বাংলাদেশ
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি রোগিরা

Published
3 months agoon

আইনের তোয়াক্কা না করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়াল ঘেঁষে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে আল মদিনা, মাইশা, আবির ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টার, আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক, ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বেশকিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। হাসপাতালের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ওষুধের দোকানের মালিকরা দালালদের দিয়ে হাসপাতালের রোগীদের কৌশলে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। ফলে রোগীর পরিক্ষা-নিরীক্ষার অতিরিক্ত ফি আদায়সহ তাদের স্বজনদের চড়া দামে ওষুধ কিনতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রাপ্ত মহিলা ও পুরুষ দালালরা কেউ থাকেন ডাক্তারের রুমে, কেউ থাকেন রোগী খোঁজেন ঘোরাফেরার মধ্যে, আবার অন্যজন ব্যস্ত থাকেন রোগীদের নিয়ে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ওষুধ বিক্রিতে। এই দালাল চক্রের মধ্যে নারীসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন প্রতিনিয়ত হাসপাতালে আসা বিভিন্ন রোগীকে হয়রানি করে। দালাল চক্রের কাছের জিম্মি হাসাপাতাল কৃর্তপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি হাসপাতালের এক ডাক্তার বলেন, রোগিদের স্বাভাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত, দুর্দশাগ্রস্ত এবং অসহায় করে তোলে। মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার সু-চিকিৎসা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু দেখা যায় হাসপাতালে গাইনি, মেজর ও মাইনর অপারেশন ও প্যাথলজি পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি, যক্ষ্মা ও কুষ্ঠসহ প্রায় সব পরীক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও কর্তব্যরত ডাক্তার অসহায় রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে দালালদের হাতে তুলে দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা। হাসপাতালের মুল গেটে প্রবেশ করতেই দেখা মেলে এক নারী রোগির। তিনি সদর উপজেলার তুলসীঘাট এলাকার শিবপুর গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। হাসপাতালের বাইরে বের হচ্ছিলেন ওই রোগি। তার সঙ্গে রয়েছেন এক নারী দালাল চক্র। বিষয়টি আগে থেকেই জানা ছিল যে হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি রোগিরা। রোগিদের ভাগিয়ে অন্যস্থানে নিয়ে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করান এই সিন্ডিকেট। প্রথমে ওই রোগিকে তার সঙ্গে থাকা নারীর পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। এতেই ওই নারী যেন চমকে উঠলেন। প্রথমে তাকে নাম জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। কথা বলার একপর্যায়ে সে তার নাম শ্রী শান্তনা রানী বলে জানান। রোগিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি থমকে থমকে বলেন, এখন তো হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়না। তাই রোগিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য গাইবান্ধা ডিজিটাল ল্যাবে নিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালের আউট ডোরে যেতেই দেখা মেলে আরেক দালাল সিন্ডিকেটের সঙ্গে। তার নাম রত্না রানী। পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক নারী রোগি। রত্ন রানীকে নাম জিজ্ঞাসা করতেই বললেন হাসপাতালে তার রোগি ভর্তি আছে। রোগিকে দেখতে যেতে চাইলে তিনি থমকে যান। একপর্যায়ে জানালেন, সাজিদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরী করেন তিনি। কথা শেষ না হতেই সেখান থেকে তারাহুরো করে সটকে পড়েন রত্না রানী।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ নামে আশ-পাশে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেই। হাসপাতালের ভেতরে জরুরী বিভাগে প্রবেশ করতেই রোগিদের ভিড় চোখে পড়ে। সেখানে রোগিদের চিকিৎসা দিচ্ছেন সারওয়ার হোসেন তমাল নামে একজন ডাক্তার। পাশে ব্রিজ রোডস্থ এলাকার মিজান নামে বহিরাগত এক যুবক ওই ডাক্তারকে স্লিপ সরবরাহ করতে দেখা যায়। ওই হাসপাতালের স্টাফ কিনা জানতে চাইলে তিনি তার বিষয়ে ডা. সারওয়ার হোসেন তমালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। কিছু লেখে দেখেন পরে এর মজা পাবেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুমন মিয়ার শ্যালক এই মিজান। মিজান জরুরী বিভাগে থাকেন রোগী কালেকশনের জন্য। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রোগীকে কোন পরিক্ষা নিরিক্ষা দিলেই তিনি আল-মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান।
এ ব্যাপারে ডা. সারওয়ার হোসেন তমাল বলেন, মিজান একজন স্বেচ্ছাসেবী। সে আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন। মিজান কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলুন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা খলিলুর রহমান (৫২) বলেন, হাসপাতালে শুধুমাত্র চিকিৎসাপত্র দেয়া হয়। কোন পরিক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হলে হাসপাতালে পরিক্ষা না করে বাইরে যেতে বলেন। সেখানে ওই চক্রের সঙ্গে হাসপাতালের লোকজনের যোগসাজশ রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে কোন ওষুধ দেয়া হয়না। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেট থাকার কথা স্বীকার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. মো. মাহবুব হোসেন বলেন, হাসপাতালে শুধুমাত্র এক্স-রে মেশিন ছাড়া সকল চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সচল রয়েছে। চেষ্টা করছি আমরা এই সিন্ডিকেটে জড়িতদের আটক করার জন্য। এতে যদি হাসপাতালের স্টাফও জড়িত থাকে তাদেরকে আইনে আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে আপনাদেরও ভূমিকা রয়েছে আমাদের সহযোগিতা করার।
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের কাম্য নয়। দালালমুক্ত হাসপাতালের লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জড়িতদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে বলা হয়েছে। সেবা নিতে এসে রোগিরা ক্যানো হয়রানি হচ্ছে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
অন্যরা যা পড়ছেন
কুবিতে সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের বিচার দাবি
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান ইউনিটে ৯০ শতাংশ ফেল
‘রং ফর্সাকারী‘ ১৮ ক্রিম নিষিদ্ধ
হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমদ
পথচারীকে চাপা দিয়ে গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২
‘লোডশেডিং শিগগিরই স্বাভাবিক হবে’
চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত
আরব আমিরাতে ফার্নিচার কারখানায় আগুন, ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু
আর্কাইভ
জাতীয়


আইপিএস লুট করে নিয়ে গেল ডাকাত
সাভারের একটি ব্যাটারি ও টায়ারের শোরুম থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা ও প্রায় ২৫ লাখ টাকার ব্যাটারি এবং আইপিএস লুট...


প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভোলা-বরিশাল সেতু চাইলেন তোফায়েল
ভোলা একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে আছে। এরই মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ভোলাতে জায়গা-জমি কিনছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী...


কুবিতে সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের বিচার দাবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সাংবাদিক সমিতির অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ।...


বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন বছরে ৩ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য সরকারি সহায়তার পরিমাণ এক লাখ টাকা বাড়ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সহায়তার পরিমাণ বছরে দুই লাখ...


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজার মামলা : আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ৭ হাজার ১টি মামলা দায়ের হয়েছে। জাতীয় সংসদের...


বন্ধ হচ্ছে না হাইস্কুল-কলেজ, ‘গরম’ নিয়ে ৬ নির্দেশনা
দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও হাইস্কুল ও কলেজ আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। তবে গরমে যাতে শিক্ষার্থীদের...


১৩টি বিসিএসে ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত (২৮তম থেকে ৪০তম) বিসিএস পরীক্ষায় ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদান করা...


আধিপত্য ও আর্থিক সংশ্লেষ টিপু হত্যার বড় কারণ : ডিবিপ্রধান
মতিঝিল এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুন হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মূল সমন্বয়কের...


ডিআইজি মিজানসহ চারজনের মামলার রায় ২১ জুন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিষয়ে রায়...


গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হলে, দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে : রেলমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ প্রজম্মরা পরিবার ও দেশের সম্পদ। এই সন্তানই আগামী দিনের সু-নাগরিক . ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। এই...
আর্কাইভ

জাতীয় দলকে অনুপ্রাণিত করতে অনুশীলনে সালাউদ্দিন

আইপিএস লুট করে নিয়ে গেল ডাকাত

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভোলা-বরিশাল সেতু চাইলেন তোফায়েল

কুবিতে সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের বিচার দাবি

গাইবান্ধা সরকারি কলেজে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন বছরে ৩ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজার মামলা : আইনমন্ত্রী

দুর্নীতি-লুটপাটের কারণেই দেশব্যাপী লোডশেডিং : চরমোনাই পীর

বন্ধ হচ্ছে না হাইস্কুল-কলেজ, ‘গরম’ নিয়ে ৬ নির্দেশনা

১৩টি বিসিএসে ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা

কমলো এলপি গ্যাসের দাম

স্ত্রীকে হত্যা করে বাড়ির উঠানে পুঁতে স্বামী পলাতক

বাজেট নিয়ে সরকারি কর্মচারীরা হতাশ

টিকটক দেখে মুখ পোড়ালেন মহিলা!

বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা, ফের পেছাল অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন

রাজের আইডি থেকে অভিনেত্রীদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁস

পুত্রের মাথা রান্না করে খেলেন মা!

হঠাৎ বৃষ্টি জনজীবনে স্বস্তি

পরী থাকতে চাইলে থাকবে, না চাইলে বিচ্ছেদ : রাজ

রাজউকের কর্মচারী, প্রেম প্রতারণায় আয় ৮ কোটি টাকা!

সেনা সদস্যের স্ত্রীর চোখের পানি মুছতে টিস্যু এগিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বায়ান্ন টিভির প্রতিবেদনের পর চাকরি পেলেন মুক্তা

দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে এগিয়ে এরদোয়ান

খাদ্য ভেবে খেয়ে ফেলেন ১৫টি কলম

আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে বিএনপি বেকায়দায় আছে : কাদের

কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর

গাজীপুর সিটিতে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে : কাদের

ইডেনছাত্রী ২৭ বছরের সব সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ভাইরাল

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
সর্বাধিক পঠিত
- বিনোদন5 days ago
ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা
- জাতীয়5 days ago
কমলো এলপি গ্যাসের দাম
- অপরাধ5 days ago
স্ত্রীকে হত্যা করে বাড়ির উঠানে পুঁতে স্বামী পলাতক
- জাতীয়4 days ago
বাজেট নিয়ে সরকারি কর্মচারীরা হতাশ
- টুকিটাকি3 days ago
টিকটক দেখে মুখ পোড়ালেন মহিলা!
- আইন-বিচার2 days ago
বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা, ফের পেছাল অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন
- বিনোদন7 days ago
রাজের আইডি থেকে অভিনেত্রীদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁস
- আন্তর্জাতিক3 days ago
পুত্রের মাথা রান্না করে খেলেন মা!