Connect with us

আইন-বিচার

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে রিট: নতুন বেঞ্চে পাঠালেন প্রধান বিচারপতি

Published

on

হাইকোর্ট

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

এজন্য বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে।

গেলো ১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। এ সময় রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান আদালত।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রত প্রকাশ করেন।

Advertisement

বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি। এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

এর আগে গত ৭ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। এই রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।

Advertisement

আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ও পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি।

রিট দায়ের করার কারণ প্রসঙ্গে ওই সময় আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই সঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হতো না। কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুদক আইন ২০০৪ এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

তিনি বলেন, এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ বক্তব্য সঠিক নয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন আর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট করেছি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

Advertisement

পরে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়। অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট আবেদনটিও প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

আইন-বিচার

টেকনাফে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করলো বিজিবি

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে ধাওয়া খেয়ে পালানো মাদক পাচারকারীর ফেলে যাওয়া দুই কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছে বিজিবি।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত পৌনে ১১টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের লম্বরী ঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, পলাতক পাচারকারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও তা বের করতে বিজিবি খোঁজ খবর নিচ্ছে।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী ঘাট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় বিজিবি। এতে বিজিবির সদস্যরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে।

একপর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে সমুদ্র সৈকতের দিক থেকে আসা সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের ওপর দেখতে পায় বিজিবির সদস্যরা। এতে ওই লোককে থামার জন্য নির্দেশ দিলে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।

Advertisement

বিজিবির সদস্যরা ধাওয়া দিলে লোকটির সঙ্গে থাকা একটি পোটলা ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে পোটলাটি উদ্ধার করা হয়। পোটলাটি খুলে পাওয়া যায় ২ কেজি ৪৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস।

লে. কর্নেল মহিউদ্দীন বলেন, পলাতক পাচারকারীকে চিহ্নিত করতে বিজিবি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উদ্ধার করা মাদকের চালান বিজিবির ব্যাটালিয়ন দফতরে মজুদ রয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা

Published

on

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বিগত পাঁচ বছরের দায়িত্ব অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে ভোগ করা বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তবে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান  ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ওই বছরে এসব বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ  না নিয়েও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা

Published

on

অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করেছেন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। এজন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদলত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশেষ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এসএমসি প্লাসকে এ জরিমানা করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

কামরুল হাসান জানান, গেলো ১৪ মে বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন ৫টি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। একই সঙ্গে কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ ও ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এসএমসি প্লাস, ব্রুভানা, প্রাণের এক্টিভ, টারবো এবং আকিজের রিচার্জ – এগুলো ওষুধ না কি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে খাদ্য অদিপ্তরের এ পরিদর্শক জানিয়েছিলেন, এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস তা ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল খান। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। তাঁরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছেন।কিন্তু কোনো কোম্পানি শোনেনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version