Connect with us

পরামর্শ

সফল হতে সবার আগে মনের জোর বাড়ান

Published

on

প্রতিদিনের জীবনযাপনে ব্যস্ততা, দুশ্চিন্তা, আবেগ, অভিমান, হতাশা, যে কোনো আক্ষেপসহ এমন অনেক কারণে আমাদের মনের জোর কমতে থাকে।  তবে এই ব্যাপারগুলো জীবনকে একেবাড়ে নিঃশেষ করে দিতে পারে। জীবনে সফলতা না আসে অনেকেই ভেঙে পড়েন, তবে  মনের জোর, ইচ্ছাশক্তি, সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত আর কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলে আপনার সফলতা ঠেকায় কে!…  
   
সফল হতে সবার আগে প্রয়োজন মানসিকভাবে শক্ত হওয়া। পরিস্থিতি যে সব সময় আপনার অনুকূল থাকবে তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি প্রতিকূলেও যেতে পারে, এটা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই যে কোনও নতুন কাজ করা উচিত। তবে মানসিক ভাবে শক্ত হওয়ার জন্য নিজের মনকেই সবার আগে স্থির করতে হবে। কিন্তু অনেকেই মনের জোড় না বাড়িয়ে নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করতে থাকেন। যার ফলে বাড়ে হতাশা আর এর থেকে শেষ পরিনতি হতে পারে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ।

মনের জোর ছিলো বলে মৃত্যুকে জয় করেছেন অনেকে। অনেক বড় অসুস্থতাকেও হার মানিয়েছেন।

তবে যা কিছুই হোক না কেন ভাগ্যকে দোষারোপ না করে মনের জোড় বাড়ানোর চেষ্টা করুন। যে কোনোভাবে হোক না কেন ধৈর্য হারানো যাবে না। ভেবে দেখুন তো আপনি কী চান আর কী চান না… 

দেখে নিন কীভাবে নিজের মনের জোড় বাড়িয়ে সফলতাকে আপনার সঙ্গী করবেন…

১. নিজের প্রতি দুঃখিত না হওয়া

Advertisement

নিজের প্রতি কখনই দুঃখিত বোধ করবেন না। নিজেকে আহারে বলার কোনও দরকার নেই এতে আপনার সময়ই নষ্ট হবে। আখেরে আপনার কোনও লাভ হবে না। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ান। কাজে দেবে।

২. লক্ষ্যে স্থির হওয়া

আপনার পাশে যদি কেউ না দাঁড়ায় তাহলে ভয় পাবেন না। নিজেই নিজের সব থেকে বড় লাঠি হয়ে দাঁড়ান। যদি কেই আপনার সঙ্গে চলতে না চায় তাহলে একলাই চলুন। 

৩. পরিবর্তনকে ভয় না পাওয়া

প্রতিদিনের জীবনে যদি কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে ভয় পাবেন না। জানবেন সব পরিবর্তন আপনার প্রতি এক একটা চ্যালেঞ্জ। তাই ভয় না পেয়ে পরিবর্তনকে আপন করে নিন।

Advertisement

৪. কেউ পারেনি বলে আপনি পারবেন এমন না

ধরুন এমন কাজ যা কেউ করতে পারেনি তাই বলে যে আপনিও করতে পারবেন না তা কিন্তু না। আপনার মনে কাজের প্রতি কতটা কনফিডেন্ট আছে সেটাই দেখবেন। যে কাজ আপনি মন থেকে ভালবাসেন সেই কাজ করুন।
 
৫. অন্যের কথার গুরুত্ব না দেয়া

কে কি বলল তাতে গুরুত্ব দেয়া ছেড়ে দিন। নিজের জীবন কীভাবে কাটাবেন, কী কাজ করে ভালো থাকবেন তা একান্ত আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব অন্য কারোর হাতে কখনই দেবেন না।

৬. ভাগ্যকে দোষারোপ না করা

কি হয়নি তা নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা করার দরকার নেই। কি হতে পারে সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন। তাতে আপনার সময়ও বাঁচবে এবং নিজের মনোবলও বাড়বে।

Advertisement

৭. একই ভুল বার বার না করা

একই ভুল বার বার করার কোনও মানেই হয়না। বার বার একই ভুল করতে থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই একই ভুল বারবার না করে ধীরে সুস্থে কাজ করুন।

