ময়মনসিংহ
মমেকে করোনা ইউনিটে আরও ৬ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদরে মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মমেক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন ডা. মহিউদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
করোনা আক্রান্তে মৃত ব্যক্তি হলেন, জামালপুর মেলান্দহ উপজেলার মাস্টার (৫০)। এছাড়া করোনা উপসর্গে মৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ সদরের আনোয়ারা (৭৫), ফুলপুর উপজেলার আজিজুর (৮০), মুক্তাগাছা উপজেলার শামসুল হক (৪০), নেত্রকোনা সদরের হাসান মিয়া (৭০) এবং গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার আব্দুল বারেক (৬৫)।
ডা. মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে নতুন ৩৯ জন ভর্তিসহ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১০৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে আইসিউতে ৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও সুস্থ হয়ে ১৬ জন হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।
সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৫ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ২১ হাজার ৯৪২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ হাজার ৯৫২ জন।
মুনিয়া
ময়মনসিংহ
গোপনে স্ত্রীর মরদেহ দাফনের চেষ্টা, বাধা দেয়ায় পালিয়েছে স্বামী
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় যান আলামিন। সেখানে স্ত্রী জামেলা খাতুন (২৬) বাসায় কাজ করতেন। আলামিন করতেন মাছের ব্যবসা। শনিবার (১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন আলামিন। রোববার (০২ জুন) সকালে জামেলা খাতুনের স্বজনরা এসে মরদেহ দাফনে বাধা দিলে পালিয়ে যান আলামিনসহ তার স্বজনরা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারওয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন বিকেলে স্বামী আলামিনের বাড়ি থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা ।
আলামিন উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারওয়াখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। নিহত জামেলা পার্শ্ববর্তী আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মৃগালী গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
গৃহবধূর মামা ফারুক বলেন, আলামিনের এক বোন মোবাইলে কল করে বলেছিল জামেলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু জামেলা কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে এটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। মরদেহ দাফনে বাধা দেয়ার পর আলামিন ও তার স্বজনরাও পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় সাত বছর আগে আলামিনের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বোনজামাই আলামিনের জুয়া খেলার অভ্যাস ছিল। এনিয়ে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। আমাদের সন্দেহ এসব কারণে আমার বোনকে মেরে তাদের বাড়িতে ফেলে রেখে সে ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এসআই জুয়েল রানা বলেন, গৃহবধূর মরদেহ সুরতহাল প্রস্তুতের সময় গলায় একটি কালো দাগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ জামেলা খাতুনের মৃত্যুর সঠিক সময় এবং ঢাকার কোন জায়গায় থাকতেন তা বলতে পারছেন না কেউ। আলামিনকে আটক করা হলে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার স্থান ঢাকায় হওয়ায় মরদেহ ময়মাতদন্ত করা নিয়ে বিপাকে আছি। এছাড়া ঘটনাটি ঢাকায় ঘটেছে। যে কারণে মামলা নেয়া নিয়েও জটিলতা আছে।
দুর্ঘটনা
পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন সুমন
গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সাদামাটির পাহাড়ে বেড়াতে এসেছিলেন সুমন মিয়া নামে এক যুবক। সবার সঙ্গে সেখানে নীল পানির লেকে গোসল করতে নামেন তিনি। গোসল শেষে সবাই তীরে উঠে এলেও নিখোঁজ থাকেন সুমন। প্রায় আধা ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর সুমনের নিথর দেহের সন্ধান মেলে।
রোববার (২ জুন) নীল পানির লেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া (২১) গাজীপুরের শ্রীপুর থানার গরগরিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে পর্যটন এলাকা দুর্গাপুরের সাদামাটির পাহাড়ে ঘুরতে আসেন সুমন মিয়া। তার সঙ্গে ২৫ জনের মতো লোক ছিল। রোববার দুপুরের দিকে বিজয়পুর সাদামাটির পাহাড়ের নীল পানির লেকে গোসল করতে নামেন তাদের কয়েকজন। সাঁতার না জানায় গোসলের এক পর্যায়ে পানিতে তলিয়ে যান সুমন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সুমনের কাকা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সবার সঙ্গেই সুমন পানিতে নেমেছিল। পরে শুধু দুইটা হাত আঙ্গিয়ে ডুবে যায় আমার ভাতিজা।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারহানা ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে লাশের সুরতহাল তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
এএম/
ময়মনসিংহ
নদীতে ভাসছিলো ট্রলি ব্যাগ, মিললো পা-মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ
ময়মনসিংহে সেতুর নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। লাশের দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো। তবে এখন পর্যন্ত লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার (২ জুন) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
ফারুক হোসেন আরও জানান, কালো রঙের ট্রিল ব্যাগের ভেতরে মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আলাদা পলিথিনে মোড়ানো ছিল লাশটি। এখন পর্যন্ত লাশটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ওসি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে।
টিআর/
-
বলিউড4 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
ঢালিউড4 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
-
বাংলাদেশ6 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড2 days ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি
-
আবহাওয়া6 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড4 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা
-
বাংলাদেশ6 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি