পেটে পাথরের শিশু! গর্ভপাত না করিয়ে ৯ বছর ঘুরলেন মা

সন্তান এসেছিল পেটে। কিন্তু জরায়ুর ভেতর নয়। জরায়ুর বাইরে ক্ষুদ্রান্ত্রেই ছিল সেই ভ্রুণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ধরনের গর্ভাবস্থাকে একটোপিক প্রেগন্যান্সি বলা হয়। সেই ভ্রুণকে নষ্ট করে দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি হননি হবু মা। শেষ পর্যন্ত পেটেই ভ্রুণটি ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থেকে। ২৮ সপ্তাহের পর ভ্রুণের বৃদ্ধিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও গর্ভপাত করানো হয়নি। দীর্ঘ নয় বছর পেটেই ছিল ভ্রুণটি। তবে ইদানীং ওই কঠিন হয়ে যাওয়া ভ্রুণের কারণেই মৃত্যু হল ৫০ বছর বয়সি মহিলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি এমন ঘটনার কথাই প্রকাশ্যে এসেছে।

আফ্রিকা থেকে ফেরার পর ১৪ দিনের মাথায় মারা যান ৫০ বছরের প্রৌঢ়া। শরীরে পুষ্টির অভাবে আর বাঁচানো যায়নি তাকে। ঠিক কী হয়েছিল ওই মহিলার শরীরে?

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উদ্বাস্তু মহিলাটি ইতোমধ্যে আটবার গর্ভধারণ করেছেন। এটি ছিল তার নবম গর্ভ। তবে কিছু অস্বাভাবিকতা ছিল এবারের গর্ভধারণে। সাধারণত গর্ভধারণের পর ভ্রুণটি জরায়ুতে রোপিত হয়।‌ জরায়ুর ভেতরেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে সেটি। কিন্তু মহিলাটির জরায়ুর বদলে ক্ষুদ্রান্ত্রে চলে যায় সেই ভ্রুণ।

এই অবস্থায় তা পরীক্ষায় ধরা পড়তেই চিকিৎসকরা গর্ভপাতের বিকল্পের কথা জানান‌। কিন্তু মহিলাটি রাজি হননি। তার বিশ্বাস, আফ্রিকায় থাকাকালীন কেউ একজন তার উপর কালোজাদু করেছেন। সেই কালোজাদুর জেরে এমন গর্ভধারণ! এদিকে ২৮ সপ্তাহের পর ভ্রুণটিও আর বাড়ছিল না। সেখানে থমকে যায় বৃদ্ধি। কারণ স্বাভাবিকভাবে গর্ভের ভেতরে যে পুষ্টি থাকে, তা ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকে না। তবে দীর্ঘ নয় বছর ধরে থাকতে থাকতে ভ্রুণটি কঠিন হয়ে যায়। প্রভাব পড়তে থকে মহিলার শরীরে। ক্ষুদ্রান্ত্রে পাথরের মতো জমে থাকায় ঠিক মতো শরীরে পুষ্টি যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫০ বছর বয়সেই মৃত্যু হল তার।

Recommended For You

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version