Connect with us

বাংলাদেশ

আফগান ইস্যুতে সার্ক বৈঠক বাতিল

Published

on

১৯৮৫ সালে বাংলাদেশসহ সাতটি সদস্য দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করা সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা আটটি

আফগানিস্তান ইস্যুতে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) একটি পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়ে গেছে। আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সার্কভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার মোট আটটি দেশ সার্কের সদস্য। এএনআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্ক-এর বৈঠকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবান-ই প্রতিনিধিত্ব করুক, এমনটাই দাবি করেছিল পাকিস্তান। তবে ভারতসহ কয়েকটি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সার্কের বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে তালেবানের অংশগ্রহণ নিয়ে ঐক্যমত ও সম্মতির অভাবে অচালাবস্থার সৃষ্টি হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত এই বৈঠকটি বাতিল হয়ে যায়।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পরপরই প্রতিবছর সার্কের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর নেপাল ছিল এই বৈঠকের আয়োজক দেশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, সার্কের ‘বেশিরভাগ সদস্য দেশ’ চেয়েছিল চলতি বছর বৈঠকে আফগানিস্তানের আসনটি খালি থাকুক। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। ফলে শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি বাতিল হয়ে যায়।

Advertisement

২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। চলতি মাসের শুরুর দিকে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। আফগান সব সম্প্রদায় ও গোত্রের প্রতিনিধিত্বমূলক প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও প্রধান প্রধান মন্ত্রণালয়গুলোতে তালেবানের কট্টরপন্থী এবং অনুগতদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে তালেবান সরকার গঠন করলেও এখনও কোনো দেশই সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। পাকিস্তান এবং কাতার অবশ্য তালেবানের শাসনাধীন আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দিতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ নিয়ে জোরেশোরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান।

হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট বলছে, সার্কের চেয়ারম্যান নেপালের পক্ষ থেকে বাকি সদস্য দেশের সঙ্গে আফগানিস্তান ও তালেবানের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু সার্ক দেশগুলো এই বিষয়ে একমত হতে পারেনি। তাই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। সার্ক সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সদস্য দেশগুলোকে চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।

এমনিতেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনার কারণে আগেও সার্ক বৈঠক বাতিল হয়েছে। সেই উত্তেজনা এখনও আছে। কিন্তু এবার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আফগানিস্তান নিয়ে। তালেবান এখন আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। ভারত আবার তালেবানের শাসন বৈধ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

পাকিস্তানের দাবি ছিল, তালেবানের প্রতিনিধিকে সার্ক বৈঠকে অংশ নিতে দিতে হবে। আর তাদের প্রতিনিধি যে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন নেপালকে সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু নেপাল সেই নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।

Advertisement

ভারতসহ কয়েকটি দেশ তালেবানের প্রতিনিধির অংশগ্রহণের বিপক্ষে ছিল। তখন একটি প্রস্তাব আসে, আফগানিস্তানের চেয়ার ফাঁকা রাখা হবে। কিন্তু পাকিস্তান সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই বৈঠক বাতিল করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

১৯৮৫ সালে বাংলাদেশসহ সাতটি সদস্য দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করা সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা আটটি। ২০০৭ সালে আফগানিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কে যোগ দেয়।

সার্কের কার্যক্রম পরিচালিত হয় নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত সার্ক সচিবালয়ের মাধ্যমে। সার্কের আটটি সদস্য দেশ হলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান।

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement

চট্টগ্রাম

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে লরি, শিশুসহ পথচারী নিখোঁজ

Published

on

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবন্দর সড়কের মোড়ে বাটারফ্লাই সংলগ্ন পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেছে একটি লরি। এতে পাঁচ থেকে ছয় জন পথচারী লরির নিচে চাপা পড়েছেন। এখনো লরির নিচে শিশুসহ কয়েকজন থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছে, তিন জন পথচারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। লরির নিচে পড়া এক শিশুসহ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা থেকে আসা একটি কনটেইনারবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় ৫-৬ পথচারী লরির নিচে চাপা পড়েন। এর মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

জামাকাপড়ের লুকায়িত সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ আটক ১

Published

on

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। ওই ব্যাক্তির জামাকাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক হওয়ায় স্ক্যান করা হয় এবং জামাকাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

