Connect with us

আন্তর্জাতিক

এক থালায় আড়াই হাজার কেজি ‘কুসকুস’

Published

on

লিবিয়ার জাতীয় খাবার ‘কুসকুস’। বিশেষ এ খাবার তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে দেশটিতে বেসরকারি একটি সংস্থার উদ্যোগে কুসকুস দিবস আয়োজন করা হয়। দিনটিতে বিশালাকার থালায়, পরিবেশন করা হয় খাবারটি। এবার এক থালায় আড়াই হাজার কেজি কুসকুস এবং পাঁচটি উটের মাংস একসাথে পরিবেশন করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

জানা গেছে, কুসকুস লিবিয়াসহ উত্তর আফ্রিকার আরব দেশগুলোর জনপ্রিয় খাবার। সাধারণত বিশেষ দিন ও হিজরি নববর্ষে এই খাবার খায় লিবিয়ার বাসিন্দারা।

সাব্রাতাহ শহরে দেশটির বিখ্যাত ২০ জন শেফ রান্না করেছে কমপক্ষে আড়াই হাজার কেজি কুসকুস। পরে ১৩ ফিটের বেশি ব্যাসের সুবিশাল থালায় পাঁচটি উটের মাংসের সাথে তা পরিবেশন করা হয়।

লিবিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান আলি আল ফুতিমি বলেন, কুসকুসকে আরব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার জন্য কয়েকটি আফ্রিকান আরব দেশ একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে। লিবিয়া তাদের সে চুক্তির অংশ না হলেও কুসকুস আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। আমরা কুসকুস দিবসকে জমকালো রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছি। ইউনেস্কো ও অন্যান্যদের এই বার্তা দিতে চাই, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো কুসকুস লিবিয়ার পরিচয়ও বহন করে।

উৎসবে কুসকুসের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন আয়োজকরা। ব্যতিক্রমী আয়োজন দেখতে লিবিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান বিপুল সংখ্যক ভোজন রসিক।

Advertisement

উৎসবে আসা এক নারী বলেন, লিবিয়ার আর দশজন নারীর মতো আমিও রান্না পছন্দ করি। অনেক দূর থেকে উৎসবে এসেছি। আমার এলাকায় কুসকুস অনেক জনপ্রিয় খাবার। আয়োজকদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

আরেকজন বলেন, ত্রিপোলি থেকে এখানে এসেছি। ভালো সময় কাটছে। সবাই এ উৎসব উপভোগ করেছে। কুসকুস অসাধারণ খাবার। আশা করছি, প্রতিবছরই এমন আয়োজন হবে।

কুসকুস মূলত সুজি বা গম-ভুট্টা দিয়ে বানানো হয়, যা পরে মাংস অথবা সবজির সাথে রান্না করা হয়। সুঘ্রাণের জন্য ব্যবহার করা হয় পেয়াজ ও লবঙ্গ।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

আন্তর্জাতিক

ফাঁদে ফেলে ১৫ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে হামাস

Published

on

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ট্র্যাপে ফেলে ১৫ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক বাহিনী-ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড।
হামাসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা রাফা শহরের আল-তানুর এলাকার একটি বাড়িতে আগে থেকে বোমা পেতে রেখেছিল। ইসরায়েলি সেনারা ওই বাড়িটিতে প্রবেশ করার পর সেটির বিস্ফোরণ ঘটায় যোদ্ধারা।
হামাসের সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, বিস্ফোরণের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া ইসরায়েলি সেনারা বাড়িটি থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তবে রাফার ওই ঘটনার ব্যাপারে ইসরায়েল এখনও কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে বড় ধরনের হামলা চালিয়ে ১২ শ’রও বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা ও তিন শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই হামলার পরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে।সেখান দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে এর জন্য বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।
এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বিড়াল পেল ডক্টরেট ডিগ্রি

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়েছে ম্যাক্স নামের একটি বিড়ালকে।

রোববার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ম্যাক্স নামের ওই বিড়ালটিকে ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস এই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে তার বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের স্বীকৃতির জন্য।

ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ম্যাক্স বছরের পর বছর ধরে ক্যাসেলটন পরিবারের একজন স্নেহময় সদস্য।

Advertisement

ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের রাস্তার পাশে একটি পরিবার এই বিড়ালটির মালিক। বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডাও বলেন, ‘বিড়ালটি নিজেই ঠিক করেছিল সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে, আর শিক্ষার্থীরাও তাকে ভালোবাসতে শুরু করে।’

ম্যাক্স নামের ওই বিড়ালটি গেলো প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসের অংশ হয়ে রয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা যখনই বিড়ালটিকে দেখতে পায় তখনই তারাও খুশি হয়। এমনকি শিক্ষার্থীরা আনন্দে ওই বিড়ালের সঙ্গে প্রায়ই ছবিও তোলে।

এমনকি সাবেক শিক্ষার্থীরাও যখন ক্যাম্পাসে আসেন তখন তারাও বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডাওয়ের কাছে যান।

অবশ্য ম্যাক্সের এই ডিগ্রিটি তার মালিক ডাওয়ের হাতে তুলে দেয়া হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা নেই ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির।

কেএস/

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরে র‍্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা

সৌদি আরবে মহিলাদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় সৌদির ২৭ বছরের মডেল রুমি আলকাহতানি বোরখা খুলে বিকিনি পরে র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন। সেই আবহেই এ বার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। এই প্রথম সেই দেশে স্নানপোশাক পরে ফ্যাশন শোয়ে হাঁটলেন মডেলরা।

শুক্রবার সৌদিতে রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল, আর সেখানেই কার্যত বিপ্লব ঘটে গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে আয়োজিত হয়েছিল সেই ফ্যাশন শোটি। সেই শোয়ের ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।

এতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাকশিল্পী ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রংবেরঙের স্নানপোশাকে একে একে হেঁটে চলেছেন সুন্দরী মডেলরা। মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট, কেউ কেউ আবার নিম্নাঙ্গে সারং বেঁধেছিলেন। স্নানপোশাক পরলেও, অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেল তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথম বার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শোয়ের দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল স্নানপোশাকগুলি নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিতে পেরে সম্মানিত।’’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version