আওয়ামী লীগ
কিছু মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, শুধু টাকা আর টাকা : কাদের
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/09/27/resize-600x315x1x0image-12854-1632733028.jpg)
অবাক লাগে কিছু কিছু মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। শুধু টাকা আর টাকা। সম্পদ আর সম্পদ। দেশে সম্পদ, বিদেশে সম্পদ। এদের এ বেপরোয়া লোভ লালসার যেন কোনো শেষ নেই। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, সততার রাজনীতির বিরল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধুর পরিবার। একটু বঙ্গবন্ধু পরিবারের দিকে চেয়ে দেখুন। এই থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন কীভাবে এই পরিবার চলেছে। কীভাবে বেগম মুজিব একটা পরিবারকে আগলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, সততার রাজনীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ হাসিনা তার ছেলে-মেয়েদের দিয়ে বিকল্প কোনো পাওয়ার হাউজ সৃষ্টি করেননি। বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন করে সরকার হঠানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। অতীতের মতো যদি আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করা হয় তাহলে বিএনপি আবারো পিছিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা দেশের উন্নয়ন দেখে না, কারণ তারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখে। আগামীতে যখন এক এক করে দেশের সব মেগা প্রকল্প চালু হবে তখন বিএনপি চোখে সরষে ফুল দেখবে।
কাদের বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বিভিন্ন দলকে ডাক দিয়েছেন। গতবারও ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটা ঐক্য করেছিলেন। সেই ঐক্যের ফলাফলও এই দেশের মানুষ দেখেছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে প্রশ্ন করতে চায় এবং বলতে চায়। আগামী নির্বাচনে আপনাদের নেতা কে? আন্দোলনে আপনাদের নেতা কে? কাকে ঘিরে আন্দোলন করবেন? কাকে ঘিরে সরকার গঠন করবেন? আমরা বলে দিচ্ছি আমাদের নেতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প একজন নেতা আপনারা (বিএনপি) দেখান। একজনকে দেখাবেন। পলাতক, দণ্ডিত আসামি। তিনি আপনাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এটা কি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে? মানুষ এত বোকা নন। মানুষ জানে বিএনপিকে ভোট দিয়ে লাভ নেই।
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রোববার (২৩ জুন) সকাল ৭টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
নিবেদনের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শেখ হাসিনা। পরে দলের অন্যান্য নেতারাও শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে সূর্যোদয়ের সময় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এ সভায় শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, আমন্ত্রিত অতিথিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। ছয় বছরের মাথায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দলের নাম থেকে বাদ দেয়া হয় ‘মুসলিম’ শব্দটি।
তারপর ছেষট্টির ৬ দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯- এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একাত্তরে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির অধিকার উচ্চারিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে।
টিআর/
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল পথচলার ৭৫ বছর
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ রোববার (২৩ জুন)।
এদেশের বৃহত্তম ও সর্ব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করছে। গেলো সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। দীর্ঘ এই পথচলায় সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতার মুকুটে সংযুক্ত করেছে একের পর এক পালক। পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে যারা ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। অনুরূপভাবে গৌরব, সাফল্য ও অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ তার প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী। দিবসটি উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ভূখন্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন। এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম পুরনো, অসাম্প্রদায়িক, সর্ববৃহৎ ও বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরআগে বঙ্গবন্ধু শুরুতেই পাকিস্তানে একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ভাবছিলেন। তিনি মনে করতেন পাকিস্তান হয়ে যাওয়ার পর সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আর দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।
এই ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে। যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। ভাবলাম, সময় এখনও আসে নাই। তাই যারা বাইরে আছেন তারা চিন্তাভাবনা করেই করেছেন।’
৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে বিএনপি-জায়ামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে এবং সেই থেকে টানা ৪ বার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও গেলো ১৫ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নব উদ্যোমে সংগঠিত হয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা গেলো ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এই দলের নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস এবং তা সংগঠনকে করেছে সমৃদ্ধ। শেখ হাসিনার আপসহীন, সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের চৌহদ্দি পেরিয়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’; দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ, শক্তির উৎস সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের শুভ জন্মদিন ঐতিহাসিক ২৩ জুন অঙ্কুরিত হয়েছিল ‘স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নসূত্র’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা শত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজ মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে।
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য-দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ এবং বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ৭৫ বছরে দেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সাফল্যের জয়গানে মুখরিত। অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্মাতা।
২৩ জুন ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, রোববার সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৭ টায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২ টা ৩০মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
জেএইচ
আওয়ামী লীগ
বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তাঁদের সঙ্গে জনগণ নেই : কাদের
বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপি হচ্ছে ভুয়া। ভুয়া দলের সঙ্গে জনগণ নেই। যারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কচু পাতার উপর শিশির বিন্দু আওয়ামী লীগ নয় যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। একটু ধাক্কা লাগলে সরে যাওয়ার পাত্র নয় আওয়ামী লীগ। বললেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আন্দোলন করবেন- ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপির নেতৃত্ব, দফা ভুয়া। এই ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। আগেও ছিল না ভবিষ্যতেও থাকবে না। যে আন্দোলনে জনগণ নেই সেই আন্দোলন, আন্দোলন নয়।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মাথা নত করার দল নয়, ব্যক্তি অপরাধ করলে দুদক স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার করার সৎ সাহস আছে শেখ হাসিনার। আজকে যে চক্রান্ত চলছে এটা আওয়ামী লীগকে হটানোর জন্য কি না এটা ভেবে দেখতে হবে। আজকে আন্দোলনের নামে যদি আবার আগুন নিয়ে মাঠে নামে, খুনের রাজনীতি করেন,আওয়ামী লীগ তার জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।
নেতাকর্মীদের গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাবধানে থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। ফখরুলরা আজ গুজব ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে৷ সেনাবাহিনীর প্রতিও তাদের সেই মতলব আছে। তারা আজকে গুজব ছড়িয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ দল বানানোর চক্রান্ত চলছে।
বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী অপপ্রচারে গণমাধ্যমও জড়িত। কিছু কিছু মিডিয়া সেই অপপ্রচারে নেমেছে।
উল্লেখ্য, সভায় আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আই/এ
-
বাংলাদেশ4 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বলিউড3 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
আইন-বিচার6 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
-
বাংলাদেশ2 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
বাংলাদেশ7 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
-
অপরাধ3 days ago
পার্কিংয়ে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, শোয়ার ঘরে স্ত্রীর