শুক্রবার (১৭ মে)সকালে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শারজাহ থেকে ঢাকায় আগত একযাত্রী স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন মর্মে গোপন সংবাদ আসে। বিমানটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোর্ডিং গেইট, ট্রানজিট পয়েন্ট, গ্রীন চ্যানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোহাম্মদ শহীদ মিয়া (পাসপোর্ট নং- BW0605774 ও জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৯০১২৯৮৫৯৭৬০৬৮) ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে সকাল সাড়ে ৯টায়। গ্রীণ চ্যানেলের স্ক্যানিং মেশিন অতিক্রম করার পর তাকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর টিমের সদস্যরা চিহ্নিত করে। এসময় তার কাছে স্বর্ণলংকার বা স্বর্ণজাতীয় কোন কিছু আছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তার কাছে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার নিকট ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। এরপর তাকে আর্চওয়ে করানো হলে তার পরনে অত্যাধিক পরিমাণ জামাকাপড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। জামাকাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক হওয়ায় সেগুলো খুলে মেশিনে স্ক্যান করা হয় এবং জামাকাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাকে কাস্টমস হলে নিয়ে আসা হয়।

স্বর্ণের পরিমাণ নির্ণয় করতে যাত্রীর শরীরের ১৬ পিস কাপড়(যার মধ্যে শর্ট প্যান্ট-৯ টি, স্যান্ডো গেঞ্জি-৬ টি ও ফুল প্যান্ট-১টি) স্থানীয় স্বর্ণকার কর্তৃক যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এ নিয়ে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পরে অপরিশোধিত ৪ হাজার ৪৬২ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ নির্ণয় করা হয়। প্রাপ্ত মোট স্বর্ণের পরিমাণ ৪ হাজার ৪৯২ গ্রাম (৪৪৬২ গ্রাম অপরিশোধিত স্বর্ণ ও ৩০ গ্রাম অলংকারসহ)। আটককৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

Advertisement

কাস্টমস গোয়েন্দা জানায়, আটক স্বর্ণগুলো কাস্টম হাউস, কাস্টমস আইন অনুযায়ী স্বর্ণসহ যাত্রীকে আটক করা হয় এবং বিমানবন্দর থানায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

‘রহিম্ম্যা ডাকাত’ থেকে জঙ্গি সংগঠনের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী

Published

on

গাজীপুরে জঙ্গিসংগঠনের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গেলো বুধবার গাজীপুর থেকে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট আব্দুর রহিম নামে ওই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। রহিম জামাতুল আনসারের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী বলে জানিয়েছেন সিটিটিসি।

শুক্রবার (১৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানিয়ে নিশ্চিত করেছেন সিটিটিসির প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, পাহাড়ে জঙ্গি সংগঠনের খবরে গত বছর যৌথ অভিযান শুরু হলে আব্দুর রহিম আত্মগোপন করেন। গত বুধবার গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালানো হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গহিন বনে মাটিতে পুঁতে রাখা ড্রামে অস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, অবৈধ অস্ত্র, বনভূমি ধ্বংসসহ বিভিন্ন অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামু থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৩ জুন জামাতুল আনসারের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শামিন মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তার সহযোগী ইয়াসিন এবং অস্ত্র সরবরাহকারী কবির আহাম্মদকে গেলো বছরের ৮ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের সংগঠনটির প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-গুলির উৎস, অর্থায়ন সম্পর্কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শামিন মাহফুজ জানিয়েছিলেন, পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তাদের সদস্যদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেবে-এমন একটা চুক্তি হয়েছিল। স্থানীয় অপরাধী কবির আহাম্মদ ও আব্দুর রহিমের সঙ্গেও তাদের সংগঠনের নেতারা যোগাযোগ করেন। তারাও জঙ্গি সংগঠনটিকে অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ধর্মান্তরিত মুসলিমদের নিয়ে কাজ করার আড়ালে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার গড়ে তোলেন শামিন মাহফুজ। পরে কবির ও রহিমকে সংগঠনে যুক্ত হওয়ার ‘দাওয়াত’ দেন। তারা অস্ত্র সরবরাহ করছিলেন। কিন্তু গত বছর পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হলে আব্দুর রহিম আত্মগোপনে যান। তিনি কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় ‘রহিম্ম্যা ডাকাত’ নামে পরিচিত।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version