চট্টগ্রাম
বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুসুফিয়ান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নোটিশ দেন।
চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে প্রায় ৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। তবে তারা নিরাপদে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শনিবার (১৮ মার্চ) বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকেই রাত্রিযাপনের জন্য থেকে গেছেন। হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা আটকে পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।
অপরাধ
সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৪
সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার করার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। মাদক পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গাড়িটি আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাত লাখ ইয়াবা।
র্যাব জানায়, সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে ওই গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের চেস্টা করছিলো মাদক কারবারীরা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব । পরে গাড়ি তল্লাশী করে ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) । তার সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬) কে।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা পাচারে ওই গাড়ি ব্যবহার করে।
প্রাথমিকভাবে র্যাব ধারণা করছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানীরা।
এএম/
চট্টগ্রাম
গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন,চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীরচর এলাকার মো. আব্দুল্লাহ (২০) এবং মো. মোস্তফা (২১)।
সোমবার (২০ মে) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া সদরে মাতামুহুরী সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে বলে চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, সোমবার মধ্যরাত ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী সেতুতে চট্টগ্রাম গামী দ্রুতগতির একটি গাড়ি বিপরীত দিক থেকে এসে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে এর দুই আরোহী গুরুতর আহত হন।
তিনি জানান। পরে সড়কে চলাচলকারী অন্যান্য গাড়ির যাত্রী ও পথচারীরা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, নিহতদের চাপা দেয়া গাড়িটি এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আই/এ
চট্টগ্রাম
৭ লাখ পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের উখিয়ার চেংছড়ি পাটুয়ারটেক বীচ এলাকায় কুখ্যাত আব্দুল আমিনসহ ৪ মাদক কারবারিকে ৭ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় মাদক পাচারে ব্যবহৃত একটি বিলাসবহুল পাজেরো স্পোর্ট কারও জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।
তিনি জানান, সোমবার মধ্যরাতে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে কক্সবাজার শহরের দিকে মাদকের একটি বিশাল চালান পাচারের গোপন তথ্যে র্যাবের টিম পাটুয়ারটেক চেংছড়ি মেরিন ড্রাইভ রোডে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে একটি স্পোর্টস কারে তল্লাশি চালায়।
এসময় গাড়ির পিছনে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থা থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। এ সময় উক্ত মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ইয়াবা সম্রাট আব্দুল আমিনসহ মাদক সিন্ডিকেটের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়ার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল আমিন (৪০), টেকনাফ গোদারবিল এলাকার আবু সৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে নুরুল আবসার (২৮), এবং টেকনাফ ডেইলপাড়ার মৃত দীল মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (২৬)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, বার্মাইয়া সিরাজের ইয়াবার বিশাল চালান সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে আব্দুল আমিনের নিকট পৌঁছাতেন। এ সকল ইয়াবার চালান দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে কয়েক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতেন। পরবর্তীতে মজুদকৃত মাদকের চালান স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নির্ধারিত এজেন্টদের নিকট সুবিধাজনক সময়ে বিক্রি করে আসছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান আবু সালাম চৌধুরী।
কেএস/
-
আইন-বিচার7 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি7 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়6 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
অপরাধ7 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
আইন-বিচার5 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন