিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সার্কুলার ও করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের কারণে অনেক অর্ডার ডেলিভারি করা হয়নি। যারা ডেলিভারি পায়নি তারা ভবিষ্যতে টাকা পেয়ে যাবে। এখানে প্রতারণার কোনো বিষয় ছিল না।
আইন-বিচার
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি আইনজীবী। ইউনূস সেন্টারের কর্মচারীর ওপর দায় চাপিয়েছেন তিনি। ড. মুহম্মদ ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে। ইউনেস্কো তাকে কোনো সম্মাননা দেননি বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বক্তব্যকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ইউনূস সেন্টারের এক কর্মচারী ভুল করে থাকতে পারে।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস তো নিজেই সমুদ্র, তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। তাকে সম্মাননা দেয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি উদগ্রীব থাকে। তাকে যে ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী অপমান করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে- কেউ যাতে ইউনেস্কোর নামের অপব্যবহার কিংবা অপপ্রয়োগ না করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেস্কোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেস্কো সদর দফতরকে অবহিত করা হবে।
এএম/
আইন-বিচার
কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা আমান
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২৪ মার্চ) রাত ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল থেকে মুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এদিকে জামিনে মুক্তি পেলেও, বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়।
এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।
আইন-বিচার
চালক হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন
নরসিংদীর রায়পুরায় বিজয় মিয়া নামে এক বিভাটেক (ব্যাটারি চালিত তিন চাকার বাহন) চালককে হত্যার দায়ে চার আসামীর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রোববার( ২৪ মার্চ) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে শহরের বাসাইল এলাকার বিভাটেক চালক বিজয় মিয়া জীবীকার তাগিদে নরসিংদী শহরে বের হয়। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীরা তাকে ভাড়া করে প্রথমে রায়পুরার নীলক্ষা এবং পরে একই উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মাহমুদ নগরে নিয়ে কৌশলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে বিভাটেক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় বিজয়ের মা অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করলে জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত ১৫ কার্য দিবসে ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের প্রেক্ষিতে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খন্দকার হালিম জানান, সাজা প্রাপ্তরা হলেন,নরসিংদী সদর উপজেলার বীরগাঁও এলাকার সোলাইমান মিয়ার ছেলে আলাল ওরফে বিল্লাল (৩৫), একই এলাকার মোছলেম মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (২৮), একই উপজেলার বল্লবপুর এলাকার ধন মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩১) এবং বীরগাঁও এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী রুবিয়া বেগম (৪৫)। সাজাপ্রাপ্তরা সকলেই জেল হাজতে আছেন।
রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন,এই রায়টি বাংলাদেশের শ্রমজীবী নিরীহ বিচারপ্রার্থীদের নিকট একটি বার্তা দিলো যে আদালত সবসময়ই দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, এই নীতিতে বিশ্বাসী। পুলিশ আদালত,আইনজীবী বিচারপ্রার্থী সবাই যদি একটা টিম হিসেবে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
এসময়ে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনী বিশেষ করে জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই মোফাজ্জল হোসেনকেও ধন্যবাদ জানান।
-
ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
-
বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
-
বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
-
জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
-
বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে