Connect with us

অর্থনীতি

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি : বাণিজ্যমন্ত্রী

Published

on

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। মানুষ বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র একবারে কিনে নিচ্ছে। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষ ভাবছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার সব পণ্যের সাপ্লাই অনেক বেশি রয়েছে। কোনো পণ্য সংকট হওয়ার শঙ্কা নেই। বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে পাঁচদিনের ভারত ও ভুটান সফর শেষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশের সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট চুক্তি হয়েছে। ভারত হয়ে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন করতে এ চুক্তি হয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তার ঘটবে।

তিনি বলেন, ‌আমরা চাই ডাইরেক্ট ট্রান্সপোর্ট চালু হোক। অনেক সময় ঝামেলা হয়। এজন্য ভুটানের সঙ্গে এগ্রিমেন্টটা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে পাথর ও ফলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হচ্ছে। এগুলো যেন ভারতের সড়কে চেক না হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে ট্রান্সপোর্ট করা যায় সে বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।

Advertisement

লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারত-ভুটান ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, তারা লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি ব্যবহার করবেন না। কারণ এটি বিমান তৈরি কারখানার জন্য করা হয়েছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা বিমান তৈরি করবে। তাই তারা সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে চেয়েছেন। এতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না।

এসময় মোগলহাট স্থলবন্দরটি চালু করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

 

অর্থনীতি

হাফ সেঞ্চুরি ডিমের, সবজিতে নেই স্বস্তি

Published

on

বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গেলো সপ্তাহেই ডিমের হালি ছিলো ৪৫ টাকা। এদিকে কমেনি সবজির দামও।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানী ও এর আশপাশের বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

ক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম এমন নানান অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে ডিমের দাম বেড়েই চলছে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তেজগাঁওয়ের আড়তমালিকরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।

এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন,  ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে বিক্রিত ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। প্রতিদিন তারা মেসেজ দিয়ে বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশে থাকা আড়তদারদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।

Advertisement

মালিবাগ বাজারে ডিম কিনতে আসা আফজাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাবা যায় এক ডজন ডিম কিনলাম ১৬০ টাকায়! যা কিছুদিন আগেই ছিল ১২০ টাকা। হঠাৎ করে ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে গেল অথচ সংশ্লিষ্ট কারও কোনো উদ্যোগ নেই বাজার নিয়ন্ত্রণের।

এদিকে কমেনি মুরগির দামও,  প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছে সপ্তহহের ব্যবধানে কেজি প্রতি সবজির দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে ,  প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশ সাইজ ভেদে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বাজার নিয়ন্ত্রণে জোরদার তদারকির দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

ব্যাংকঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না : বাংলাদেশ ব্যাংক

Published

on

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সুদহার বাজারভিত্তিক ও ডলারের দরে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সুদহার বাজারের ওপর ছাড়া হলেও এখনকার বাস্তবতায় তা ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না। এখন আর এসব নীতির পরিবর্তন হবে না। বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সভাকক্ষে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে অংশ নেয়া ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর।

ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে জানান, ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে প্রকল্প করে এখন ১৪ শতাংশ দিতে গিয়ে ব্যবসায়িক হিসাব মেলানো কঠিন হচ্ছে অনেকের পক্ষে। হঠাৎ ডলারের দর বাড়ার কারণে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর তিন-চারশ’ কোটি টাকারও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মেয়াদি ঋণ শ্রেণিকরণের শিথিলতা হঠাৎ তুলে নিলে খেলাপি ঋণ বাড়বে। এভাবে বারবার নীতির পরিবর্তন না করে ধারাবাহিকতা দরকার।

এফবিসিসিআই সভাপতি  জানান, গভর্নর তাদের সব বক্তব্য শুনেছেন। এখন কী ব্যবস্থা নেন দেখা যাক। হঠাৎ করে ডলারের দর বাড়ানোর কারণে কোনো কোনো বড় গ্রুপ ৩০০- ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব গ্রুপ লোকসানে পড়েছে দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধ সূচির মাধ্যমে যেন এটা সমাধান করা হয় সে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

Published

on

আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। দেশে চলমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে এডিপি আকার বাড়াচ্ছে না সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গেলো ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version