আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে: জাতিসংঘ
তুরস্কে গেলো মাসে হওয়া বিধ্বংসী ভূমিকম্পের জেরে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। জানিয়েছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) একজন কর্মকর্তা।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে বড় দাতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং এর আগে তুরস্কের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভয়াবহ এই তথ্য সামনে এলো।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএনডিপির কর্মকর্তা লুইসা ভিনটন মঙ্গলবার তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে একটি সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলেন। গত মাসের বিপর্যয়কর ওই ভূমিকম্পে তুর্কি এই শহরটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে লুইসা ভিনটন বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত করা হিসেবে এটি স্পষ্ট যে- সরকারের উপস্থাপিত এবং … আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় প্রস্তুতকৃত মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হবে।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ।
ভূমিকম্পে তুরস্কে ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবন ধসে গেছে বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতের আঁধারে এই ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই ঘুমের মধ্যেই পিষ্ট হয়ে মারা যান।
এরপর ক্ষয়ক্ষতির অস্থায়ী পরিসংখ্যান তৈরি করা হয় এবং ভিনটন বলছেন, ওই পরিসংখ্যানে শুধুমাত্র তুরস্ককেই কভার করা হয়েছে। আর ওই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই ভূমিকম্প-পীড়িত জীবিত মানুষ ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে আগামী ১৬ মার্চ ব্রাসেলসে একটি দাতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এর আগে ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কের প্রত্যক্ষ ক্ষয়ক্ষতি ৩৪.২ বিলিয়ন বলে অনুমান করেছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু সংস্থাটি এখন বলছে, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এই দেশটিতে পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের খরচ অনেক বেশি হবে এবং ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতির সাথে যুক্ত তুরস্কের মোট দেশীয় পণ্যের ক্ষতিও বাড়তি যোগ হবে।
মঙ্গলবারের সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভিনটন বলেন, ইউএনডিপি, বিশ্বব্যাংক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় তুরস্ক সরকার অনেক বেশি ক্ষতির হিসাব করেছে। ক্ষয়ক্ষতির ধারণাটি একবার সম্পন্ন হলে সেটিই আগামী সপ্তাহে দাতা সম্মেলনের ভিত্তি হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, পুনরুদ্ধারের খরচ, উন্নত এবং আরও পরিবেশগতভাবে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণসহ মোট ক্ষয়ক্ষতির বা খরচের পরিমাণ ‘অবশ্যই সেই পরিমাণ (১০০ বিলিয়ন ডলার) ছাড়িয়ে যাবে’।
ভিনটন তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হাতায় প্রদেশের অবস্থাকে ‘অ্যাপোক্যালিপটিক’ হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, তুর্কি এই প্রদেশে লাখ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার ভাষায়, ‘ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন অনেক বেশি, কিন্তু (অর্থ) সংস্থান দুষ্প্রাপ্য’।
তুরস্কের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, বিপর্যয়কর ভূমিকম্পের পর বেঁচে যাওয়া প্রায় ২০ লাখ মানুষকে অস্থায়ী বাসস্থানে রাখা হয়েছে বা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তাঁবুতে বাস করছেন এবং আরও ৪৬ হাজার মানুষকে কন্টেইনার হাউসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অন্য দুর্গতরা ডরমেটরি এবং গেস্টহাউসে বসবাস করছে বলে সরকার জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক
সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরে র্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা
সৌদি আরবে মহিলাদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় সৌদির ২৭ বছরের মডেল রুমি আলকাহতানি বোরখা খুলে বিকিনি পরে র্যাম্পে হেঁটেছিলেন। সেই আবহেই এ বার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। এই প্রথম সেই দেশে স্নানপোশাক পরে ফ্যাশন শোয়ে হাঁটলেন মডেলরা।
শুক্রবার সৌদিতে রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল, আর সেখানেই কার্যত বিপ্লব ঘটে গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে আয়োজিত হয়েছিল সেই ফ্যাশন শোটি। সেই শোয়ের ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।
এতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাকশিল্পী ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রংবেরঙের স্নানপোশাকে একে একে হেঁটে চলেছেন সুন্দরী মডেলরা। মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট, কেউ কেউ আবার নিম্নাঙ্গে সারং বেঁধেছিলেন। স্নানপোশাক পরলেও, অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেল তাদের।
সৌদির মাটিতে প্রথম বার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শোয়ের দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল স্নানপোশাকগুলি নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিতে পেরে সম্মানিত।’’
কেএস/
আন্তর্জাতিক
চীনের ২৬টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
উইঘুর ইস্যুতে চীনের ২৬টি টেক্সটাইল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ওয়্যারহাউজ ফ্যাসিলিটি থেকে আর চীনের তুলা আমদানি করবে না দেশটি।
শনিবার (১৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়াইট হাউস এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের উইঘুর সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোর করে পণ্য তৈরি করায় চীন। ওই সব পণ্য নিজেদের সরবরাহ চেইন থেকে সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে চীনের টেলিকম সরঞ্জাম ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার নিষেধাজ্ঞা দিল টেক্সটাইল খাতের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্টে এবার চীনের ২৬টি কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এসব কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এর আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য শ্রম শিবির স্থাপন করেছে। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি একটি কৌশলমাত্র।
২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত ৬৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
আন্তর্জাতিক
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে পরিবার। স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কী ভাবে ভাল ভাবে দিন কাটাবেন, তা নিয়েই সর্বদা চিন্তায় থাকতেন সহদেব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তার দুই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমে জানতে পারে যে, কোনও দুই অচেনা ব্যক্তি ঘরের ভিতর ঢুকে সহদেবের দুই কন্যাকে খুন করেছেন। কিন্তু তদন্ত এগিয়ে চললে জানা যায়, দুই নাবালিকাকে খুন করেছে তাদের বড় বোনই। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের গোহাওয়ার জাইত গ্রামে ঘটেছে। ১৩ বছরের কিশোরীর বিরুদ্ধে দুই নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদের নাম রিতু (৭) এবং পবিত্রা (৫)।
পুলিশ সূত্রে খবর, সহদেব তার স্ত্রী সবিতা এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। সবিতার ১৩ এবং ন’বছরের দুই কন্যা রয়েছে। সবিতা এবং তার প্রাক্তন স্বামী পুখরাজের দুই সন্তান তারা। পুখরাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সহদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় সবিতার। সহদেব এবং সবিতার তিন সন্তান— সাত এবং পাঁচ বছর বয়সি দুই কন্যা এবং দেড় বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাদের।
সহদেবের বাড়ি থেকে দুই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সবিতার ১৩ বছরের কন্যা পুলিশকে জানায়, দু’জন অচেনা ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে তার দুই বোনকে গলা টিপে খুন করে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য সে নিজেই পুলিশকে আসল ঘটনাটি জানায়। কিশোরীর দাবি, পাঁচ সন্তানকে কী ভাবে বড় করবেন, এত বড় সংসার একা হাতে কী করে সামলাবেন— তা নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতেন সহদেব। পরিবারের সদস্যসংখ্যা কমে গেলে বাবার চিন্তাও কমে যাবে— এমন ভেবে দুই বোনের গলায় কাপড় জড়িয়ে তাদের গলা টিপে মেরে ফেলে কিশোরী। পুলিশের কাছে এমনটাই জানায় সে। দুই নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
-
আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়3 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
শিক্ষা6 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
-
শিক্ষা6 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন