রাজশাহী
স্বামীর কাছে যেতে বাধা দেয়ায় মেয়ের হাতে বাবা খুন
সাবেক স্বামীর বাড়ি যেতে চান নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী কোহিনুর বেগম। এ সময় বাবা যেতে বাধা দেওয়ায় প্রতিবন্ধী মেয়ের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ বাবা নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের আগপাড়া শেরকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধ বাবার নাম মো. শামসুল ইসলাম তালুকদার (৬০)। তিনি আগপাড়া শেরকোল গ্রামের মৃত চাঁন তালুদারের ছেলে। তবে ঘটনার পর থেকে মেয়ে কোহিনুর বেগম পলাতক রয়েছেন।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধ কৃষক শামসুল তালুকদার তার প্রতিবন্ধী মেয়ে কোহিনুর বেগমকে পার্শ্ববর্তী লালোর ইউনিয়নে বিয়ে দেন। সেখানে দুই বছর স্বামীর সংসার করার পর গত শুক্রবার সেই মেয়ের পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
কিন্তু প্রতিবন্ধী মেয়ে তার সাবেক স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে চাইলে তার বাবা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ে কোহিনুর বেগম বাঁশের লাঠি দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। মেয়েটি বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। তবে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
রাজশাহী
নির্বাচন অফিসে আইডি কার্ড সংশোধনে ভোগান্তি, টাকা ছাড়া মিলে না সমাধান
পাবনার নির্বাচন অফিসগুলোতে আইডি কার্ড সংশোধনে চরম ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। জেলার বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে গেলে বছরের পর পর ঘুরতে হয়। সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে, সংশোধন আবেদন করলেও অর্থ ছাড়া মিলেনা সেবা। নতুন ভোটার হওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন করাসহ সকল কাজেই গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। টাকা না দিলে সমস্যা সমাধানে ঘুড়তে হয় বছরের পর বছর। আবার টাকা দিলেই মেলে সমাধান।
সম্প্রতি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমনকি পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া সঠিক থাকলেও বছরের পর বছর ঘুরতে হয় নির্বাচন অফিসে। এমনকি সরাসরি অর্থের অফার করে অফিসের কর্মচারীরা। অর্থ না দিলেই কোন প্রকার সমাধান মিলেনা।
পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি এলাকার ভুক্তভোগী রেশমা খাতুন বলেন, এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়। একারণে নিজের ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নামের পরিবর্তে বাবার নাম যুক্ত করতে যান ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসে। নাম পরিবর্তন করতে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন সেখানকার অফিস সহায়ক ও নাম জানা অফিসের দুইজন মহিলা কর্মচারী। তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তাকে আরও বলেন, পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে এর চেয়ে বেশি টাকা লাগবে। টাকা ছাড়া সংশোধন হবে না।
রিপোন হোসেন নামে একজন জানান, আইডি কার্ডের বয়স সংশোধনের জন্য ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসের শওকত আলী নামের এক কর্মচারী তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন, কিছু টাকা কম নিতে বললে অফিসের কর্মচারী বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসারকেই সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা দিতে হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া গ্রামের সুচিত্রা রাণী কুন্ডু বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমি আমার আইডি কার্ডের নাম ভুল থাকার কারণে সংশোধন করার জন্য ৮ বছর ধরে ঘুরছি, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসে, আইডি কার্ড এর নাম ভুল সংশোধন কোথায় গেলে হবে পরিষ্কারভাবে তারা কিছু বলেনা। এই অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ তারা ধরে না।
বাবুল নামে এক ভুক্তভোগী জানান, বয়স সংশোধনের জন্য আবেদন করে ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিস এবং পাবনা জেলা নির্বাচন অফিস ঘুরতে ঘুরতে এক বছর হয়ে গেল। ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসে ২৫ হাজার টাকা চেয়েছিল কিন্তু আমি দেইনি। এরপর পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসের পিয়ন আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দিলে আইডি কার্ড সংশোধন করে দেয়ার কথা বলেন, সেটাও আমি দেইনি। এর জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার রুমে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। একের পর এক ঘুড়িয়েই গেছে।
এসব হয়রানির অভিযোগ এই উপজেলার শতাধিক মানুষের। টাকা না দিলে কোনো কাজ করেন না ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তা। নতুন ভোটার হওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন করাসহ সকল কাজেই গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। ওই অফিসের অফিস সহায়ক শওকত আলীর হাত দিয়ে নেয়া হয় এসব অতিরিক্ত টাকা। টাকা নিয়ে করে দেয়া হয় সব ধরণের কাজ।
অভিযোগ রয়েছে ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হক প্রতিটি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বনিম্ন দশ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেন। আর বাকী টাকা ভাগ করে নেন অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা আর ভাগ পান জেলা অফিসের কর্মকর্তারাও।
এ বিষয়ে জানতে চারদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসের সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার রায় বলেন, অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নামে যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক শওকত আলী বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা।
এদিকে কোন উপায় না পেয়ে জেলা নির্বাচন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। আর দায়সারা জবাব নির্বাচন কর্মকর্তার।
পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, এ সকল অভিযোগ সঠিক নয়, সবকিছু মিথ্যা । তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে এড়িয়ে যান।
রাজশাহী
পাবনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর, আহত ৫
নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার আটঘরিয়ায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থীর ৫ সমর্থককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
সোমবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জিয়া (৩৫), বুলবুল ফকির (৪০), রনি (২৬), জাহিদ (৩০), ভোলা (২২)। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জিয়াকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো: তানভীর ইসলাম ও তার সমর্থকদের অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে ইশারত উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী মো: সাইফুল ইসলাম কামাল সমর্থক জুয়েল, শাহাআলম ও প্রিন্স বাহিনী অতর্কিত কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে পাঁচজনকে আহত করে।
পরে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র, টেলিভিশন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের মুঠোফোনে বারবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আজ সকালে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এলাকা শান্ত রয়েছে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করা হবে।
অপরাধ
রাজশাহীতে মাদকসহ চার কারবারি গ্রেপ্তার
রাজশাহী র্যাব-৫ এর একটি দল অভিযানে চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ পুরিয়া হেরোইন, ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৭ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট।
সোমবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে নগরীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের ২নং গেটের পাশে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার মমতাজ আলির ছেলে রাব্বি (২৬) একই এলাকার হাকিমের ছেলে তুষার আলী (২৫), বিলসিমলা এলাকার ইমান আলির ছেলে মেহেদি হাসান (২৬) ও তেরখাদিয়া এলাকার জমসেদ আলির ছেলে হাবিবু রহমান (৩৭)।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল রাজশাহী নগরীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের ২ নং গেটের পাশে অভিযান চালায়। এসময় সন্দেহভাজন হিসাবে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে উপরিউক্ত মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়।
গ্রেপ্তারের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে পরস্পর যোগসাজশে গাঁজা হেরোইন, ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল বিক্রি করে আসছিল তারা। পরে তাদের নগরীর রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এএম/
-
বলিউড7 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
ঢালিউড5 days ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি
-
ঢালিউড7 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
-
অপরাধ3 days ago
পাসপোর্ট করতে বেনজীরের নজিরবিহীন জালিয়াতি, মিথ্যা পরিচয়ে বিশ্বভ্রমণ
-
বলিউড7 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা
-
আমদানি-রপ্তানি5 days ago
যে কারণে ক্রেতারা ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের দিকে ঝুঁকছে
-
ঢালিউড4 days ago
নায়ক হয়ে আসছেন মান্নাপুত্র সিয়াম