ক্রিকেট
স্কটিশদের জয়োৎসবের বাধায় মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলন
'বাংলাদেশকে আমরা পাপুয়া নিউগিনি বা ওমানের চেয়ে ওপরে দেখি না'- ম্যাচের আগে স্কটিশ কোচ শেন বার্জারের এমন মন্তব্য যে সত্যি হয়ে যাবে তা হয়তো আন্দাজ করেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নাহলে হয়তো তার মন্তব্যের পাল্টা চ্যালেঞ্জ নিতেন না।
তবে বাস্তবতা একটু তেঁতো। তাই তো একদিন আগেও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা টাইগার দলপতি যে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন সাংবাদিকদের সামনে, তা একদিন পরেই কেন নিভে যাবে? বাংলাদেশকে ধাক্কা দেয়া এই হারের পর মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের।
শুধু মাঠ ছেড়েই পরিত্রাণ পায়নি বাংলাদেশ। আইসিসি সহযোগী দেশটির এমন দারুণ জয় ছাপ ফেলেছে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও। শুধু কি ছাপ ফেলেছে? কিছুক্ষণের জন্য তো থামিয়েই দিয়েছিল। বাংলাদেশ দলের হারের ব্যাখ্যা যখন দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তখনই স্কটিশরা জয়োৎসব করছে ড্রেসিংরুমে।
মাস্কাটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনের স্থান ও ড্রেসিংরুম প্রায় কাছাকাছিই। স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উল্লাসধ্বনিতে চাপা পড়ে যাচ্ছিল মাহমুদউল্লাহর কথা। পুরো সংবাদ সম্মেলনকক্ষ কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে যায় সে কারণেই। খানিকক্ষণ আগেই ম্যাচ হারের কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা হয়ে আসা এই উল্লাসধ্বনি ভালো লাগেনি টাইগার অধিনায়কের কাছে। অন্তত তার অভিব্যক্তি তাই-ই বলে।
মুদ্রার অন্য পিঠটা স্কটল্যান্ডের। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা স্কটল্যান্ডের ড্রেসিং রুম যেন তখন কোন পার্টি সেন্টার। সেই পার্টি রেখে আসাটাই কঠিন স্কটিশ অধিনায়কের জন্য। তবুও সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে প্রশান্তি নিয়ে বলছিলেন, ‘দারুণ লাগছে। এমন অর্জনের অংশ যে আমরা হতে পারি, সেই বিশ্বাস আমাদের ছিল। আজ সেটি করে দেখাতে পেরেছি।’
এস
ক্রিকেট
ট্রাভিস হেডকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মন্তব্য করলেন টম মুডি
ট্রাভিস হেড আগুন ঝড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যাট হাতে। চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে রানের তুবড়ি ছড়াচ্ছেন। সর্বশেষ ম্যাচে অভিষেক শর্মার সাথে বিনা উইকেটে দলকে জিতিয়ে বের হয়েছেন। যে ম্যাচে ৩০ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন হেড। এই অজি ওপেনারকে নিয়ে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টম মুডি মন্তব্য করেছেন।
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। হেড যেভাবে রান পাচ্ছেন, তাতে অস্ট্রেলিয়া যারপরনাই খুশি হতে পারে। সেই কথাই বলেছেন মুডি। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১১ ইনিংস খেলে ৫৩৩ রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটার। শেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেললেন এক অমানবিক ইনিংস।
হেডকে নিয়ে মুডি মন্তব্য করেন, “আমি বিশ্বাস করি ট্রাভিস হেডের বর্তমান ফর্ম অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুশি হওয়ার মতো। যেভাবে সে এবং ফ্রেশার ম্যাকগার্ক পারফর্ম করেছেন, আমি কল্পনা করি- প্রায় অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক, যদি বেশি না হয়- তারা এই দুই সম্পদকে একসাথে ব্যাট করতে দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। ট্রাভিস হেড এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বুস্ট হিসেবে কাজ করছে।”
বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে হেডকে ওপেনার হিসেবে বিবেচনা করেছে ম্যানেজমেন্ট। আরেক তরুণ অজি জ্যাক ফ্রেশার ম্যাকগার্কও নিজের জাত চিনিয়েছেন চলতি আইপিএলে। তবে সুযোগ মেলেনি তার। বরং অভিজ্ঞতার উপর আস্থা রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
এম/এইচ
ক্রিকেট
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ব্যর্থ বাংলাদেশ
চেষ্টা করল বাংলাদেশের নারীরা। তবে হার এড়ানো গেল না। সিরিজের শেষ ম্যাচে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হলো ২১ রানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ তোলে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থামে বাংলাদেশ।
সিলেটে ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতের একাদশ ছিল অপরিবর্তিত। লক্ষ্যমাত্রা ১৫৭ রান মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চেষ্টা চোখে পড়েছে স্বাগতিকদের। যদিও দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারী- কারও ইনিংসই বড় হয়নি। দিলারা ৪ রানে, সোবহানা ফিরেছেন ১৩ রানে।
রুবিয়া হায়দারের ব্যাটে রান করার প্রয়াস চোখে পড়ে। তবে সেটিও থেমেছে ২০ রানে, রাধা যাদবের শিকার হয়ে। রাধা মোট ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটও হাসেনি। জ্যোতি যখন ফিরেছেন ৫ উইকেট হারিয়ে ৫২ রানে অবস্থান করছিল তখন বাংলাদেশ।
সেসময় চলছিল ৯ ওভারের খেলা। ঠিক সেখান থেকে দারুণ পার্থক্য তৈরি করেন রিতু মনি ও শরিফা খাতুন। দলীয় শতক নিশ্চিত করে ফিরে যান রিতু, তার ব্যাটে আসে ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। অন্যদিকে অপরাজিত ছিলেন শরিফা। তার ২১ বলে ২৮ রানের ইনিংস ছিল লড়াকু মানের।
এর আগে স্মৃতি মান্ধানা, দয়ালয়ান হেমলতা ও হারমানপ্রীত কৌরের যথাক্রমে ৩৩, ৩৭ এবং ৩০ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে লড়াকু সংগ্রহ তোলে ভারত। রিচা ঘোষ খেলেন ১৭ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।
এম/এইচ
ক্রিকেট
বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ১৫৭ রান
টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দলটি। স্বাগতিক দলের বোলারদের ভালোই নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের নারীরা। মান্ধানা, হেমলতা, হারমানপ্রীতদের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ তোলে ভারত।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে সিলেটের মাঠে নামে ভারত। দলটির প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২৫ রানে। শেফালি ভার্মাকে ১৪ রানে ফিরিয়ে দেন সুলতানা খান। এরপর স্মৃতি মান্ধানা এবং দয়ালান হেমলতা মিলে দারুণ খেলতে থাকেন। মান্ধানার উইকেট পতন ঘটে, দলের রান যখন ৬২। নাহিদা আক্তারের ডেলিভারিতে ৩৩ রানে ফিরে যান মান্ধানা। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ব্যাটেও রান পায় ভারত।
কৌর ও হেমলতা মিলে গড়ে তোলেন ৬০ রানের জুটি। সফরকারী মেয়েরা আরও এগিয়ে যেতে পারত। তবে পর পর দুই ওভারে কৌর ও হেমলতা ফিরে যান। উইকেট দু’টি সংগ্রহ করেন নাহিদা এবং রাবেয়া খান। দলের সংগ্রহ ছিল তখন ১২২ রান। চলছিল ১৬ তম ওভারের খেলা। এরপর রিচা ঘোষের ব্যাটে কিছু রান পায় ভারতীয় দল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ভারত।
এম/এইচ
-
তথ্য-প্রযুক্তি7 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা4 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা7 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত