সিলেট
জগন্নাথপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেলেন আরও ২১২টি ভূমিহীন পরিবার
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেলেন আরও ২১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উপজেলা পরিষদের হলরুমে এই ঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিদুর ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মধু সূধন ধর, থানার তদন্ত অসি শুংশক সহ প্রশাসনের কর্তকর্তা সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষে ৪র্থ পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণির আওতায় দুই শতাংশ জমি, দলিল নামজারির খতিয়ানী সহ ২১২ টি ভূমিহীন পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
সিলেট
আধিপত্য বিস্তার : সংঘর্ষে ৩ ভাইসহ ৫ জন নিহত
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্বের বিরোধর জের। তারপর কথা কাটাকাটি-ঝগড়া। শুরু সংঘর্ষ। পরে তা ছড়িয়ে পরে দুই গ্রামের মধ্যে। এ ঘটনায় প্রাণ হরালেন তিন ভাইসহ পাঁচজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা যান। এ ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, আগোয়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২৫), সিরাজ মিয়া (৫০) লিলু মিয়া (৪০) তার ভাই জিলু মিয়া (৪২) ও আনু মিয়া। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলায় মন্দরী ইউনিয়নের আগোয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার সঙ্গে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী বদির মিয়ার মধ্যে পুর্বের বিরোধর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুইজনের সমর্থক অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির ও স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও শতাধিক মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মধ্যে লিলু নামের আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরবর্তীতে সিলেটে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় লিলুর ভাই জিলু মিয়া ও আনু মিয়ার ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দুই দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অন্যের বসতঘরও ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন গ্রামের সামর্থ্যবান পুরুষরা।
জেএইচ
সিলেট
জিতলেন বাবা, হারলেন ছেলে
ভোটের মাঠে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন এক পরিবারের দুই সদস্য। সম্পর্কে বাবা ও ছেলে তারা। ফলাফলে বাবা আজির উদ্দিনের কাছে ভোটের মাঠে হেরে গেছেন ছেলে মাসুম আহমদ হাসান। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের।
বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আজির উদ্দিন ৩২ হাজার ৯১৬ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট।
এছাড়াও চেয়ারম্যান পদের অন্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতীকে ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট এবং আজির উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ হাসান উট প্রতীকে ৯১৪ ভোট পেয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একই পদে তার পুত্র দক্ষিণভাগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ হাসানও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মাসুম আহমদ হাসান জানান, তার বাবা আজির উদ্দিনের নির্বাচন করা নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলে। তার (মাসুম) প্রার্থী হওয়া একটি নির্বাচনী কৌশল ছিল।
প্রসঙ্গত, একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বড়লেখা উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ তিন হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ দুই হাজার ৮৫৬ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭১০ জন।
এসি//
সিলেট
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু
হবিগঞ্জে রাহুবল উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামে বজ্রপাতে দানিছ মিয়া নামে (৫৫) এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) সকালে বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। বাহুবল থানার (ওসি) মো. মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দানিছ মিয়া উপজেলার চলিতাতলা মাদরাসার শিক্ষক। তিনি সাতপাড়িয়া গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে।
এদিকে, গতকাল (৫ মে) সন্ধ্যায় চুনারুঘাটে বজ্রপাতে হালেমা খাতুন (৪৪) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হালেমা খাতুন উপজেলার সাটিয়াজুড়ি ইউনিয়নের দারাগাও গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউল জানান, রোববার জেলার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাত শুরু হয়। হালেমা খাতুন নামে ওই নারী তার বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে তার ওপর বজ্রপাত হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কেএস/
-
এশিয়া11 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি14 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
চট্টগ্রাম3 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন