এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়: ফখরুল

নির্বাচন

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটানোর বিকল্প কোনো পথ নেই। এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে, নতুবা নয়। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় সরকারবিরোধী চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১৮ মার্চ সারাদেশের সব মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার খায়েশ হয়েছে। তাই তারা নীল নকশার মাধ্যমে ২০২৪ এর নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা গ্রেপ্তার, মামলা দিয়ে দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। সরকার দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে। সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে ও সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করছে। জনগণকে জিজ্ঞেস করলে তারাও বলবে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।

বিএনপির আন্দোলনে সরকার উসকানি দিচ্ছে ও তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে দাবি করে ফখরুল বলেন, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন সহিংস আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেখে সরকারের গায়ে জ্বালা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার চক্রান্ত শুরু করেছে। পঞ্চগড়ে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা, গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন। নতুবা বিএনপির আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে, এর মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

Recommended For You

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version