Connect with us

আইন-বিচার

পঞ্চগড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিন মামলা, গ্রেপ্তার ১৭৩

Published

on

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টি। এসব মামলায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনসহ মোট ১৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পঞ্চগড়ের বোদা ও সদর থানায় করা মামলাগুলোতে নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে।

আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নাশকতায় অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনো সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আজ জুমার নামাজের পর নতুন করে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সকাল থেকেই কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের আবাসস্থলসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং কাদিয়ানিদের দুটি মসজিদের আশপাশে পর্যাপ্ত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে ।

এদিকে, গত ৩ মার্চের ঘটনার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনো জেলাজুড়ে বিরাজ করছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক। গ্রেপ্তারের সংখ্যাও বাড়ছে। পুলিশের পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব ও বিজিবি। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

অন্যদিকে, পঞ্চগড়ের আহমেদীয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নতুর করে সহিংসতা এড়াতে মাঠে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে তারা। এদিকে যে কোন দুর্ঘটনার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড এড়াতে অবস্থান নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গেলো শুক্রবার, শনিবার (৩ ও ৪ মার্চ) পঞ্চগড়ের আহমেদীয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুই জন নিহত হয়।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

আইন-বিচার

এসএমসি প্লাসের ড্রিংকস বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

Published

on

বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সকল ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। একই সঙ্গে অনুমোদনহীন এ ড্রিংকস  বাজারজাত করার জন্য একমির কর্ণধার তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশেষ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এসএমসি প্লাসকে এ জরিমানা করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতে উপস্থিত হয়ে তানভীর সিনহা দোষ স্বিকার করে জামিন চান। এসময়ে তিনি জানান, বাজারজাত করার আগে তিনি জানতেন না যে এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাঁকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

এর আগে গেলো ১৬ মে একই আদালত অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রি করায় এসএমসি প্লাস এর মালিক ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা টাকা জরিমানা করেছিল।

প্রসঙ্গত, বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

টেকনাফে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করলো বিজিবি

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে ধাওয়া খেয়ে পালানো মাদক পাচারকারীর ফেলে যাওয়া দুই কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছে বিজিবি।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত পৌনে ১১টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের লম্বরী ঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, পলাতক পাচারকারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও তা বের করতে বিজিবি খোঁজ খবর নিচ্ছে।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী ঘাট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় বিজিবি। এতে বিজিবির সদস্যরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে।

একপর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে সমুদ্র সৈকতের দিক থেকে আসা সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের ওপর দেখতে পায় বিজিবির সদস্যরা। এতে ওই লোককে থামার জন্য নির্দেশ দিলে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।

Advertisement

বিজিবির সদস্যরা ধাওয়া দিলে লোকটির সঙ্গে থাকা একটি পোটলা ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে পোটলাটি উদ্ধার করা হয়। পোটলাটি খুলে পাওয়া যায় ২ কেজি ৪৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস।

লে. কর্নেল মহিউদ্দীন বলেন, পলাতক পাচারকারীকে চিহ্নিত করতে বিজিবি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উদ্ধার করা মাদকের চালান বিজিবির ব্যাটালিয়ন দফতরে মজুদ রয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা

Published

on

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বিগত পাঁচ বছরের দায়িত্ব অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে ভোগ করা বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তবে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান  ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ওই বছরে এসব বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ  না নিয়েও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version