Connect with us

ছাত্র-শিক্ষক

অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত হলেন ভিসি, উত্তপ্ত রাবি

Published

on

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ভিসিকে দুই ঘণ্টা ধরে সিনেট ভবনের সামনে অবরুদ্ধ থাকার পরে বাসায় ফিরেছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে শিক্ষক এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে ভিসিকে সেখান থেকে নিয়ে বাসভবনে পৌঁছে দেন।

এরপর শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসার সামনে অবস্থান নেন। আরেকটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেটের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। মেইন গেটের সামনে দুপুর আড়াইটার দিকে আবারো বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সোয়া তিনটার দিকেও মেইন গেটের সামনে রাস্তায় আগুন দিয়ে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনকারীরা।

সিনেট ভবনের সামনে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে নিজ বাসভবনে প্রবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

রোববার দুপুর পৌনে ২টায় নিজ বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি। ভিসি বাসভবনে প্রবেশের পর থেকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সিনেট ভবনের সামনে রাবি ভিসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এক হেলমেট পরিহিত শিক্ষার্থীকে বহিরাগত ভেবে মারতে উদ্যত হয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় সেই হেলমেট পরিহিত যুবককে নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের দিকে নিয়ে যা।পরে সেই হেলমেট পরিহিত শিক্ষার্থী নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেয় এবয়ং তার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে।

Advertisement

এসময় ভিসির সামনের অংশে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সরে গেলে ফাঁকা হয়ে যায়। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের টের পাওয়ার আগেই ভিসি বাসভবনে ঢুকে পড়েন। ভিসি বাসভবনের প্রবেশের খবর পাওয়ার পর থেকে ওই ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।

এর আগে রোববার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিল সারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্লোগানে উত্তপ্ত করে তোলেন ক্যাম্পাস।

পরে বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বাসভবনে বসে এসে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ফলপ্রসূ সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘিরে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সেখানেই আটকা পড়ে রাবি ভিসি।

ছাত্র-শিক্ষক

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ফাঁকা থাকছে ৭৩ হাজারের বেশি পদ

Published

on

সারাদেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক পদ শূন্য। পদগুলোতে নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে আবেদন পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে শেষে সেই আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার প্রার্থীর। অর্থাৎ পদ শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।

সোমবার (২০ মে) এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান এ তথ্য গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৩ হাজার ৯৩২ জন আবেদন করেছেন। আমরা আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যেও প্রাথমিক সুপারিশে কিছু প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন।

জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন।

ফলে আবেদন আরও কমেছে। এছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

Advertisement

এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নিবন্ধন সনদ অর্জনের পর তার মেয়াদ থাকবে তিন বছর। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হয়ছে। ফলে বয়স ৩৫ বছরের কম-এমন অনেক প্রার্থীও আবেদন করতে পারেননি। এ কারণে মূলত আবেদন খুবই কম পড়েছে।

গেলো (৩১ মার্চ) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। আর মাদরাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আবেদন শেষ হয়েছে। চলতি মাসে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

শিক্ষক নিবন্ধনের ফলাফল প্রকাশ আজই

Published

on

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে কাজ করছি। এ নিয়ে ব্যস্ত আছি। আজই ফল প্রকাশিত হবে। বলেলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহিল আজম

বুধবার (১৫ মে) যে কোনো সময় ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী।

উল্লেখ্য,শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। ২০১৫ সালের আগপর্যন্ত এনটিআরসিএ শুধু সনদ প্রদান করত। সনদের ভিত্তিতে নিয়োগ দিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি। এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৫ প্রার্থী ৫ ও ৬ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল আজ

Published

on

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার ফল রোববার (২১ এপ্রিল) প্রকাশ করা হবে। তবে কখন ফল পাবেন, তা জানা যায় নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রস্তুত। হয়তো আজই আমরা ফল প্রকাশ করতে পারি। তবে ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় জানাননি সচিব।

প্রাথমিক বিদ্যালয়/ অনলাইনে বদলি আবেদনে পদে পদে ভোগান্তি, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা
গেলো ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হন।

Advertisement

তারও আগে গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version