৮. অন্যের খুশিতে খুশি হওয়া

অন্যের খুশিতে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। দেখবেন আপনার সাফল্যতে এবং খারাপ সময় অনেকের সঙ্গ পাবেন। তবে যদি অন্যের খুশিতে খুশি না হন তাহলে আপনি ভেঙে পড়বেন।

৯. প্রথমবার সফল হতে না পেরে ভেঙে না পড়া

Advertisement

যদি প্রথমবার সফল হতে না পারেন, তাহলে আবার চেষ্টা করুন। দেখুন চেষ্টা না করলে কেউই কখনও সফল হতে পারে না। তাই প্রথমবার যদি কোনোভাবে সফল হতে না পারেন তাহলে ভেঙে না পড়ে শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ান।

১০. একাকীত্বকে ভয় না পাওয়া 

আপনার সঙ্গে কেউ না থাকলে একাকীত্বকে ভয় পাবেন না। যদি খারাপ সময় কেউ আপনার পাশে দাঁড়াতে না চায় তাহলে ক্ষতি কি। একাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন। দেখবেন এতে আপনার মন যেভাবে শক্ত হবে তা কখনওই ভাঙা যাবে না।

১১. ধীর স্থিরভাবে কাজ করা

যখন পরিস্থিতি আপনার অনুকূল না হবে, তখন ধীর স্থিরভাবে কাজ করুন। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে কিছুই হবে না। অনেক ভুল হয়ে যাবে। তাই পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূল হলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করুন।

Advertisement

১২. কাজের পর নিজেকে জাহির না করা

আপনি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন। যাতে কেউ আপনাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে না পারে। সফল হওয়ার পর নিজেকে জাহির করবেন না। কারণ নিজের ঢাক নিজে না পেটানোই ভালো। এর ফলাফল খুব একটা ভালো হবে না।

নিজের দুর্বলতাকে কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। সব সময়ই কঠিক বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা রাখুন… এতে করে আপনি আরো দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। এই সবকিছু সম্ভব যদি শুধুমাত্র আপনার মনের জোড় থাকে। সম্মান অনেক বড় একটি ব্যাপার। যা পেতে হলে আগে অন্যকেও সম্মান দেখাতে হবে। দেখবেন যেনো মনের জোর বাড়াতে গিয়ে কাউকে অবহেলা না করা হয়।

সূত্র: জিনিউজ

এস

Advertisement

পরামর্শ

চুল ঝরার নেপথ্যে যে যে কারণ থাকতে পারে

Published

on

চুলে চিরুনি চালালেই তো গোছা গোছা চুল হাতে উঠে আসছে। অথচ চুলের যত্নে কোনও ত্রুটি রাখছেন না। এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করা থেকে মাঝেমাঝে স্পা— বাদ থাকছে না কিছুই। তাতে লাভ কিছুই হচ্ছে না। দিনে দিনে চুলের গোছা ক্রমশ সরু হয়ে আসছে। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়ে চিরুনিতল্লাশি করা জরুরি। কারণ, শুধু যত্নের অভাব নয়, অনেক সময়ে শারীরিক কিছু সমস্যার কারণেও চুল পড়তে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক চুল ঝরে পড়ার কারণ।

থাইরয়েড

থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে চুল পড়তে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম‍্য বিঘ্ন হলে যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, চুল ঝরা তার মধ‍্যে অন‍্যতম। অত‍্যধিক চুল উঠলে তাই শুধু শ‍্যাম্পুর দোষ না দিয়ে শরীরের প্রতি নজর দিন।

মানসিক উদ্বেগ

চুল পড়ার অন‍্য একটি কারণ হতে পারে মানসিক উদ্বেগ। ব্যস্ততময় জীবনে উদ্বেগ আর চিন্তা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। কোনও বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন উদ্বেগে থাকলে একটা সময় তা অবসাদে পরিণত হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চুল ঝরে শুধুমাত্র মানসিক উদ্বেগের কারণে।

