Connect with us

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের কয়েকশ বাড়ি-গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলিরা

Published

on

গাড়ি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুসে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিরা।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নাবলুসের হাওয়ারা নামক এক গ্রামে দুই ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা করেন এক ফিলিস্তিনি। এ ঘটনার পর রোববার রাতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নাবলুসে ফিলিস্তিনের বাড়ি-গাড়িতে আগুন ধরিয়ে ইসরায়েলিরা।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিরা কমপক্ষে ৩০০টি হামলা চালিয়েছে। এই হামলাকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ‘সুসংগঠিত হত্যাসাধন এব লুণ্ঠন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

নাবলুসের দক্ষিণ দিকের গ্রাম জাতরাতে গত রোববার সামিহ আল-আকতাস নামের ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পেটে গুলি ছোড়ে ইসরায়েলিরা। ওই গুলিতে আহত হয়ে পরেরদিন মারা যান তিনি। ইসরায়েলিদের হাতে প্রাণ হারানো সামিহ মাত্র ৫ দিন আগে তুরস্ক থেকে ফিরেছিলেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তুরস্কে গিয়েছিলেন তিনি।

ইসরায়েলিদের হামলায় হাওয়ারা, যাতারা, বুরিন এবং আসিরা আল-কিবলিয়া গ্রামের ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বেশিরভাগই আহত হয়েছেন টিয়ার গ্যাস এবং বাড়ি-গাড়িতে লাগানো আগুনের ধোঁয়া থেকে।

Advertisement

ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ছুরি ও রড দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আর এ আঘাতের কারণে তার মাথার খুলি ফেটে গেছে। আরেকজনের মুখে রড দিয়ে মারা হয়েছে।

হাওয়ারা গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম ওমর ইসরায়েলিদের এ তাণ্ডবকে ‘বর্বর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, ‘গতকাল আমরা ঔপনিবেশিক বসতিস্থাপনকারীদের অপরাধের নতুন মাত্রা দেখলাম। যেখানে তারা সবকিছুতে হামলা করেছে। মানে দোকান, মানুষ, সুপারমার্কেট, বাড়ি, গাছ, গাড়ি, গাড়ির গ্যারেজ সব জায়গায় হামলা হয়েছে। তারা বাড়িতে প্রবেশেরও চেষ্টা চালিয়েছে।’

ওমর আরও বলেছেন, ‘তারা সেনাবাহিনীর দ্বারা ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত ছিল।’

পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা গাসান ডাগলাস আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৩০টি বাড়ি ও ১০০টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তবে অগ্নিসংযোগে কেউ নিহত হননি।

Advertisement

তিনি বলেছেন, ‘হামলার ব্যাপকতা এবং যে কম সময়ের মধ্যে এটি হয়েছে তা অকল্পনীয়।’ তিনি জানিয়েছেন, এ হীন অপরাধের ‘সহযোগী’ ছিল ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলার মধ্যেই সোমবার আরেক ইসরায়েলি-আমেরিকানকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক ফিলিস্তিনি। মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় এক বন্দুকধারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

আন্তর্জাতিক

৩৭ চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

আমেরিকার তৈরি উপকরণ দিয়ে নজরদারি বেলুন ও ড্রোন তৈরির অভিযোগে চীনের ৩৭টি কোম্পানিকে গেলো শুক্রবার কালো তালিকাভুক্ত করেছে ওয়াশিংটন। খবর- রেডিও ফ্রি এশিয়া

৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টি মার্কিন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি খাতের সহযোগিতা নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করেছে। ১১টি নজরদারি বেলুন বানানো আর বাকি চারটি প্রতিষ্ঠান মানববিহীন ড্রোন বানানোর কারণে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

এদের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান আবার ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য কিছু সামগ্রী সরবারহ করেছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর এ পর্যন্ত ৩৫৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

যে ট্রেনে প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ যানবাহন নিয়ে ভ্রমণ করা যায়

Published

on

সংগৃহীত ছবি

মনে করুন, আপনি দূরের কোনো এলাকায় কাজে বা বেড়াতে যাচ্ছেন। আর গন্তব্যস্থানে পৌঁছতে  আপনি ট্রেন ভ্রমনকে বেছে নেবেন।পরবর্তীতে আপনার মনে হলো-ট্রেনে যদি মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কার বা মোটরবাইক অথবা  অন্য কোনো যানবাহন আপনি নিতে পারতেন। তাহলে কী মজাই না হতো।

হ্যা, বর্তমান আধুনিক সভ্যতার যুগে এটাও সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমনই ট্রেন চালু হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র ট্রেন যাতে ভ্রমণ করার পাশাপাশি আপনার প্রিয় গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহনকে সঙ্গে নিতে পারবেন। এই বিশেষ ট্রেনকে বলা হয় অটো ট্রেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেলরোড প্যাসেঞ্জার করপোরেশন-আমট্রাক পরিচালিত এই ট্রেনে আপনার সঙ্গে থাকা যানবাহনটিকে নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন।

এই ট্রেনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- বাইরে থেকে কোনো ব্যক্তি বুঝতেই পারবেন না যে ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের গাড়ি আছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি টু  অরল্যান্ডো রুটে এই অটোট্রেন চলাচল করছে। বিরামহীন যাত্রায় এই অটোট্রেনটির ওয়াশিংটন থেকে অরল্যান্ডো পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ১৭ ঘণ্টা।

কয়েক বছর ধরে অটো ট্রেনের চাহিদা বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে  এই ধরণের রুট মাত্র একটি। ১৯৭১ সালের আগে এই অটো ট্রেনের অস্তিত্ব ছিল না। ওই বছরই মার্কিন বিজ্ঞানী ও  গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্টিফিক ইনফরমেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন গারফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রে এই বিশেষ ট্রেন আবিষ্কার ও চালু করেন।

Advertisement

ওইসময় ওয়াশিংটন ডিসির লরটন থেকে অর‌ল্যান্ডো রাজ্যের সানফোর্ডে দৈনিক এই অটোট্রেন ব্যবস্থা চালু ছিলো। গারফিল্ডের অটো-ট্রেন এতটাই জনপ্রিয় ছিল লুইসভিল থেকে সানফোর্ড পর্যন্ত দ্বিতীয় লাইনের পরিষেবা শুরু করে। তবে  ১৯৮১ সালের মধ্যে ওই রুটে অটো-ট্রেন কর্পোরেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

স্লিপিং কোচ, ডাইনিংসহ অত্যাধুণিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরণের ট্রেনের একটি মাত্র রুট থাকায় যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বছরে মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার যাত্রী এই ট্রেন সেবা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হলেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। চীন যেখানে  ২০০৮ সাল থেকে প্রায় ৪২ হাজার কিলোমিটার উচ্চগতির ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইন নির্মাণ করেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে। ১০০ মাইলের বেশি গতিতে চলাচলের মতো তাদের মাত্র ৩৭৫ মাইল দীর্ঘ রেল লাইন রয়েছে।

১৯৭০–এর দশকে নিউইয়র্ক সেন্ট্রালের মতো বিখ্যাত রেল পরিবহন দেউলিয়া হয়ে যায়। ফলে ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা আমট্রাকের কাছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে হস্তান্তর করা হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রেলপথ উন্নয়নে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বা এক লাখ ২০ হাজা্র কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছেন।  এর মধ্যে বোস্টন, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সংযোগকারী অটো ট্রেনের রুট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের রেল খাতে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটবে।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বাইডেনের হুমকি সত্ত্বেও অস্ত্র পাবে ইসরাইল

Published

on

ছবি- রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বরাদ্দ পাচ্ছে ইসরাইল। একজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা এই সপ্তাহে জানায়, ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হবে এমন একটি অস্ত্রের চালান যা দিয়ে রাফায় হামলা চালানো হতে পারে- তা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গভীরভাবে খতিয়ে দেখেছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি অভিমুখী অস্ত্রের একটি চালান আটকে দেয় বাইডেন প্রশাসন।  খবর- ডেইলি সাবাহ

ওয়াশিংটন অনেকদিন ধরে নেতানিয়াহু সরকারকে বলছে, ইসরাইল যেন সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া রাফায় হামলা না চালায়।

তবে মার্কিন এই অস্ত্রের চালান সরবরাহ স্থগিত হলেও কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সদস্য সেন জিম রিশ বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের মার্কিন অস্ত্র ইসরাইলে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে যৌথ প্রত্যক্ষ আক্রমণ যুদ্ধাস্ত্র, ট্যাংক রাউন্ড, মর্টার ও সাঁজোয়া যান। এসব অস্ত্রের অর্থমূল্য শত শত কোটি মার্কিন ডলার।

রাফায় ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। দখল করেছে সেখানে থাকা একটি সীমান্ত ক্রসিং। শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে অনেক ফিলিস্তিনি।

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল গাজায় শুরু করে পালটা হামলা। হামলায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি।

Advertisement

এনএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version