স্মার্ট ফোনের দৌলতে এখন সারা বিশ্বই যেন চলে এসেছে হাতের সুঠোয়। তা সে প্রিয়জনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা হোক কিংবা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের খবর সংগ্রহ, সবেতেই প্রয়োজন শুধু একটি মাত্র ক্লিক। তবে প্রযুক্তির আর্শীবাদের মতো রয়েছে অভিশাপও। যার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিবিধ সমস্যা। আসলে কিছু মানুষের কাছে মোবাইল ফোন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, তা তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে। তেমনই স্মার্ট ফোনের জন্য স্বামী ও স্ত্রী-র মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ার একটি ঘটনা সামনে এসেছে। আর সেই কাহিনি শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।
স্মার্ট ফোনের জাদুতে এখন আট থেকে আশি সকলেই মগ্ন। আর তেমনই এক যুবতীর অত্যাধিক মোবাইল ব্যবহারের জন্য অসন্তুষ্ট হন তার স্বামী। তবে তাতেও কোনও পরোয়াই করেননি স্ত্রী। বরং তার সাফাই ‘স্বামী গেলে যাক, মোবাইলের সঙ্গ ছাড়া চলবে না।’
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গাজিয়াবাদের লোনি এলাকায়। সেখানেই এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে তার স্বী সারাদিনই ফোন নিয়ে বসে থাকেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিচিতদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেই ওই যুবতী সময় কাটিয়ে দেন। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই রেগে যান যুবতীর স্বামী। তবে তাতেও স্ত্রী-র আচরণে এতটুকু বদল আসেনি। বরং স্বামী আর ফোনের মধ্যে যে যুবতী ফোনকে বেছে নেবেন, তা ঘূণাক্ষরেও কেউ বুঝতে পারেননি।
ঘটনাটিতে মহিলার স্বামী অভিযোগ করেন যে তার স্ত্রী সারাদিনই বাড়ির ছোট-বড় সমস্ত বিষয়ে বোনকে ফোন করে বলতে থাকে। এমনকী ফোনের ওপারে মহিলার বোনও অনেক মিথ্যে কথা বললেও যুবতী কোনও প্রতিবাদ করেন না বলেও অভিযোগ যুবকের।
সম্পর্ক ভাঙতে বসেছে দেখে দম্পতি পারিবারিক কাউন্সেলিং-এর দ্বারস্থ হয়। আর সেখানেই যুবতী জানান, যে স্বামীর চেয়ে তার কাছে মোবাইলের বেশি প্রিয়। মোবাইলের বিনিময়ে স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার কথা কার্যত কাউন্সেলিং-এ স্বীকার করেন মহিলা। কাউন্সেলর বোঝালেও তিনি স্মার্ট ফোনের জেদের কাছে এতটাই অনড় যে বিবাহিত সম্পর্ককে বিসর্জন দিতে রাজি ছিলেন যুবতী। খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বেশ সকলেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছে।