বলিউডের কুইন যদি হন কঙ্গনা তাহলে রাখী সাওয়ান্ত হলেন ড্রামা কুইন। তিনি মুখ খুললেই শুরু হয় বিতর্ক। স্থান, কাল, পাত্র, কোনোকিছুরই তোয়াক্কা করেন না রাখী। মনের কথা মুখে আনতে দ্বিধা করেন না কখনোই। তার উদ্ভট কাজকর্মের দৌলতে টিআরপিও বাড়ে তরতরিয়ে। যে কারণে পাপারাজ্জিরাও সবসময় চোখে চোখে রাখেন রাখীকে। তবে এবার যা বললেন তা সত্যিই চমকে দেয়ার মত।

রাখী জানালেন আম্বানি পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে নাকি দেয়া হয়েছে একটি বড় হীরের আংটি। যে হিরের কাছে নাকি হার মেনে যাবে সুস্মিতা সেনের আংটিও।

চমকে উঠলেন তো? ভাবছেন কোনও কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ রাখীকে কেন হীরের আংটি উপহার দিতে গেল আম্বানি পরিবার? আর তাও আবার এত বড় একটা হীরে! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বেশ ভালোই শোরগোল পড়েছে  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সত্যিই কি রাখীকে হীরের আংটি উপহার দিয়েছেন আম্বানিরা?

এখন সত্যি মিথ্যা তো কেবল রাখীই জানেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে এই ড্রামা কুইন জানিয়েছেন, অনন্ত আম্বানির বিয়ে উপলক্ষে এই আংটি দেয়া হয়েছে তাকে।‌ পাপারাজ্জিদের সামনে সেই আংটি দেখিয়ে রাখী বলেন, এতে থাকা হীরেটি নাকি প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স তথা অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের আংটির হীরের থেকেও বড়।

রাখী সাওয়ান্ত বলেন, ‘সুস্মিতা সেনের আংটিতে যে হীরেটি রয়েছে এটি তার থেকেও আকারে বড়। ওকে কে আংটিটি দিয়েছিলেন জানেন? অনিল আম্বানি ওকে ওই আংটিটি দিয়েছিলেন মনে হয়… কিন্তু আমাকে এই আংটি দেয়া হয়েছে অনন্ত আম্বানি আর রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের জন্য। যেমন রিহানাকে দেয়া হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। তেমন আমাকেও এই ৫০ কোটির আংটি দেয়া হয়েছে। আমি ওদের বিয়েতে পারফর্মও করব।’

স্বাভাবিকভাবেই রাখীর এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে হইচই। নেটিজেনদের মতে, অন্যান্যবারের মত এবারও হয়ত নিছক মজা করেছেন রাখী। কারণ, পূর্বেও একাধিকবার এরকম আলটপকা মন্তব্য করে লাইমলাইটে এসেছেন এই বলি তারকা। এবারও হয়ত সেরকমই কিছু একটা করে অ্যাটেনশন কুড়োতে চাইছেন এই ড্রামা কুইন।

আবার কেউ কেউ বলছেন, এটা সত্যিও হতে পারে। হয়ত সত্যিই অনন্ত আম্বানির বিয়েতে পারফর্ম করবেন তিনি। তবে সেক্ষেত্রেও ৫০ কোটির হীরে দেয়ার ব্যাপারটা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।

এসি//

মুম্বাইয়ের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে ধরা হয় বলিউডের কিং খানের ‘মন্নত’কে। রোজ সেখানে মানুষের ভিড়। যদি একবার বিলাসবহুল বাংলোর ছাদে শাহরুখ খানের দেখা পাওয়া যায়। তা না হলে হীরে খচিত নেমপ্লেটের সামনে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তো তোলাই যায়!

কিন্তু জানেন কী, শাহরুখের আগে ‘মন্নত’ কেনার সুযোগ পেয়েছিলেন সালমান খান।

সাধের এই মন্নত শাহরুখ কিনেছিলেন ২০০১ সালে। তখন তার নাম ছিল ‘ভিলা ভিয়েনা’। শাহরুখের আগে এই বাংলো কেনার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ভাইজান। বলিউড হাঙ্গামাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাকি খোদ ভাইজানই এ তথ্য ফাঁস করেছিলেন।

সালমান জানান, মন্নত কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন?

