Connect with us

আইন-বিচার

৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যান্সারের নকল টিকা

Published

on

দেশে নিষিদ্ধ হেপাটাইটিস-বি টিকা জেনেভ্যাক-বি দিয়ে জরায়ু ক্যানসারের নকল টিকা প্রস্তুত ও তারপর হাজার হাজার নারীর দেহে সেসব টিকা পুশ করার অভিযোগে রাজধানী থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন, সাইফুল ইসলাম শিপন, ফয়সাল আহম্মেদ, আল-আমিন, নুরুজ্জামান সাগর ও আতিকুল ইসলাম। এরা সবাই একটি চক্রের সদস্য। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, অবৈধ পথে হেপাটাইসিস-বি টিকা আমদানি করত চক্রটি। পরে নিজস্ব মেশিনের মাধ্যমে একটি হেপাটাইসিস-বি ভাইরাসের টিকা দিয়ে ১০টি জরায়ু ক্যানসারের টিকা তৈরি করত। কয়েকটি দানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে দু’বছর ক্যাম্পেইন করে গাজিপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ হাজার মেয়ের শরীরে এসব নকল টিকা পুশ করেছে চক্রটি।

ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের টিকা ভারত থেকে অবৈধ পথে মাত্র ৩৫০ টাকা দিয়ে নিয়ে আসত চক্রটি। তারপর একটি টিকা দিয়ে ১০টি জরায়ু ক্যানসারের টিকা তৈরি করে প্রতিটি টিকা আড়াই হাজার টাকায় বিক্রয় করত এই ৫ জন।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা মূল্যের ১২টি বক্সে মোট ১২০টি হেপাটাইসিস-বি ভাইরাসের টিকা, ২৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের হেপাটাইসিস-বি ভাইরাসের টিকা দিয়ে তৈরি ১ হাজার ২৫টি জরায়ু ক্যানসারের নকল সার্ভারিক্স টিকা, একটি সার্ভারিক্স ভ্যাকসিনের অ্যাম্পল প্রস্তুত করার মেশিন, অ্যাম্পলের গায়ে সার্ভারিক্স লেখা লেভেল ৫০ পাতা (প্রতি পাতায় ৪৫টি লেভেল), খালি অ্যাম্পল ১০০টি, অ্যাম্পলের ছিপি ৫০০টি, অ্যাম্পলের কক ৩০০টি এবং একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

Advertisement

রাজধানীর দারুসসালামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন, দক্ষিণখানের আল নুর ফাউন্ডেশন, টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকার পপুলার ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের মাধ্যমে এসব নকল টিকার ক্যাম্পেইন ও বাজারজাত করত এরা। গেলো ২ বছরে এসব প্রতিষ্ঠান গাজীপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করে যাদের দেহে এসব টিকা পুশ করা হয়েছে, তারা সবাই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ভারত থেকে কীভাবে এসব আনত, যেসব প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন করে বিক্রি করত তারা কোন ভিত্তিতে ক্যাম্পেইন করত এবং বিক্রি করত—খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আইন-বিচার

টেকনাফে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করলো বিজিবি

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে ধাওয়া খেয়ে পালানো মাদক পাচারকারীর ফেলে যাওয়া দুই কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছে বিজিবি।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত পৌনে ১১টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের লম্বরী ঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, পলাতক পাচারকারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও তা বের করতে বিজিবি খোঁজ খবর নিচ্ছে।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী ঘাট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় বিজিবি। এতে বিজিবির সদস্যরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে।

একপর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে সমুদ্র সৈকতের দিক থেকে আসা সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের ওপর দেখতে পায় বিজিবির সদস্যরা। এতে ওই লোককে থামার জন্য নির্দেশ দিলে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।

Advertisement

বিজিবির সদস্যরা ধাওয়া দিলে লোকটির সঙ্গে থাকা একটি পোটলা ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে পোটলাটি উদ্ধার করা হয়। পোটলাটি খুলে পাওয়া যায় ২ কেজি ৪৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস।

লে. কর্নেল মহিউদ্দীন বলেন, পলাতক পাচারকারীকে চিহ্নিত করতে বিজিবি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উদ্ধার করা মাদকের চালান বিজিবির ব্যাটালিয়ন দফতরে মজুদ রয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা

Published

on

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বিগত পাঁচ বছরের দায়িত্ব অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে ভোগ করা বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তবে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান  ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ওই বছরে এসব বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ  না নিয়েও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা

Published

on

অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করেছেন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। এজন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদলত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশেষ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এসএমসি প্লাসকে এ জরিমানা করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

কামরুল হাসান জানান, গেলো ১৪ মে বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন ৫টি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। একই সঙ্গে কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ ও ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এসএমসি প্লাস, ব্রুভানা, প্রাণের এক্টিভ, টারবো এবং আকিজের রিচার্জ – এগুলো ওষুধ না কি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে খাদ্য অদিপ্তরের এ পরিদর্শক জানিয়েছিলেন, এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস তা ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল খান। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। তাঁরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছেন।কিন্তু কোনো কোম্পানি শোনেনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version