Connect with us

দুর্ঘটনা

গুলিস্তানে নিহত বেড়ে ১৭, পরিচয় শনাক্ত ৯ জনের

Published

on

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে নয়জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে দুজন নারী। বাকি ছয়জন পুরুষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পরিচয় শনাক্ত হওয়া আটজন হলেন- পুরান ঢাকার মো. মোমিনের ছেলে মো. সুমন (২১), যাত্রাবাড়ীর মোশারফ হোসাইনের ছেলে মনসুর হোসাইন (৪০), চাঁদপুরের কচুয়ার হেদায়েত উল্লাহর মেয়ে পারভীন (৩১), বরিশালের কাজীরহাটের মৃত দুলাল মৃধার ছেলে ইসহাক মৃধা (৩৫), পুরান ঢাকার বংশালের মৃত মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৪২), পুরান ঢাকার কেরানীগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাহাত (১৮), চাঁদপুরের মতলবের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলামিন (২৩), পুরান ঢাকার চকবাজারের আবুল হাশেমের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (৩৮), একই এলাকার মুমিনুল ইসলামের মেয়ে নদী বেগম (৩৬)।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ‘ক্যাফে কুইন’ নামে সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৮৫ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে (ক্যাফে কুইন) বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।

বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আঁচ করা যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখেও। সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচল করা যাত্রীবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।

Advertisement

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যাফে কুইন ভবনে বেশিরভাগই স্যানিটারি ওয়্যারের দোকান। ভবনের পাশে ব্র্যাক ব্যাংকের ভবন। ক্যাফে কুইন ভবনের বিস্ফোরণে ব্র্যাক ব্যাংক ভবনসহ আশপাশের স্থাপনারও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সম্রাট বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার দিকে হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। শব্দ পাওয়ার সঙ্গে মানুষকে ছোটাছুটি করতে দেখি। অনেক মানুষকে ক্যাফে কুইন ভবনের সামনে পড়ে থাকতে দেখি। তারা সঙ্গে সঙ্গে মারা যান।

তিনি বলেন, ক্যাফে কুইন ভবনের নিচতলার শাটার দরজা ভেঙে অনেক দূর চলে যায়। এখানে স্যানিটারির দোকান বেশি। এসময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ভবনের পাশে পানের দোকান, কুরিয়ার সার্ভিস আছে, সেগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

এদিকে, বিস্ফোরণের পর সেখানে উদ্ধারকাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। সেখানে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল। এছাড়া বোম ডিস্পোজাল ইউনিট বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছেছে। অন্যদিকে বিস্ফোরণ ঘটা ভবনের সামনে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। কিছুক্ষণ পরপরই ভবন থেকে মরদেহ বের করে আনছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

Advertisement

দুর্ঘটনা

ট্রেনের ধাক্কায় রেলসেতু থেকে পড়ে ২ বৃদ্ধ নিহত

Published

on

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ রেলস্টেশনে রেলসেতু পার হওয়ার সময় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের  ধাক্কায় পড়ে গিয়ে দুই নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

রোববার (১২ মে) বিকেলে উপজেলার সুতিয়া নদীর ওপর রেলসেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আল আমিন।

রেলসেতুর কাছের দোকানি কবির হোসেন জানান, ময়মনসিংহগামী  ট্রেন আসতে দেখে আশপাশের লোকজন ডাক চিৎকার শুরু করলেও তারা দুজন তাড়াহুড়ো করে ব্রিজ পার হওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ব্রিজ থেকে দুজন ছিটকে নিচে পড়েন। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

ইয়াসিন আরাফাত নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রেনের ধাক্কায় দুজনেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিচে পড়ে যান। তাঁরা সেতুর প্রায় শেষ সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত গতির ট্রেন নিমেষেই তাদের দুজনকেই ধাক্কা দেয়। একজনের মাথা ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা যায়। অপরজনের শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যান।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ে আগুন, দুই শ্রেণিকক্ষ পুড়ে ছাই

Published

on

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সদরের কেবি বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ষষ্ঠ শ্রেণির দুটি শ্রেণিকক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার (১২ মে) দুপুরে উপজেলা সদরের কান্তেশ্বর বর্মন (কেবি) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এ ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে টিফিন শুরুর সময়ে আকস্মিকভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুটি শ্রেণি কক্ষে হঠাৎ আগুন দেখা যায়। মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে শ্রেণি কক্ষ থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে খবর পেয়ে আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় শ্রেণি কক্ষ দুটিতে থাকা ১০টি ফ্যান, দরজা জানালাসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কেবি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দুটির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, বিষয়টি জানার পর প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

জিপিএ-৫ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Published

on

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এলিম (১৬) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ফলাফল প্রকাশ পর এ প্লাস না পাওয়াতে নিজের ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ফাঁস দেন ওই শিক্ষার্থী।

রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম। এর আগে শহরের পৌরসভার বাঙালিপুরে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত এমিল ওই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন । আজ সকালে ফলাফল প্রকাশ হয় এতে এ প্লাস না পাওয়ায় নিজের ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। এসময় স্বজনরা তাকে ঘরের তীরের সাথে ঝুলতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও বলেন, এ বিষয়ে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version