তিনি জানান, সেই সময় সাফল্য পেতে শুরু করেছিলেন সালমান। বাংলো কেনার প্রস্তাব পাওয়ার কথা বাবা সেলিম খানকে জানিয়ে তার পরামর্শ চেয়েছিলেন। ছেলেকে সেলিম খান বলেন, “এত বড় বাংলো নিয়ে করবে কী?” বাবার এই কথাতেই আর ‘ভিলা ভিয়েনা’ কেনার আগ্রহ দেখাননি ভাইজান। তার বদলে বাংলোটি কিনে ফেলেন শাহরুখ।

২০০৫ সালে বাড়ির নাম ‘মন্নত’ রাখেন তিনি। সালমান জানান বাবার করা সেই প্রশ্ন তিনি শাহরুখকে করতে চান। জানতে চান, “এত বড় বাড়িতে কী করেন শাহরুখ?”

শোনা যায়, শাহরুখের সাধের ‘মন্নত’-এর এখন বাজারমূল্য দুশো কোটি টাকা রুপির বেশি। অবশ্য মন্নত তার বিপুল সম্পত্তির একটি অংশ মাত্র। রটনা, মধ্য লন্ডনের পশ পার্ক লেনে শাহরুখের একটি বিলাসবহুল ভিলা রয়েছে। যার মূল্য ১৭২ কোটি টাকা। বলিউডের রোম্যান্স কিংয়ের দুবাইয়ের প্রাইভেট আইল্যান্ডে একটি বাড়ি রয়েছে। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ১৯,৯৬০ স্কোয়ার কিলোমিটারের আলিবাগের বাংলোর দাম প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বুগাত্তি ভেরন, রোলস রয়েস, বেন্টলির মতো গাড়ির মালিক বলিউডে বাদশা।

সালমান খানের পর তার পরিবারে রয়েছেন দুই ভাই আরবাজ় খান ও সোহেল খান। রয়েছেন দুই বোন, অর্পিতা খান ও আলমিরা খান। ২০১৭ সালে ঘর ভাঙে আরবাজ়ের। তার বছর পাঁচেক বাদে বিবাহিবচ্ছেদ হয় সোহেলের।

অভিনেতার দুই বোনের মধ্যে অর্পিতাকে নিয়ে বরাবরই চর্চা একটু বেশি। ২০১৪ সালে উত্তরাখণ্ডের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের আয়ুষ শর্মাকে বিয়ে করেন তিনি। যদিও সেই সময় এক অর্থে বেকার ছিলেন আয়ুষ। বলা হয়, অর্থ ও খ্যাতির জন্য সালমান খানের বোন অর্পিতাকে বিয়ে করেন আয়ুষ।

প্রথম থেকেই সমালোচনার মুখে ছিল আয়ুষ-অর্পিতার প্রেম। এ-ও শোনা গেছে, বলিউডে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই নাকি প্রথম সারির অভিনেতার বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন আয়ুষ। যদিও সে সব সমালোচনা পেরিয়ে দুই সন্তানের বাবা-মা তারা। তবে সংসার ভাঙার খবর ছড়ায় তাদেরও। ঠিক কী হয়েছিল অর্পিতা-আয়ুষের মাঝে?

২০১৯ সালে অর্পিতা-আয়ুষের বিবাহবিচ্ছেদের খবর শোনা যায়। সালমানের ভগ্নিপতির কথায়, ‘‘আসলে কোনও দিনই কেউ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব আগ্রহী ছিলেন না। এক বার ছেলেকে রেস্তোরাঁয় ধোসা খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলাম। যখন বেরোচ্ছি, আমাকে একজন ছবি শিকারি জিজ্ঞেস করেন, আমি ও অর্পিতা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আইনত কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছি কি না!’ বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রীকে এই কথা জানাতেই নাকি হেসে গড়িয়ে পড়েন অর্পিতা। আয়ুষ বলেন, ‘বাড়ি গিয়ে অর্পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি নাকি বিয়ে ভাঙছ? তাতেই হেসে কুটিপাটি অর্পিতা।’

সালমানের বোনকে বিয়ে করার চার বছর পর ‘লভযাত্রী’ ছবিতে অভিষেক হয় আয়ুষের। সালমানের সঙ্গে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে। যদিও কোনও ছবিতেই তেমন কিছু নজর টানতে পারেননি ভগ্নিপতি। সম্প্রতি মুক্তি পয়েছে আয়ুষের ছবি ‘রুসলান’। এই ছবিতেও তেমন সাফল্য পাননি অভিনেতা।

জেএইচ