Connect with us

রাজশাহী

রমজানের আগেই লাগাম হীন রাজশাহীর নিত্যপণ্যের বাজার

Published

on

রমজান শুরু হওয়ার আগে রাজশাহীর বাজারে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগেই সবজি ও মাছ, মাংসের বাজারে যেনো আগুন লেগে গেছে। বিশেষ করে রমজানকে সামনে রেখে রাজশাহীর বাজারে বেগুন, লেবু, শশা ও কলা, ঢেড়স, পাটলের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশের অন্যান জায়গায় ছোলার দাম কমলেও রাজশাহীতে ভিন্ন চিত্র।

রমজান মাস আসার সপ্তাখানেক আগে থেকেই মাছ-মাংসের দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ডিমের দাম একটু স্বাভাবিক থাকলেও সরবরাহ কমতে থাকায় সবজির বাজারও বাড়তি। নিত্যপণ্যের বাজার বেশ কয়েক মাস ধরে উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য বাজার নিয়ে স্বস্তির কোনো খবর নেই।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেলো সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে মান ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে শসার দামও কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশী শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ এবং হাইবিট শসা ৩০ টাকা।

বরবটি, পটোল, ঢ্যাঁড়স ও করলের দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। টমেটো কেজিতে ১০টা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। লাউ প্রতিটির দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। আর প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। গাজরের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়াও পাকা কলা হালিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এছাড়াও বাজারে কিছুটা বেড়েছে পেঁয়াজ, আলু ও আদার দাম। পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা, আলু কেজিতে ৩টা বেড়ে ১৮ টাকা, আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা এবং রশুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা লিটন আলী বলেন, রমজানে বেশী ব্যবহৃত টমেটো, শসা, গাজর, লেবু, বগুন ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। এ গুলো আরও কিছুটা বাড়তে পারে।

এদিকে, বাজারে মাছ-মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে বেড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশী মুরগি ৫৫০ টাকা। আর রাজশাহীর বাজারে লাল ডিম ৪৪ টাকা এবং সাদা ডিম ৪০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

গরুর মাংসের কেজি এখন ৭০০ টাকা। মাস খানেক আগে ২০ টাকা বাড়ে কেজিতে। আর খাসির মাংসের দাম পড়ছে এক হাজার টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে মাছের দামও। শুক্রবার এক কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়।

বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম উচ্চমূল্যে এসে থেমে আছে। শুক্রবার বাজারে মোটা চাল খুচরায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের চালের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা। আর সরু চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইল কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে। মান ভেদে বাজারে বিভিন্ন ডালের দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। ছোলা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ টাকায় বিক্রি হলেও বাজারে প্যাকেটজাত চিনি নেই বললেই চলে। বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রতি কেজি ১৯০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহী

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, সংকটাপন্ন নারী

Published

on

নওগাঁ শহরের একতা ক্লিনিকে সুমি খাতুন নামে এক প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পুনরায় অপারেশনের মাধ্যমে পেট থেকে গজ কাপড় বের করা হয়। ওই নারী বর্তমানে রামেকের আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন।

গেলো বুধবার (১৫ মে) একতা ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘতে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জন  নজরুল ইসলাম।

সুমির স্বামী উজ্জ্বল জানান, গেলো ১৫ মে তাঁর স্ত্রীর  সিজারিয়ান অপারেশন করেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তানিয়া রহমান তনি। অপারেশনের জন্য জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া  প্রয়োগ করেন ডাঃ তানিয়ার স্বামী ও নওগাঁ সদর হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট আদনান ফারুক।

অপারেশনের পরপরই পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন সুমি এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ডা. তানিয়া ক্লিনিকের মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রউফকে দিয়ে দ্রুত রোগীর পেটে সেলাই করিয়ে নেন। এর পর রাত ১০টার দিকে সুমিকে কৌশলে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে তাঁর পেটে বাড়তি একটি জিনিসের উপস্থিতি দেখা যায়। পরে গেলো ১৬ মে সকালে ফের অপারেশন করে পেট থেকে গজ বের করা হয়।

নওগাঁর সিভিল সার্জন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। রোগীর অভিভাবক অভিযোগ করলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।

রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ দুইজন আটক

Published

on

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর গলা কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ র মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

শনিবার (১৮ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েক দিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান। শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু’জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলায় সামান্য কেটে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের মরদেহ হেফাজতে নেয় এবং আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শিকতা দেখে মনে হয়েছে যে আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহ আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে তার গলা সামান্য কেটে দেয়া হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গলায় যে পরিমাণ কাটা দাগ রয়েছে তাতে গলা কাটার কারণে মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version