Advertisement

শরীরের স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতি

শরীরে ভিটামিন, আয়রন, জিঙ্কের ঘাটতি নানা অসুখ ডেকে আনে। চুল প়ড়ার নেপথ্যে এটাও একটা কারণ হতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতিও অত্যধিক চুল পড়তে পারে। হঠাৎ চুল প়ড়ার পরিমাণ বে়ড়ে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিন।

জিনগত

পরিবারে কারও এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকলে মুশকিলে পড়তে হয়। বংশানুক্রমে চুল পড়ার সমস্যা পেলে, সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজসাধ্য নয়। চুল পড়ে যাওয়ার এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় অ্যালোপেশিয়া। এমনটা হয়ে থাকলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ব্যায়াম শুধু ওজন কমাতে নয়, আরও যা যা উপকার

Published

on

ওজন কমাতে শরীরচর্চার জুড়ি নেই। রোগা হওয়ার তাগিদে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত সকলেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরে ওজন যদি নাও কমে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অবধারিত বা়ড়ে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। ব্যায়াম শুধু শরীর আর মনের খেয়াল রাখে না। মস্তিষ্ক সচল রাখতেও শরীরচর্চা করা জরুরি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে বশে থাকে ওজন। হাঁটুতে ব্যথা, রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবিটিস থাকলেও ব্যায়াম করে সুফল পাওয়া যায়।

এর পাশাপাশি শরীরচর্চা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। স্মৃতিভ্রম যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হল ডিমেনশিয়া। মাত্র কয়েক দশকে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে প্রায় দুশো শতাংশ। টাইপ-২ ডায়াবিটিস থাকলেও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়। ফলে রোজের শারীরিক কসরতের অভ্যাস একসঙ্গে বহু রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কী ভাবে বাড়িতে তোলে শরীরচর্চার অভ্যাস?

স্মৃতিশক্তি

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরচর্চা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কের প্রতটি কোষ সচল থাকে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতি ধরে রাখাও অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর বদলে হাঁটলে কিংবা সাইকেল চালালেও উপকার পাওয়া যাবে।

Advertisement

মনোযোগ বৃদ্ধি

শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মনোযোগ। ইঁদুরদৌড়ের জীবনে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজন। মনোযোগহীন কাজের গুণমান নিয়ে সংশয় থাকেই। কার্ডিয়ো মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। হার্টের খেয়াল রাখতেও কার্ডিয়োর জুড়ি মেলা ভার।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

ব্যায়াম করলে শুধু ওজন কমে না, মনও ভাল থাকে। সার্বিক ভাবে ভাল থাকতে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমালে চলবে না। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও সমান নজর দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে শরীরের উপরেও এর প্রভাব পড়ে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

তালেরশাঁস খেলে মিলবে যেসব উপকার

Published

on

বৃষ্টির পর দেশে আবারও তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে। তীব্র এই গরমে প্রাণ জুড়াতে কাজ করে যেসব ফল, তার মধ্যে একটি হলো তালশাঁস। তালশাঁস হলো তালের কাঁচা অবস্থা। এটি সুস্বাদু ও ঠান্ডা ধাঁচের। অনেকে তালশাঁস কিনে এনে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খান। তখন এটি আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। তালশাঁস যে শুধু খেতেই ভালো, তা কিন্তু নয়। এটি নানা পুষ্টিগুণের ভরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এর প্রতিবেদন থেকে তালেরশাঁসের উপকারিতা সম্পর্কে জানা গেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক গরমে তালেরশাঁস খেলে কী ধরণের উপকার মিলবে।

পেটের সমস্যায় উপকারী- প্রচণ্ড গরমে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। তালশাঁস খেলে পেট তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা হয়। এটি খেলে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা কমে।

বিপাকক্রিয়া বাড়ায়-  দুর্বল বিপাকক্রিয়ার কারণে ওজন বাড়তে থাকে এবং মানুষ স্থূলতার শিকার হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি খেলে বিপাকক্রিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভূত হয় না।

হাইড্রেট রাখে-  প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর গরম হতে শুরু করে। এর ফলে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে তালের শাঁস খেলে তাৎক্ষণিক শরীর হাইড্রেট হয়। ডিহাইড্রেশন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এই ফলটি খান।

Advertisement

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-  দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণে মানুষ খুব দ্রুত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তালশাঁস খান।

ডায়াবেটিসে উপকারী- তালশাঁস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version