সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। মহামারির কারণে উন্নয়নের গতি কিছুটা কমেছে। তবে দেশ থেমে থাকেনি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার ( ২১ অক্টোবর) সকালে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে’র উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র হবে রপ্তানি মেলা, বাণিজ্য মেলা, রপ্তানিকারকদের সম্মেলন, ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলা। বাণিজ্য বৃদ্ধিমূলক কর্মকানণ্ড আয়োজনের মাধ্যমে কেন্দ্রটির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটি বছরব্যাপী বিভিন্ন পণ্য-ভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আর এখন থেকে এখানেই স্থায়ী প্লাটফর্মে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

সরকার ২০১৫ সালে রাজউকের পূর্বাচলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর অনুকূলে প্রথমে ২০ একর এবং পরে আরও ৬ দশমিক ১ একর জমি বরাদ্দ দেয়। সেখানে চীন সরকারের প্রকল্প সহায়তায় সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই সুপরিসর এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেন্টারটি নির্মাণে জমির মূল্যসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৮১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার ব্যয় করেছে ৫২৬ কোটি টাকা।

কেন্দ্রটির ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার স্কয়ার মিটার। এর মধ্যে ১৫,৪১৮ স্কয়ার মিটারের একটি প্রদর্শনী হল রয়েছে। 

আধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্রটির নিজস্ব পানি শোধনাগার, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, ইন্টারনেটের জন্য ওয়াইফাই সিস্টেম, একটি আধুনিক ঝর্ণা ও রিমোট-কন্ট্রোল প্রবেশদ্বার রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তব্য রাখেন।

পূর্বাচল নিউ সিটি প্রকল্প এলাকায় মূল অনুষ্ঠানস্থলে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

Recommended For You

Exit mobile version