অর্থনীতি
শনিবার ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে শনিবার (১১ মার্চ) শুরু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সম্মেলন ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’।
ওইদিন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় সামিটের অন্যতম আকর্ষণ ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’রও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা শীর্ষ এ সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানো, নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করাসহ এবং দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে এই সামিট। মেগা এ সম্মেলন সফল ও অর্থবহ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন এবং রপ্তানি ও স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এফবিসিসিআই এর অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে ৩ প্লেনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর থাকবে এ সামিটে।
কৃষি
আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেবো না : কৃষিমন্ত্রী
রাজশাহীতে আমের ফলন এবার কম হয়েছে, সে কারণে দাম বাড়বে। তাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেব না। বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশের আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। এজন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আর এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে।
এ সময় সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম পচনশীল পণ্য। তাই মৌসুমে একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরা আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবো। তবে এর জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।
এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন।
এএম/
অর্থনীতি
হাফ সেঞ্চুরি ডিমের, সবজিতে নেই স্বস্তি
বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গেলো সপ্তাহেই ডিমের হালি ছিলো ৪৫ টাকা। এদিকে কমেনি সবজির দামও।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানী ও এর আশপাশের বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
ক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম এমন নানান অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে ডিমের দাম বেড়েই চলছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তেজগাঁওয়ের আড়তমালিকরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে বিক্রিত ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। প্রতিদিন তারা মেসেজ দিয়ে বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশে থাকা আড়তদারদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।
মালিবাগ বাজারে ডিম কিনতে আসা আফজাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাবা যায় এক ডজন ডিম কিনলাম ১৬০ টাকায়! যা কিছুদিন আগেই ছিল ১২০ টাকা। হঠাৎ করে ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে গেল অথচ সংশ্লিষ্ট কারও কোনো উদ্যোগ নেই বাজার নিয়ন্ত্রণের।
এদিকে কমেনি মুরগির দামও, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছে সপ্তহহের ব্যবধানে কেজি প্রতি সবজির দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে , প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশ সাইজ ভেদে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায়।
প্রসঙ্গত, বাজার নিয়ন্ত্রণে জোরদার তদারকির দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আই/এ
অর্থনীতি
ব্যাংকঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না : বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সুদহার বাজারভিত্তিক ও ডলারের দরে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সুদহার বাজারের ওপর ছাড়া হলেও এখনকার বাস্তবতায় তা ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না। এখন আর এসব নীতির পরিবর্তন হবে না। বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সভাকক্ষে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে অংশ নেয়া ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর।
ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে জানান, ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে প্রকল্প করে এখন ১৪ শতাংশ দিতে গিয়ে ব্যবসায়িক হিসাব মেলানো কঠিন হচ্ছে অনেকের পক্ষে। হঠাৎ ডলারের দর বাড়ার কারণে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর তিন-চারশ’ কোটি টাকারও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মেয়াদি ঋণ শ্রেণিকরণের শিথিলতা হঠাৎ তুলে নিলে খেলাপি ঋণ বাড়বে। এভাবে বারবার নীতির পরিবর্তন না করে ধারাবাহিকতা দরকার।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, গভর্নর তাদের সব বক্তব্য শুনেছেন। এখন কী ব্যবস্থা নেন দেখা যাক। হঠাৎ করে ডলারের দর বাড়ানোর কারণে কোনো কোনো বড় গ্রুপ ৩০০- ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব গ্রুপ লোকসানে পড়েছে দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধ সূচির মাধ্যমে যেন এটা সমাধান করা হয় সে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আই/এ
-
আইন-বিচার4 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি4 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়3 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
অপরাধ4 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
শিক্ষা6 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
-
শিক্ষা6 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন